অ্যাটম হার্ট মাদার

অ্যাটম হার্ট মাদার
কর্তৃক স্টুডিও অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ১৯৭০ অক্টোবর ২ (2-10-1970)
শব্দধারণের সময়মার্চ – আগস্ট ১৯৭০
স্টুডিওঅ্যাবি রোড স্টুডিওস, লন্ডন
ঘরানা
দৈর্ঘ্য৫২:০৬
সঙ্গীত প্রকাশনী
প্রযোজকপিংক ফ্লয়েড, নরম্যান স্মিথ (নির্বাহী প্রযোজক)
পিংক ফ্লয়েড কালক্রম
উমাগুমা
(১৯৬৯)
অ্যাটম হার্ট মাদার
(১৯৭০)
মেডল
(১৯৭১)
অ্যাটম হার্ট মাদার থেকে একক গান
  1. "সামার '৬৮"
    মুক্তির তারিখ: ১০ অক্টোবর ১৯৭০

অ্যাটম হার্ট মাদার ব্রিটিশ প্রোগ্রেসিভ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম; যেটি ২ অক্টোবর ১৯৭০ সালে হার্ভেস্ট রেকর্ডস কর্তৃক যুক্তরাজ্যে এবং ১০ অক্টোবর ১৯৭০ সালে ক্যাপিটল রেকর্ডস কর্তৃক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিপ্রাপ্ত।[] এটি ইংল্যান্ডের লন্ডনে অ্যাবি রোড স্টুডিওসে রেকর্ড করা হয়েছিল এবং ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম হিসাবে যুক্তরাজ্যে ১ নম্বরে পৌঁছেছিল, পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ নম্বরে পৌঁছেছিল এবং শেষ পর্যন্ত সেখানে গোল্ড অ্যালবাম হিসাাবে তালিকাভূক্ত হয়।[] যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪ সালে এবং ২০১১ সালে এর রিমাস্টার্ড সিডি প্রকাশিত হয়েছিল। রন গিসিন, যিনি রজার ওয়াটার্স দ্বারা ইতোমধ্যে প্রভাবিত এবং একজন সহযোগী হিসাবে শিরোনাম ট্র্যাকটিতে অবদান রেখেছিলেন এবং পরবর্তীতে বহিরাগত গানলেখক হিসাবে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

হিপনোসিস অ্যালবামের প্রচ্ছদশিল্প নকশা করেছিল এবং এটি ছিল ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম যেটির প্রচ্ছদে ব্যান্ডের নাম লেখা ছিলো না এবং অ্যালবামের কোথাও ব্যান্ডের কোনও ছবিও দেখা যায় নি। এটি এমন একটি প্রবণতা ছিল যা পরবর্তী প্রচ্ছদশিল্পগুলিতে ১৯৭০-এর দশক অবধি এর প্রচলন চলতে থাকে।

যদিও এটি মুক্তির পর বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল, ব্যান্ড, বিশেষত রজার ওয়াটার্সডেভিড গিলমোর, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অ্যালবামটি সম্পর্কে বেশকয়েকটি নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করেছে।[][] তা সত্ত্বেও, গিলমোর ২০০৮ সালে রন গিসিনের সাথে গানটি পরিবেশনের পর এর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা প্রকাশ পায়।

মুক্তি ও অভ্যর্থনা

[সম্পাদনা]

এই স্যুইট (যন্ত্রসঙ্গীত) বিষয়ে সাধারণত মিশ্র সমালোচনামূলক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যান্ডের সকল সদস্যরা এটির সম্পর্কে নেতিবাচক ভাব প্রকাশ করেছে।[] গিলমোরের মতে অ্যালবামটি ছিল "আবর্জনার বোঝা। আমরা একটি বাস্তবিক অন্তরীপে ছিলাম ... আমি মনে করি আমরা সে সময়ে কিছুটা নিরূদ্যম ছিলাম।"[][] এবং "এর ধারণাটি ভাল কিন্তু ছিল ভয়ানক... অ্যাটম হার্ট মাদার মনে হচ্ছে আমাদের মাঝে কোনো ধারণাই নেই, তবে আমরা এর পরে আরো অনেক উন্নত হয়েছি।"[] একইভাবে, বিবিসি রেডিও ১-এ ১৯৮৪ সালের এক সাক্ষাৎকারে, ওয়াটার্স বলেন "যদি এখনই কেউ আমাকে বলে - ঠিক আছে - এখানে এক মিলিয়ন পাউন্ড রয়েছে, বাইরে গিয়ে অ্যাটম হার্ট মাদার বাজাও, তাহলে আমি বলতে চাইবো যে আপনি নিশ্চয়ই রসিকতা করছেন।"[]

ট্র্যাকের তালিকা

[সম্পাদনা]
প্রথম পাশ
নং.শিরোনামরচয়িতামূল কণ্ঠদৈর্ঘ্য
১."অ্যাটম হার্ট মাদার"
  • I. "ফাদার'স শাউট"
  • II. "ব্রেস্ট মিল্কি"
  • III. "মাদার ফোর"
  • IV. "ফাঙ্কি ডাঙ"
  • V. "মাইন্ড ইওর থ্রোট্‌স প্লিজ"
  • VI. "রিমাজেন্স""
নিক মেইসন, ডেভিড গিলমোর, রজার ওয়াটার্স,
রিক রাইট, রন গিসিন
জন অ্যালডিস কোয়ার কর্তৃক অকথিত কন্ঠ প্রদান২৩:৪৪
  • ২:৫০
  • ২:৩৩
  • ৪:৫০
  • ৫:১৫
  • ২:২৮
  • ৫:৪৮
  • মোট দৈর্ঘ্য:২৩:৪৪
    দ্বিতীয় পাশ
    নং.শিরোনামরচয়িতামূল কণ্ঠদৈর্ঘ্য
    ১."ইফ"ওয়াটার্সওয়াটার্স৪:৩১
    ২."সামার '৬৮"রাইটরাইট৫:২৯
    ৩."ফ্যাট ওল্ড সান"গিলমোরগিলমোর৫:২২
    ৪."অ্যালান'স সাইকেডেলিক ব্রেকফাস্ট"
    • I. "রাইজ অ্যান্ড শাইন"
    • II. "সানি সাইড আপ"
    • III. "মর্নিং গ্লোরি""
    ওয়াটার্স, মেইসন, গিলমোর, রাইটইন্সট্রুমেন্টাল, অ্যালান স্টাইলস কর্তৃক বক্তৃতা১৩:০০
    মোট দৈর্ঘ্য:২৮:২২

    তথ্যসূত্র

    [সম্পাদনা]

    টীকা

    উদ্ধৃতিসমূহ

    1. "Pink Floyd: The Story Behind Atom Heart Mother"TeamRock। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬। ১৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৭ 
    2. পোভেই ২০০৬, পৃ. ১৩৭।
    3. "Record Research (advertisement)"। Billboard magazine। ১৫ মার্চ ১৯৯৭। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
    4. Guitar World presents Pink Floyd। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
    5. "Dear Diary" (পিডিএফ)। The Word। জুলাই ২০০৮। ২৭ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৮ 
    6. শাফনার ২০০৫, পৃ. ১৬০।
    7. শাফনার ২০০৫, পৃ. ১৪৪।
    8. "Have Pink Floyd Split Up?"। Mojo Magazine। অক্টোবর ২০০১। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১০ 

    উৎস

    বহিঃসংযোগ

    [সম্পাদনা]