অশোক Ashoka tree | |
---|---|
![]() | |
প্রস্ফুটিত অশোক ফুল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Fabales |
পরিবার: | Fabaceae |
গণ: | Saraca |
প্রজাতি: | S. asoca |
দ্বিপদী নাম | |
Saraca asoca (উইলিয়াম রক্সবার্গ) Carl Ludwig Willdenow[১] | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
অশোক বৈজ্ঞানিক নাম: Saraca asoca, Saraca indica), (ইংরেজি: Yellow Ashok, Yellow Saraca) হচ্ছে Fabaceae পরিবারের এক প্রজাতির বৃক্ষ।[২] এটি কখনও কখনও ভুলভাবে Saraca indica হিসাবে পরিচিত।[৩] অশোক গাছের ফুল ভারতের ওড়িশার রাজ্যের রাজ্য ফুল।[৪]
অশোক মাঝারি আকৃতির ছায়াদানকারী চিরসবুজ বৃক্ষ। এদের পাতার রঙ গাঢ়-সবুজ। পাতাগুলো দীর্ঘ, চওড়া ও বর্শাফলাকৃতির। কচিপাতা কোমল, নমনীয়, ঝুলন্ত ও তামাটে। ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম বসন্তকাল। তবে হেমন্ত অবধি এ গাছে ফুল ফুটতে দেখা যায়। তবে শীতকালেও এরা অল্প সংখ্যায় ফুটে থাকে। অশোক ফুল গাছের কাণ্ড থেকে ফোটে। ফুল আকারে ছোট, কিন্তু বহুপৌষ্পিক, ছত্রাকৃতি। মঞ্জরি আকারে বড়। অজস্র ফুলের সমষ্টি অশোকমঞ্জরি মৃদু গন্ধযুক্ত এবং বর্ণ ও গড়নে আকর্ষণীয়। তাজা ফুলের রং কমলা, কিন্তু বাসি ফুল লাল রঙ ধারণ করে। পরাগকেশর দীর্ঘ। ফল বড়সড় শিমের মতো চ্যাপ্টা, পুরু এবং ঈষৎ বেগুনি রঙের।[৫]
রবীন্দ্রনাথ কবিতায় লিখেছিলেন, পুরাকালে নাকি অশোকবৃক্ষে নারীর চরণস্পর্শে ফুল জেগে উঠতো। সিদ্ধার্থ লুম্বিনীর এক অশোকতরুর নিচে জন্মেছিলেন। অশোক গাছ হিমালয়ের পাদদেশবর্তী অঞ্চলে লভ্য। বলধা গার্ডেনের সংরক্ষিত অংশটিতে (সাইকি) একটি অশোক গাছ আছে।
আলোচ্য অশোক ছাড়াও ভারতে এবং বাংলাদেশে রাজ অশোক এবং স্বর্ণ অশোক নামে আরও দুই রকমের অশোক গাছ দেখা যায়।[৫] অশোকের একটি প্রজাতি রয়েছে যাদের ফুলের রঙ হলুদ। এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Saraca thaipingensis.
অশোক ফলের বীজ থেকে সহজেই চারা জন্মায়। তবে চারার বৃদ্ধি মন্থর।[৫]