Australopithecus bahrelghazali' | |
---|---|
জীবাশ্ম
| |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
শ্রেণী: | Mammalia |
বর্গ: | Primates |
পরিবার: | Homnidae |
উপপরিবার: | Homininae |
গণ: | Australopithecus or Praeanthropus |
প্রজাতি: | A. bahrelghazali or P. bahrelghazali |
দ্বিপদী নাম | |
†Australopithecus bahrelghazali Brunet et al., 1995 |
অস্ট্রালোপিথেকাস বাহরেলগাজালি হচ্ছে হোমিনিন জীবাশ্ম; যা ১৯৯৫ সালে প্রত্ননৃবিজ্ঞানী মাইকেল বারনেট এর নের্তৃত্বে একটি টিম এটি আবিষ্কার করে। দুইটি জীবাশ্ম বর্ণনা করা হয়েছে:
--শাদের বাহার আল গাজেলের (গাজেলের নদী) পূর্বদিকে ম্যাণ্ডিবুলের টুকরো পাওয়া যায়। এটি করো টরো থেকে ৪৫ কিমি দূরে। মাইকেল বার্নাট ১৯৯৫ সালের জানুয়ারীতে এটিকে আবিষ্কার করেন। এই সাইটটির নাম দেওয়া হয়েছে কেটি-ওয়ান-টু আর জীবাশ্মের নমুনার নাম রাখা হয়েছে কেটি-ওয়ান-টু/এইচওয়ান। এই নমুনার মধ্যে ছিল নিচের দিকের ছেদন দাঁত, শ্বদন্ত ও চারটি পেষণ দাঁত। এইসবকিছুই দন্তথলির মধ্যে আবদ্ধ ছিল।
- ১৯৯৬ সালের জানুয়ারীতে একই এলাকায় উপরের অগ্রপেষণ দাঁত আবিষ্কৃত হয়। এই প্রকরণের নাম দেওয়া হয়েছিল কেটি-ওয়ান-টু/এইচটু।[১][২][৩][৪]
তৃতীয় জীবাশ্ম হিসেবে ১৯৯৬ সালের ১৬ জানুয়ারি ম্যাক্সিলার টুকরো পাওয়া যায়। কেটি-ওয়ান-টু এর কাছে কেটি-ওয়ান-থ্রি এলাকায়। এর নামকরণ করা হয়েছিল কেটি-ওয়ান-থ্রি-নাইনসিক্স-এইচওয়ান। ১৯৯৭ সালে বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে এসংক্রান্ত প্রকাশিত হয়।[৫][৬][৭]
সর্বশেষ চতুর্থ জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া যায়, ১৮ জুলাই ২০০০ সালে। এই জীবাশ্মটি পাওয়া যায় কেটি-ওয়ান-থ্রি এর কাছাকাছি কেটি-ওয়ান-ফোর এলাকায়। কেটি-ওয়ান-টু, কেটি-ওয়ান-থ্রি, কেটি-ওয়ান-ফোর, এই সবগুলো সাইট একই এলাকায় হওয়ায় সম্ভাবনাময় জীবাশ্ম হিসেবে এটি আজো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে আছে। ৪র্থ জীবাশ্মটি ছিল ম্যান্ডিবুলারের টুকরো।[৮]
অস্ট্রালোপিথেকাস বাহরেলগাজালি এর বয়স বেরিলিয়াম-নির্ভর তেজস্ক্রিয় ডেটিং এর মাধ্যমে করা হয়। এর ফলে এর বয়স নির্ধারণ করা হয় ৩৬ লক্ষ বছর।[৯][১০]
এই এলাকাসমুহ পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফ্য উপত্যকা থেকে ২,৫০০ কিমি (১,৬০০ মা) দূরে অবস্থিত। এই উপত্যকা মানব বিবর্তনের শৈশবকাল হিসেবে পরিচিত।( কেটি-ওয়ান-টু/এইচওয়ান জীবাশ্মের নমুনাকে বার্নেট তার বন্ধু আবেল ব্রিলানসিউয়ের স্মৃতি হিসেবে আবেল নামকরণ করেন)।[১][১১]
কেটু-ওয়ানটু/এইচওয়ান ম্যাণ্ডিবুলের অস্ট্রালোপিথেকাস আফারেন্সিস এর ন্যায় সমরুপ দন্তবিন্যাস আছে। যার জন্য গবেষক উইলিয়াম কিমবেল এই মর্মে বিতর্ক করেছেন যে আবেল কোনো ভিন্ন প্রজাতি নয় বরং অঃ আফারেন্সিস এরই একটি প্রকরণ। ১৯৯৬ সালে ব্রুনেট ও তার টিম এই নমুনাকে অঃ বাহরেলগাজাইল এর বলে পুনঃশ্রেণিবিন্যাস করে।[৫] এই শ্রেণিবিন্যাসকে বাস্তবায়ন করা কঠিন ছিল কারণ তা আইসিজেডএন এর সংজ্ঞার সাথে বিরোধী ছিল।[১২] অঃ বাহরেলগাজাইল স্বতন্ত্র; কারণ এটা একমাত্র অস্ট্রালোপিথেসিন জীবাশ্ম; যা মধ্য আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছিল। এথেকে প্রমাণিত হয়; শুধুমাত্র পূর্ব ও উত্তর আফ্রিকায় নয়; বরং প্রাক হোমিনিন প্রজাতি আরো অনেক জায়গায় বিবর্তিত হয়েছিল।[১৩][১৪]
Etymology: Since the type specimen of Australopithecus bahrelghazali was found near the Bahr el Ghazal river valley, its name was created by adding the Latin genitive ending -i to bahrelghazal, yielding bahrelghazali, meaning 'of the Bahr el Ghazal'.