অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত | ৬ অক্টোবর ১৯৩৩
মৃত্যু | ১৭ নভেম্বর ২০২০ হাইডেলবার্গ, জার্মানি | (বয়স ৮৭)
পেশা | অধ্যাপক |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | শান্তিনিকেতন, সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজ, কলকাতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় |
বিষয় | মূলত বাংলা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | গ্যেটে পুরস্কার আনন্দ পুরস্কার(১৯৮৫) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার(১৯৯২) রবীন্দ্র পুরস্কার(২০০৪) প্রবাসী ভারতীয় সম্মান(২০০৫) |
দাম্পত্যসঙ্গী | ট্রুডবার্টা (মৃ.২০০৫) |
অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত (৬ অক্টোবর ১৯৩৩ — ১৭ নভেম্বর ২০২০)[১] একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক। রচনার প্রাচুর্য এবং বৈচিত্র্যে,মনীষা এবং সংবেদনশীলতায় তিনি বাংলাসাহিত্যের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। [২] তিনি ২০টিরও বেশি কবিতার বই লিখেছেন, বাংলা এবং সাঁওতালি কবিতা ও নাটক ইংরেজি এবং জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছেন, এবং জার্মান ও ফরাসি সাহিত্য থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন। তিনি বেশ কয়েকটি বই প্রবন্ধের প্রকাশ করেছেন। তার স্বতন্ত্র গদ্যশৈলীর জন্য তিনি সুপরিচিত।[৩]
দাশগুপ্ত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করেছেন, ও তারপরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে, প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়েন এবং অবশেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ভারতীয় কবিতায় গীতি নিয়ে তার পড়াশুনার জন্য পিএইচডিপ্রাপ্ত হন।[৩] তিনি লিটল ম্যাগাজিনসমূহের সাথে ভীষণভাবে যুক্ত হয়ে মূল জার্মান কাজগুলিকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করতে থাকেন।
তার পিএইচডি শেষ করার পরে, দাশগুপ্ত ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে (বুদ্ধদেব বসু প্রতিষ্ঠিত) তুলনামূলক সাহিত্য ও বাংলা পড়িয়েছিলেন। এরপরে তিনি হাম্বোলড ফাউন্ডেশন ফেলোশিপে জার্মানি যান। ১৯৭১ সাল থেকে তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ইনসিটিটিউট অনুষদে শিক্ষকতা করছেন। তিনি ভারত ও জার্মানির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগ প্রচারের জন্য প্রধান একটি প্রতিষ্ঠান, ডয়চে-ইন্দিসচে গেসেলশ্যাফ্টের (ডিআইজি) সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত ছিলেন।[৪]
দাশগুপ্ত এমন একজন কবি, যিনি তার সহকর্মী এবং ভক্তদের দ্বারা অনেক প্রশংসিত, তার কবিতা মূলভাব এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের জন্য পরিচিত। জার্মান সরকার তাঁকে গ্যোটে পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে দুটি ভিন্ন সংস্কৃতিকে একত্রিত করার কাজে তার অবদানের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। তার ছন্দনৈপুণ্য ভাষার কারুকার্য যেমন কাব্য-অবয়বকে একটি স্বকীয়তা দিয়েছে তেমনই বৈদগ্ধ্য বিপ্লবমনস্কতা এবং ঐতিহ্যের পুনরাবিষ্কারের ক্ষমতা তার কাব্য জগতকে দিয়েছে বিশালতা এবং নান্দনিক সৌন্দর্য। এরপর তিনি যে প্রবন্ধ রচনা করেছেন ও জার্মান ভাষা থেকে অনুবাদ করেছেন সেখানে তার ভাষান্তর কুশলতা বাংলা সাহিত্যে বিশেষ ভাবে স্মরণীয়। তার নিজস্ব গদ্যরীতি বর্ণাঢ়্য, প্রতিমাবহুল এবং শব্দের নবায়নে চিহ্নিত।
তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল:[২][৫]
তার রচিত অন্যান্য গ্রন্থগুলির মধ্যে আছে শরণার্থীর ঋতু ও শিল্প ভাবনা , আনন্দ পাবলিশার্স, ১৯৯৩। আইএসবিএন ৮১-৭২১৫-১৫৯-৪, ভ্রমণে নয় ভুবনে , আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন ৮১-৭০৬৬-১৪৫-৫, ছায়াপথেরা সান্দ্র সমলাপিকা , আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন ৮১-৭২১৫-২৭৭-৯, এখনো নামেনি, বন্ধু, নিউক্লিয়ারা শীতের গোধূলি , আনন্দ পাবলিশার্স। আইএসবিএন ৮১-৭২১৫-৯৯৬-X, জ্বরের ঘোরে তরাজু কেঁপে আয়, সমবায়ী শিল্পেরা গরজে, তুষার জুড়ে ত্রিশূলচিহ্ন, দক্ষিণ এশীয় ভাষাগুলি থেকে অনুবাদে সমস্যা , (ইউনিভার্সিটিট হাইডেলবার্গ, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত দ্বারা), ভারতীয় কবিতায় লিরিক (১৯৬২), দ্য মিস্টিক্যাল স অ্যান্ড আদার পোয়েমস (রোল্যান্ড হিন্দ্মার্শ, সাহিত্য আকাদেমি, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত দ্বারা) (১৯৯৬)
দাশগুপ্ত অনেক পুরস্কার এবং সম্মান পেয়েছেন। তার মধ্যে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সুধা বসু পুরস্কার (১৯৮৩), জার্মানিতে গ্যয়ঠে পুরস্কার (১৯৮৫), আনন্দ পুরস্কার (১৯৮৫), প্রবাসী ভারতীয় সম্মান (১৯৮৫), রবীন্দ্র পুরস্কার (২০০৪), তার কবিতার বই মরমী করাত (অনুবাদ করেছেন দ্য মিস্টিক্যাল স অ্যান্ড আদার পোয়েমস) এর জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯২)[৩] এবং প্রবাসী ভারতীয় সম্মান (২০০৫)।