ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অসওয়াল্ড চার্লস ডসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারবান, নাটাল | ১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ ডিসেম্বর ২০০৮ আমহাঙ্গা, কোয়াজুলু-নাটাল | (বয়স ৮৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | অসি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৫৬) | ৭ জুন ১৯৪৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৫ মার্চ ১৯৪৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৪ জুন ২০১৯ |
অসওয়াল্ড চার্লস ডসন, এমসি (ইংরেজি: Ossie Dawson; জন্ম: ১ সেপ্টেম্বর, ১৯১৯ - মৃত্যু: ২২ ডিসেম্বর, ২০০৮) নাটালের ডারবানের রসবার্গ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল ও বর্ডার দলের প্রতিনিধিত্ব করে গেছেন। দলে তিনি মূলতঃ মাঝারিসারির ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, কার্যকরী ডানহাতি মিডিয়াম পেস বোলিংশৈলী উপহার দিয়েছেন ‘অসি’ ডাকনামে পরিচিত অসি ডসন।
১৯৩৮-৩৯ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত অসি ডসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। তন্মধ্যে, ১৯৩৮-৩৯ মৌসুম থেকে ১৯৪৯-৫০ মৌসুম পর্যন্ত নাটাল এবং ১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত বর্ডারের পক্ষে খেলেন।
প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনের সূচনাকালেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠে। বিশ্বযুদ্ধেও বেশ সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। এল আলামেইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে রয়্যাল ডারবান লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ইতালিতে অবস্থানকালীন মিলিটারি ক্রস প্রাপক হন।[১]
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেছিলেন অসি ডসন। সবগুলো টেস্টেই দলের প্রতিপক্ষীয় ছিল ইংল্যান্ড দল। ৭ জুন, ১৯৪৭ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। একই দলের বিপক্ষে ৫ মার্চ, ১৯৪৯ তারিখে পোর্ট এলিজাবেথে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন।
১৯৪৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ৩২.৩২ গড়ে ১০০২ রান ও ২৬.০৭ গড়ে ৫৪ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। বেশ দৌঁড়ুতে পারতেন। চার টেস্টে বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন। তবে, পেসের অভাবে শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। এছাড়াও, পর্যাপ্ত ধৈর্য্যের অভাব থাকায় বড় ধরনের ইনিংস খেলতে পারেননি। ১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করে। নিজদেশে টেস্ট সিরিজে প্রাদেশিক ক্রিকেটের সাফল্যের পুণরাবৃত্তি ঘটাতে পারেননি তিনি।
ক্রিকেট খেলায় বেশ সফল ছিলেন। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি বেসবল খেলায়ও সিদ্ধহস্তের অধিকারী ছিলেন অসি ডসন।[২] ২২ ডিসেম্বর, ২০০৮ তারিখে ৮৯ বছর বয়সে কোয়াজুলু-নাটালের আমহাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসগৃহে অসি ডসনের দেহাবসান ঘটে।