ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাঞ্জেলো কনিষ্কা পেরেরা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মোরাতুয়া, শ্রীলঙ্কা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৫৬) | ২৬ জুলাই ২০১৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ মার্চ ২০১৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৫০) | ৩১ মার্চ ২০১৩ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৪ মার্চ ২০১৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
কোল্টস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
নন্দেস্ক্রিপ্টস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাউদার্ন এক্সপ্রেস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ মার্চ, ২০১৯ |
অ্যাঞ্জেলো কনিষ্কা পেরেরা (সিংহলি: ඇන්ජෙලෝ පෙරේරා; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০) মোরাতুয়ায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সদস্যরূপে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে নন্দেস্ক্রিপ্টস, সাউদার্ন এক্সপ্রেস দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন। এছাড়াও, লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করে থাকেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।
কলম্বোর সেন্ট পিটার্স কলেজে পড়াশুনো করেছেন তিনি। বিদ্যালয় দলে শেষদিকে নেতৃত্বের দায়িত্বে থেকেছেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নিয়মিত খেলতেন।
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কায় সফরকারী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটে। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ কয়েকটি খেলায় অংশ নেন তিনি। দুইটি প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেয়ার পর ২০০৭-০৮ মৌসুমে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে দুই খেলায় অংশ নেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৯ রান তুলেন তিনি। ২০০৭-০৮ মৌসুমের আন্তঃপ্রাদেশিক টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় শ্রীলঙ্কা স্কুলসের প্রতিনিধিত্ব করেন। আরও দুইটি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে টেস্টেও চারটি একদিনের খেলায় অংশ নেয়ার পর ২০০৯ সালে ফিরতি সফরে বাংলাদেশ গমন করেন।
২০০৯-১০ মৌসুমে বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেট খেলায় অভিষেক ঘটে তার। খেলায় তিন উইকেট নিয়ে দলের সহজ বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা।
শ্রীলঙ্কার অন্যতম প্রতিভাধর ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ঘরোয়া সীমিত ওভারের খেলার সুন্দর মৌসুম অতিবাহিত করেন। শক্তিধর মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পান। স্ট্রোকের ফুলঝুড়িতে ভরপুর ও দুঃসাহসী ভূমিকায় লিস্ট এ ক্রিকেটে পাঁচ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত করেছেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটেও সমধিক সাফল্য পেয়েছেন।
২০০৯-১০ মৌসুমে বাদুরেলিয়া স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে অ্যাঞ্জেলো পেরেরা’র। নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাবের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা এয়ার ফোর্স স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে দূর্দান্ত ২৪৪ রান তুলেন। এরফলে তার দল ইনিংস ও ৩৯ রানে জয় তুলে নেয়। ২০৪ বল মোকাবেলান্তে ৩০টি চার ও ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এটিই তার প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এ পর্যায়ে জিহান মুবারকের সাথে ৪০৫ রানের জুটি গড়েন। ফলশ্রুতিতে, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির নতুন রেকর্ডের সৃষ্টি হয়।[১]
মার্চ, ২০১৮ সালে সুপার ফোর প্রাদেশিক প্রতিযোগিতায় কলম্বো দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত হন।[২][৩] পরের মাসে সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের কলম্বোর সদস্য হন।[৪] আগস্ট, ২০১৮ সালে এসএলসি টি২০ লিগে গালে দলের পক্ষে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]
ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে প্রিমিয়ার লিগ টুর্নামেন্টের সুপার এইট পর্বে উভয় ইনিংসে দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেন।[৬] এরফলে, ইংল্যান্ডে ১৯৩৮ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে কেন্টের সদস্যরূপে আর্থার ফাগ এসেক্সের বিপক্ষে এ অনন্য অর্জনের সাথে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ড গড়েন।[৭] মার্চ, ২০১৯ সালে সুপার প্রভিন্সিয়াল ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের আসরে কলম্বোর পক্ষে খেলেন। [৮]
ঘরোয়া ক্রিকেটে সুন্দর মৌসুম অতিবাহিত করার পর মার্চ, ২০১৩ সালে নিজ দেশে সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে ওডিআই খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়।
২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক হয় তার। একই বছর পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে অ্যাঞ্জেলো পেরেরার। দলে আসা-যাওয়ার পালায় ছিলেন। এরপর ২০১৬ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওডিআই খেলার জন্যে শ্রীলঙ্কা দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিরিজের চতুর্থ ওডিআই খেলার সুযোগ পান।[৯] ডাম্বুলায় অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় আঘাতপ্রাপ্ত নুয়ান প্রদীপের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের এমার্জিং কাপের দ্বিতীয় আসরে শিরোপা লাভ করে তার দল। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় শিরোপা বিজয়ে শ্রীলঙ্কা দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।[১০] চূড়ান্ত খেলায় পাকিস্তানকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতার শিরোপা লাভ করে।[১১][১২]
ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের উদ্দেশ্যে টেস্ট দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে, ২০১৮-১৯ মৌসুমের ঐ সিরিজের কোন খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ হয়নি তার।[১৩]
৫ মে, ২০১৮ তারিখে ২৮ বছর বয়সে রবিন্দি সামারাসেকেরা নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। সেন্ট মেরি চার্চে এ বৈবাহিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল।[১৪]