অল পাকিস্তান উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন (সংক্ষেপে: এপিডব্লিউএ, উর্দু: ز ایسوسی ایشن ) হলো পাকিস্তানের একটি স্বেচ্ছাসেবী, অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সংস্থা, যার মূল লক্ষ্য পাকিস্তানের নারীদের নৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কল্যাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।[২]
মহিলাদের অধিকারের জন্য প্রসিদ্ধ সমাজকর্মী বেগম রা'ণা লিয়াকত আলী খানের নেতৃত্বে, যিনি বলেছিলেন যে পুরুষদের চেয়ে নারীর ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, ১৯৪৯ সালে এপিডব্লিউএ প্রতিষ্ঠিত হয়ে। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পরে সদ্য স্বাধীন পাকিস্তানে শরণার্থী সংকট মোকাবেলা করার জন্য প্রাথমিকভাবে এই সংগঠনটির গোড়পত্তন ঘটে।[৩] জুবাইদা হাবিব রহিমতুলাও ছিলেন এই সমিতির অপর একজন নিবেদিত সদস্য।
এর পূর্ব পাকিস্তান শাখাটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি হিসাবে নামকরণ করা হয়।[৪]
অল পাকিস্তান উইমেনস অ্যাসোসিয়েশন পাকিস্তানে 'পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১' (ফ্যামিলি লজ অর্ডিন্যান্স) পাসের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখলেও রাজনীতিতে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির দাবি দাওয়া তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়।[৫]