অ্যাংগ্রা খারিশ Labeo angra | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | Chordata |
উপপর্ব: | Vertebrata |
মহাশ্রেণী: | Osteichthyes |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Cypriniformes |
পরিবার: | সিপ্রিনিডে |
গণ: | Labeo |
প্রজাতি: | Labeo angra |
দ্বিপদী নাম | |
Labeo angra (Hamilton, 1822) | |
প্রতিশব্দ | |
Cyprinus hamiltonii Gray, 1830[২] |
অ্যাংগ্রা খারিশ (বৈজ্ঞানিক নাম: Labeo angra) (ইংরেজি: angra Labeo) হচ্ছে সিপ্রিনিডে পরিবারের Labeo গণের একটি স্বাদুপানির মাছ। এই মাছকে অ্যাংগ্রা, অ্যাংগ্রোট, খারিশ, খরশা বলা হয়। বাংলাদেশে অঞ্চলভেদে এই মাছ আঙ্গুস মাছ, আগুন চোখা, আংরোট ও কারসা নামে পরিচিত।
এ মাছের পৃষ্ট দেশ উদরীয় অংশ তুলনায় কিছুটা উত্তল। তুণ্ড চোয়ালের তুলনায় বিস্তৃত। ঠোঁট পুরু ও পাতলা। দেহের মাঝ বরাবর একটা কালো ডোরা বিদ্যমান।[৪]
মিঠাপানির আঙ্গুস মাছ আকারে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। একটি স্ত্রী আঙ্গুস মাছের ডিম ধারণক্ষমতা আকারভেদে ২০–৫০ হাজার। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি আঙ্গুস মাছ ৬০–৭০ গ্রাম হলেই পরিপক্ব ও প্রজননক্ষম হয়ে যায়। এর প্রজননকাল মে–আগস্ট। তবে জুন-জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রজনন হয়।[৫]
অ্যাংগ্রা খারিশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশে মাছ। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ভুটান, পাকিস্তান, মায়ানমার, আফগানিস্তানে এ মাছের বিস্তার। বাংলাদেশে একসময় মাছটি বৃহত্তর সিলেট, রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে প্রচুর পাওয়া যেত। বাংলাদেশে ক্রমশ মাছটি হারিয়ে যাচ্ছে।[৫]
আইইউসিএন বাংলাদেশ (২০০০) এর লাল তালিকা অনুযায়ী এই প্রজাতিটি বাংলাদেশে হুমকির সম্মুখীন নয়।[৪]
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলুপ্ত প্রজাতির আঙ্গুস মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবন করেছে। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপকেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা এ উদ্ভাবন করেন। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিে আঙ্গুস মাছের প্রজনন কৌশল উদ্ভাবনের তথ্য জানান। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সৈয়দপুর স্বাদু পানি উপকেন্দ্রে তিস্তা, চিকলী ও আত্রাই থেকে আঙ্গুসের পোনা সংগ্রহ করে গবেষণা শুরু হয়েছিল। [৫]
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)
|আইএসবিএন=
এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)।