অস্ট্রালোপিথেকাস গার্হি সময়গত পরিসীমা: প্লায়োসিন | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস ![]() | |
অপরিচিত শ্রেণী (ঠিক করুন): | অস্ট্রালোপিথেকাস |
প্রজাতি: | টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/অস্ট্রালোপিথেকাসঅ. গার্হি |
দ্বিপদী নাম | |
টেমপ্লেট:শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যা/অস্ট্রালোপিথেকাসঅস গার্হি এ্যাসফা এবং তাঁর সহযোগী ১৯৯৭। |
অস্ট্রালোপিথেকাস গার্হি নামে পরিচিত ২৫ লক্ষ বছরের পুরাতন চিকন অস্ট্রালোপিথেসিন প্রজাতির জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। এই প্রজাতির জীবাশ্ম ১৯৯৬ সালে পুরাপ্রত্ননৃতত্ত্ববিদ বারহানে এ্যাসফা ও টিম হোয়াইটের নের্তৃত্বে আবিষ্কৃত হয়।[১]
এই প্রজাতি অস্ট্রালোপিথেকাস ও হোমো গণের মধ্যবর্তী প্রজাতি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে।
ইথিওপিয়ার মধ্য আওয়াশ অঞ্চলের বৌরি এলাকায় ১৯৯৬ সালে প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে টিম হোয়াইট অঃ গার্হি এর জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। ১৯৯৭ সালের ২০ নভেম্বর ইথিওপিয়ার প্রত্ননৃবিজ্ঞানী ইয়োহান্স হ্যাইল সেলাসি এই প্রজাতিকে অঃ গার্হি হিসেবে নিশ্চিত ও প্রতিষ্ঠা করেন। স্থানীয় আফার ভাষায় "গার্হি" শব্দের অর্থ "বিষ্ময়"।
অঃ গার্হি এর কিছু আদর্শ বৈশিষ্ট্য অস্ট্রালোপিথেকাস আফারেন্সিস ও অস্ট্রালোপিথেকাস আফ্রিকানাসের থেকে ব্যতিক্রম।[১] অঃ আফারেন্সিস এর হাদারে প্রাপ্ত ম্যাক্সিলা জীবাশ্ম এবং বৌরিতে প্রাপ্ত অঃ গার্হি এর ম্যাক্সিলাতে স্বতন্ত্রতা দেখা গেছে। অন্যান্য অস্ট্রালোপিথেকানসের মত এর অঃ গার্হ এর মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ৪৫০ সিসি।
এ্যাসফা ও তার সহযোগীবৃন্দ ম্যাণ্ডিবলের যে শ্রেণিবিন্যাস করেছেন, তা অন্যান্য প্রজাতির সাথে তুলনা করা হয়েছে। এই প্রজাতির প্রিমোলার ও আণবিক দাঁতের উপর করা গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, এই দাঁতের সাথে প্যারানাথ্রোপাস বৈসেই এর মিল আছে। যদিও অন্য যে কোনো অস্ট্রালোপিথেকানসের তুলনায় অঃ গার্হির দাঁত বড়। এটা বলা হয়, যদি অঃ গার্হি; হোমোর (উদাহরণস্বরুপ হোমো হাবিলিস) পূর্বপুরুষ হয়, তবে অঙ্গসংস্থানগত অংশ ম্যাক্সিলা ২-৩ লক্ষ বছরের মধ্যে ক্ষিপ্রতার সাথে বিবর্তিত হয়েছে।
প্রাকযুগের পাথরের হাতিয়ার তৈরীর একটি কৌশলের নাম ওল্ডউয়ান কৌশল; এই কৌশল ২৫-২৬ লক্ষ বছর পূর্বে অঃ গার্হি ব্যবহার করত বলে তাদের জীবাশ্ম থেকে অনুমিত হয়।[২] প্রস্তাবনা মতে আধুনিক হোমিনিন এর সরাসরি অনুমিত পুর্বপুরুষ হোমো হাবিলিস[২] এর পূর্বে অঃ গার্হি এই যন্ত্রাংশ ব্যবহার করত বলে জানা যায়। দীর্ঘসময় ধরে নৃতত্ত্ববিদরা ভাবতেন, শুধু হোমো রাই উন্নত মানের যন্ত্রাংশ তৈরীতে সক্ষম। যদিও অঃ আর্হির যন্ত্রাংশ অতটা উন্নত নয়, তবুও প্রচেষ্টার মাত্রা ঠিকই লক্ষণীয়। ইথিওপিয়ার বৌরীর অন্যান্য সাইটে ৩০০০ পাথর থেকে যন্ত্রাংশ তৈরী করতে দেখা গিয়েছে। এই সমস্ত দ্রব্যাদির বয়স ২৫ লক্ষ বছরের পুরাতন বলে অনুমান করা হয়।
-৪৫০ — – -৪০০ — – -৩৫০ — – -৩০০ — – -২৫০ — – -২০০ — – -১৫০ — – -১০০ — – -৫০ — – ০ — অক্ষের স্কেল: কোটি বছর। ![]() বামপ্রান্তে কমলা রঙে জানা তুষার যুগ চিহ্নিত। আরও দেখুন: মানব সময়রেখা ও প্রকৃতি সময়রেখা |
-১ — – -০.৯ — – -০.৮ — – -০.৭ — – -০.৬ — – -০.৫ — – -০.৪ — – -০.৩ — – -০.২ — – -০.১ — – ০ — |