মোট জনসংখ্যা | |
---|---|
৪,০৪৭[১] | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
ভাষা | |
ইংরেজি ভারতীয় ভাষাসমূহ | |
ধর্ম | |
জৈনধর্ম |
জৈনধর্ম |
---|
![]() |
![]() |
অস্ট্রেলিয়ায় জৈনধর্ম এই মহাদেশে খ্রিস্টধর্মের অপেক্ষাকৃত পরে এসেছে। অস্ট্রেলিয়ায় চারটি জৈন কেন্দ্র রয়েছে।[২] ২০১৬ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় জৈনদের মোট সংখ্যা ৪,০৪৭। এঁদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ বাস করেন বৃহত্তর সিডনিতে, ৩১ শতাংশ বাস করেন বৃহত্তর মেলবোর্নে এবং ১৫ শতাংশ বাস করেন বৃহত্তর পার্থে।[৩] যে রাজ্য ও অঞ্চলগুলিতে জৈন জনসংখ্যার অনুপাত সর্বাধিক সেগুলি হল পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া (০.০২৫ শতাংশ) ও ভিক্টোরিয়া (০.০২২ শতাংশ) এবং যে রাজ্য ও অঞ্চলগুলিতে এই অনুপাত সর্বনিম্ন সেগুলি হল কুইনসল্যান্ড (০.০০৬ শতাংশ) ও তাসমানিয়া (০.০০১ শতাংশ)।[৪]
জৈনরা সাম্প্রতিক কালে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছে। [৫] সিডনিতে একটি জৈন সমাজ গঠিত হয়েছে।[৬]
১৯৭২ সালে ইদি আমিনের নীতির ফলে উগান্ডা থেকে এশীয়রা অন্য দেশে চলে আসেন। এই সময় কিছু জৈনও অস্ট্রেলিয়ায় আসেন বা অন্যত্র চলে যান।[৭][৮]
সিডনি, পার্থ, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, অ্যাডিলেড ও মেলবোর্নে একাধিক জৈন কেন্দ্র এবং/অথবা সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রেই প্রতিটি জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের একসঙ্গে উপাসনার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে জৈন ঐক্যসাধনের ব্যবস্থা রয়েছে। সিডনি ও ক্যানবেরার হিন্দু মন্দিরে প্রথম দুই জৈন তীর্থংকরের মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৯][১০] সিডনিতেই সিডনি জৈন মণ্ডল নামে জৈনদের প্রথম সমিতি গঠিত হয়।[১১] সিডনির অপর একটি জৈন সমিতি হল বীতরাগ জৈন শ্বেতাম্বর সংঘ।[১২] এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় জৈনদের সেবার জন্য একটি সমাজ-পরিচালিত কেন্দ্র রয়েছে, যার নাম "আজ" ("AAJ"; হিন্দিতে এই নামটির অর্থ 'আজ')।[১৩]