ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অশঙ্কা প্রদীপ গুরুসিনহা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬ কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক, দল নির্বাচক, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩২) | ৭ নভেম্বর ১৯৮৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪২) | ৩ নভেম্বর ১৯৮৫ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ নভেম্বর ১৯৯৬ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ |
অশঙ্কা প্রদীপ গুরুসিনহা (তামিল: அசங்க குருசிங்க; জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৬) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, দল নির্বাচক ও কোচ। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৬ সময়কালে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস ও সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাবের পক্ষে খেলেছেন। বামহাতি ব্যাটিং ও ডানহাতি মিডিয়াম বোলিংয়ের অধিকারী অশঙ্কা গুরুসিনহা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে মূলতঃ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবেই অংশগ্রহণ করেছেন। ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বসবাস করছেন।
কলম্বোর ইসিপাথানা কলেজে অধ্যয়ন শেষে নালন্দা কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি জাতীয় দলে খেলার জন্য ডাক পান। শুরুতে তিনি উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নিজ আসন পাকাপোক্ত করেন। ক্রিকইনফো’র প্রতিবেদক সায়মন ওয়াইল্ড তাকে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং স্তম্ভরূপে আখ্যায়িত করেন।
সুদীর্ঘ ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে তিনি ৪১ টেস্ট ও ১৪৭টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলকে শিরোপা এনে দেয়া। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে অরবিন্দ ডি সিলভা’র সাথে ১২৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। খেলায় তিনি ৬৫ রান করেছিলেন।
৩২তম খেলোয়াড় হিসেবে গুরুসিনহা শ্রীলঙ্কার টেস্ট ক্যাপ পরিধান করেন। ১৯৮৫/৮৬ মৌসুমে করাচিতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনি অভিষিক্ত হন। ১৯৯৬ সালে অবসর নেয়ার সময় কেবলমাত্র শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অরবিন্দ ডি সিলভা তারচেয়ে অধিক টেস্ট সেঞ্চুরি করেছিলেন।[১] কার্যকরী অনিয়মিত বোলার হিসেবে মাইকেল অ্যাথারটন, সুনীল গাভাস্কার, ডিন জোন্স, স্টিভ ওয়াহ, ইনজামাম-উল-হকের ন্যায় তিনিও সফলকাম ছিলেন; যারা কমপক্ষে ২০টি টেস্ট উইকেট লাভ করেছেন।[২]
তৃতীয় স্তরে সনদপ্রাপ্ত ক্রিকেট কোচ তিনি। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায় কনসালটেন্ট রিজিওনাল ক্রিকেট কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৩] ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের ম্যানেজার ক্রিকেট পদে মনোনীত হন।[৪] তবে, ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ধারাবাহিক পরাজয়ের খেসারতস্বরূপ ২৯ আগস্ট, ২০১৭ তারিখে দল নির্বাচকমণ্ডলী একযোগে পদত্যাগ করে।[৫]
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে অশঙ্কা গুরুসিনহাকে শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্যতম দল নির্বাচক হিসেবে মনোনীত করা হয়। প্রধান দল নির্বাচক গ্রেইম লেব্রয়ের সাথে তার সাথে সাবেক উইকেট-রক্ষক গামিনি বিক্রমাসিংহে ও নতুন তিনজন - জাতীয় দলের সাবেক ব্যবস্থাপক জেরিল ওটার্সজ ও সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার সজিত ফার্নান্দোকে মনোনয়ন দেয়া হয়।[৬]