অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়ন | |
---|---|
ভারতের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়ন ১৯৩২ সালে শুরু হয়েছিল, যখন পশ্চিমবঙ্গের একদল মহিলা তাদের অসহায়, শোষিত এবং নির্যাতিত সহ-মহিলাদের সাহায্য করার জন্য সম-মনস্ক মহিলাদের নিয়ে একটি দল গঠন করেছিল।[১]
পশ্চিমবঙ্গে এবং কলকাতা অঞ্চলে নারী ও শিশুদের পাচার অভূতপূর্ব মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়ে যাওয়ায় এই গোষ্ঠীর উৎপত্তি হয় এবং এই বেসরকারি সংস্থাটি এই সমস্যা সমাধানের একটি প্রচেষ্টা ছিল।[২][৩]
দুটি বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে, নাবিক ও সৈন্যের সংখ্যা যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেই সময় বাণিজ্যিক যৌন শোষণের উদ্দেশ্যে নারী ও শিশুদের পাচারকারীরা কলকাতায় একটি প্রস্তুত ও প্রসারিত বাজার পেয়ে যায়।[৪] পুলিশকে পতিতালয় থেকে নারী ও শিশুদের উদ্ধার করতে সক্ষম করার জন্য কলকাতা অনৈতিক ট্রাফিক দমন আইন এবং শিশু আইন পাস করা হয়েছিল।[৫] ১৯৩২ সালে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির সামনে দ্য বেঙ্গল সাপ্রেশন অফ ইমোরাল ট্র্যাফিক বিল[৬] নামে একটি নতুন বিল পেশ করেছিলেন জে এন বসু। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং সমাজকর্মী। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি কাউন্সিল অফ উইমেন এবং অল বেঙ্গল উইমেনস কনফারেন্স বাংলায় অনৈতিক ট্রাফিক দমনের জন্য একটি স্বাধীন সংগঠন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই সোসাইটি অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়ন নামে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৬০ সালের আইন ২১ এর অধীনে নিবন্ধিত হয়। অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়ন জেনেভা-র ইন্টারন্যাশনাল অ্যাবোলিশনিস্ট ফেডারেশনের অধিভুক্ত।[১] ১৯৩৩ সালের ১লা এপ্রিল বিলটি পাস হয়। অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রমলা সিংহ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ডের প্রথম চেয়ারপার্সন।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মহিলা যাঁরা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মানেক মোদী, শীলা দাভার এবং বেলা সেন। রাজকুমারী অ্যানের সফর (২০০৭ সালের জানুয়ারি)[৭] প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। রমলা সিনহার মৃত্যুতে শীলা দাভার গোষ্ঠীর সভাপতি হন। তিনি লাভলক প্লেসে অবস্থিত বস্তি ওয়েলফেয়ার সোসাইটিও প্রতিষ্ঠা করেন। বেলা সেন দীর্ঘদিন প্রযোজনা বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
অল বেঙ্গল উইমেনস ইউনিয়নকে তাদের কাজে সহায়তা করে সেভ দ্য চিলড্রেন ফাণ্ডের মতো এনজিও।[৮]
সংস্থার প্রধান প্রকল্পগুলি হল:[৯][১০]