অ্যাডিসন রোগ

অ্যাডিসন রোগ
প্রতিশব্দঅ্যাডিসন রোগ, দীর্ঘস্থায়ী অ্যাড্রিনাল অপ্রতুলতা, হাইপোকারটিসোলিজম, হাইপোড্রেনালিজম, প্রাথমিক অ্যাড্রিনাল অপ্রতুলতা
অ্যাডিসন রোগে ভোগা এক ব্যক্তির পায়ের ত্বক
বিশেষত্বএন্ডোক্রাইনোলজি
লক্ষণপেটে ব্যথা, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, ত্বক কালো হওয়া
জটিলতাঅ্যাড্রিনাল সংকট
রোগের সূত্রপাতমধ্য বয়সী নারী
কারণঅ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে সমস্যা
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতিরক্ত পরীক্ষা, মূত্র পরীক্ষা, মেডিকেল ইমেজিং
চিকিৎসাকর্টিকোস্টেরয়েড যেমন হাইড্রোকার্টিসোন এবং ফ্লড্রোকার্টিসোন
সংঘটনের হারপ্রতি ১০,০০০ ব্যক্তির মধ্যে ০.৯-১.৪ জন (উন্নত বিশ্বে)

অ্যাডিসন রোগ, প্রাথমিক অ্যাড্রিনালিনের অপ্রতুলতা এবং হাইপোকর্টিসলিসম হিসাবেও পরিচিত যা একটি দীর্ঘমেয়াদী হরমোনাল ব্যাধি যাতে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি পর্যাপ্ত স্টেরয়েড হরমোন উৎপাদন করে না। লক্ষণগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে আসে এবং পেটে ব্যথা, দুর্বলতা এবং ওজন হ্রাস লক্ষনের অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ত্বকের কালচে ভাবও দেখা দিতে পারে। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে, নিম্ন রক্তচাপ, বমি বমিভাব, পিঠের নীচে ব্যথা এবং চেতনা হ্রাস নিয়ে অ্যাড্রিনাল সংকট দেখা দিতে পারে। কোনও আঘাত, সার্জারি বা সংক্রমণ থেকেও অ্যাড্রিনাল সংকট নির্ণয় করা যেতে পারে। []

অ্যাডিসন রোগে আক্রান্ত মহিলায় হাইপারপিগমেনটেশন দেখা যাচ্ছে

লক্ষণ ও উপসর্গ

[সম্পাদনা]

অ্যাডিসনের রোগের লক্ষণগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে। [] লক্ষণগুলোর মধ্যে ক্লান্তি, পেশীর দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, বমি বমি ভাব, বমিভাব, ক্ষুধা হ্রাস, স্থায়ীভাবে হালকা মাথাব্যাথা, বিরক্তি, হতাশা এবং ডায়রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কিছু মানুষের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে সোডিয়াম বেরিয়ে যাওয়ার কারণে নোনতা জাতীয় খাবারের প্রতি ক্ষুধা দেখা দেয়। [] যখন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ কোনও রৌদ্রোজ্জ্বল অঞ্চলে থাকেন তখন তার ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি পামার ক্রিজটি, ঠোঁটে সিঁদুরের মতো দাগ এবং যৌনাঙ্গের ত্বকে কালো দাগের উপস্থিতি দেখা যায়। [] ত্বকের এই পরিবর্তনগুললো গৌণ এবং তৃতীয়ধাপের হাইপোঅ্যাড্রেনালিজমে সাধারণত দেখা যায় না। []

চিকিৎসা

[সম্পাদনা]

অ্যাডিসন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে হারিয়ে যাওয়া কর্টিসলকে প্রতিস্থাপন করা হয়। কখনও কখনও হাইড্রোকর্টিসন ট্যাবলেট বা প্রসনিসোন ট্যাবলেটগুলোর দ্বারা কর্টিসলের শারীরবৃত্তীয় ঘনত্বকে পুরণ করা যায়। বিকল্প চিকিৎসার ক্ষেত্রে গ্লুকোকোর্টিকয়েড এবং এক-চতুর্থাংশ প্রিডনিসোন ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসা সাধারণত আজীবন স্থায়ী হয়। এছাড়াও, হারানো অ্যালডোস্টেরনের অভাব পুরনের জন্য অনেক লোকের ক্ষেত্রে ফ্লড্রোকর্টিসন প্রয়োজন হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Adrenal Insufficiency and Addison's Disease"National Institute of Diabetes and Digestive and Kidney Diseases। মে ২০১৪। ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৬ 
  2. "Addison's Disease"। National Endocrine and Metabolic Diseases Information Service। ২৮ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০০৭ 
  3. Ten S, New M, Maclaren N (২০০১)। "Clinical review 130: Addison's disease 2001": 2909–2922। ডিওআই:10.1210/jc.86.7.2909পিএমআইডি 11443143। ২২ আগস্ট ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০২০ 
  4. Freeman, Lynette K.; Chanco Turner, Maria L. (২০০৬)। "Addison's disease"Elsevier: 276–280। ডিওআই:10.1016/j.clindermatol.2006.04.006পিএমআইডি 16828409 
  5. de Herder WW, van der Lely AJ (মে ২০০৩)। "Addisonian crisis and relative adrenal failure": 143–7। ডিওআই:10.1023/A:1022938019091পিএমআইডি 12766542 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]
শ্রেণীবিন্যাস
বহিঃস্থ তথ্যসংস্থান