অলিভিয়ে আসাইয়াস | |
---|---|
ফরাসি: Olivier Assayas | |
![]() ২০১০ সালে ভিয়েনালে আসাইয়াস | |
জন্ম | |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র সমালোচক |
কর্মজীবন | ১৯৭৭-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | ম্যাগি চেউং (বি. ১৯৯৮; বিচ্ছেদ. ২০০১) |
সঙ্গী | মিয়া হানসেন-ল্যোভ (২০০২-২০১৭) |
সন্তান | ১ |
অলিভিয়ে আসাইয়াস (ফরাসি: [ɔlivje asajas]; জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৯৫৫) একজন ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, ও চলচ্চিত্র সমালোচক। আসাইয়াস তার ধীর-গতির চলচ্চিত্র, মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার, নব্য-নোয়ার, ও হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রের জন্য সুপরিচিত। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে ফরাসি, স্পেনীয় ও ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। চলচ্চিত্রকার জাক রেমির পুত্র আসাইয়াস কাইয়ে দ্যু সিনেমা চলচ্চিত্র পত্রিকার সমালোচক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র লেখক-পরিচালকদের নিয়ে লিখতেন, যারা পরবর্তীকালে তার সৃষ্টিকর্মের অনুপ্রেরণা। আসাইয়াস কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পর ১৯৮৬ সালে ডিজঅর্ডার চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
১৯৯৪ সালে নির্মিত লো ফ্রোয়াদ চলচ্চিত্রটিকে তার কর্মজীবনের প্রথম আলোচিত সাফল্য বলে গণ্য করা হয়। এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সেরতাঁ র্যগার শাখায় প্রদর্শিত হয়। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ইর্মা ভেপ (১৯৯৬) কান উৎসবে প্রদর্শিত হয়, অন্যদিকে লে দ্যস্তিনে সঁতিমঁতালে (২০০০), ডিমনলাভার (২০০২), ও ক্লিন (২০০৪) দাপ্তরিকভাবে পাল্ম দরের জন্য প্রতিযোগিতা করে। ২০০৬ সালে সংকলিত চলচ্চিত্র পারি, জ্য তেম (২০০৬)-এর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন।
আসাইয়াস নাট্যধর্মী লোর দেতে (২০০৮), সিল মারিয়া (২০১৪) ও পার্সোনাল শপার (২০১৬) চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সমাদৃত হন; এবং শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি এরপর হাস্যরসাত্মক দুব্ল ভি (২০১৮) ও গোয়েন্দা থ্রিলারধর্মী ওয়াস্প নেটওয়ার্ক (২০১৯) পরিচালনা করেন।
আসাইয়াস ১৯৫৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা চলচ্চিত্রকার জাক রেমি ও মাতা কাত্রিন দ্য কারোই একজন ফ্যাশন ডিজাইনার। তার পিতা তুর্কি ইহুদি বংশোদ্ভূত এবং ফ্রান্সে আসার আগে ইতালিতে বসবাস করতেন। তার মাতা প্রটেস্ট্যান্ট ছিলেন এবং তার পূর্বপুরুষগণ হাঙ্গেরীয় ছিল।[১][২][৩][৪]
আসাইয়াস কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের পর ১৯৮৬ সালে ডিজঅর্ডার চলচ্চিত্র দিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
১৯৯৪ সালে নির্মিত লো ফ্রোয়াদ চলচ্চিত্রটিকে তার কর্মজীবনের প্রথম আলোচিত সাফল্য বলে গণ্য করা হয়। এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সেরতাঁ র্যগার শাখায় প্রদর্শিত হয়। তার পরবর্তী চলচ্চিত্র ইর্মা ভেপ (১৯৯৬) কান উৎসবে প্রদর্শিত হয়।[৫] এটি তার সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। ম্যাগি চেউং অভিনীত চলচ্চিত্রটি ফরাসি পরিচালক লুই ফ্যোইয়াদ ও হংকংয়ের চলচ্চিত্রের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।[৬]
২০০০-এর দশকের শুরুতে তার নির্মিত লে দ্যস্তিনে সঁতিমঁতালে (২০০০), ডিমনলাভার (২০০২), ও ক্লিন (২০০৪) চলচ্চিত্রগুলো দাপ্তরিকভাবে পাল্ম দরের জন্য প্রতিযোগিতা করে। ২০০৬ সালে সংকলিত চলচ্চিত্র পারি, জ্য তেম (২০০৬)-এর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ২০০৮ সালে তিনি নাট্যধর্মী লোর দেতে নির্মাণ করেন।
আসাইয়াসের ২০১২ সালের আপ্রে মে চলচ্চিত্রটি ৬৯তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন শাখায় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়।[৭] তিনি এই চলচ্চিত্রের জন্য ভেনিস উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যের পুরস্কার অর্জন করেন।[৮] তার সিল মারিয়া (২০১৪) চলচ্চিত্রটি ২০১৪ কান চলচ্চিত্র উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় পাল্ম দর শাখায় প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়।[৯] সিল মারিয়া লুই দ্যলুস পুরস্কার অর্জন করে[১০] এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য-সহ ছয়টি বিভাগে সেজার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে,[১১] তন্মধ্যে ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন।[১২] ২০১৬ সালে তিনি পার্সোনাল শপার চলচ্চিত্র নির্মাণ করে সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে কান চলচ্চিত্র উৎসব পুরস্কার অর্জন করেন।[১৩] তিনি এরপর হাস্যরসাত্মক দুব্ল ভি (২০১৮) ও গোয়েন্দা থ্রিলারধর্মী ওয়াস্প নেটওয়ার্ক (২০১৯) পরিচালনা করেন।