অ্যান ডাউড | |
---|---|
Ann Dowd | |
জন্ম | হলিওকে, ম্যাসাচুসেটস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ৩০ জানুয়ারি ১৯৫৬
শিক্ষা | কলেজ অব দ্য হলি ক্রস (বিএ) ডিপল বিশ্ববিদ্যালয় (এমএফএ) |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৫-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | লরেন্স আরান্সিও (বি. ১৯৮৪) |
সন্তান | ৩ |
অ্যান ডাউড (জন্ম ৩০ জানুয়ারি ১৯৫৬) একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে গ্রিন কার্ড (১৯৯০), লরেঞ্জোস অয়েল (১৯৯২), ফিলাডেলফিয়া (১৯৯৩), গার্ডেন স্টেট (২০০৪), দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট (২০০৪), মার্লি অ্যান্ড মি (২০০৮), সাইড ইফেক্টস (২০১৩), সেন্ট ভিনসেন্ট (২০১৪), ক্যাপ্টেন ফ্যান্ট্যাস্টিক (২০১৬) ও হিয়ারডিটারি (২০১৮)। ডাউড ২০১২ সালে থ্রিলারধর্মী কমপ্লাইয়্যান্স (২০১২) চলচ্চিত্রে স্যান্ড্রা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেন।
ডাউড এইচবিওর ধারাবাহিক দ্য লেফটওভার্স (২০১৪-২০১৭)-এ নিয়মিত অভিনয় করে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি হুলুর টিভি ধারাবাহিক দ্য হ্যান্ডমেইড্স টেল-এ অভিনয় শুরু করেন, এই কাজের জন্য তিনি একটি নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন।[১]
অ্যান ডাউড ১৯৫৬ সালের ৩০শে জানুয়ারি ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের হলিওকে শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার পিতা জন ডাউড এবং মাতা দোলোরেস (বিবাহপূর্ব ক্লার্ক)। তারা সাত ভাইবোন। অ্যান উচ্চ বিদ্যালয়ের শেষ বছরে থাকাকালীন তার পিতা মারা যান। তার পিতার মৃত্যুর পর তার মাতা তাদের লালনপালন করেন। তার মাতা পরবর্তীকালে ফিলিপ ডিন নামে একজন ডাক্তারকে বিয়ে করেন। ডাউডের বোন ক্যাথলিন (কেট) ডাউড লন্ডন ভিত্তিক অভিনয়শিল্পী নির্বাচক, ভাই জন ডাউড জুনিয়র তাদের প্র-পিতামহ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত দ্য ডাউড এঞ্জেন্সিসের সভাপতি, বোন এলিজাবেথ ডাউড ডেভলপমেন্ট থেরাপিস্ট ও প্যারেন্টিং কোচ, বোন ক্লেয়ার ডাউড ক্রিয়েটিভ অ্যাকশন ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক,[৩] বোন ডেবরা ডাউড সাইকোথেরাপিস্ট ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট ফর সাইকোঅ্যানালাইসিসের সাবেক সভাপতি,[৪] এবং ভাই গ্রেগরি ডাউড পশু চিকিৎসক। তার পিতামহ জেমস "কিপ" ডাউড মেজর লিগ বেসবল প্রতিযোগিতার দল পিটসবার্গ পাইরেটসের সাবেক খেলোয়াড়।
ডাউড গ্রিন কার্ড (১৯৯০) ও লরেঞ্জোস অয়েল (১৯৯২) অভিনয়ের পর জোনাথন ডেমির ফিলাডেলফিয়া (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে টম হ্যাঙ্কসের চরিত্র অ্যান্ড্রু বেকেটের বোন জিল বেকেট চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কাল্ট চলচ্চিত্র অল ওভার মি এবং ১৯৯৮ সালে অ্যাপ্ট পিউপিল অভিনয় করেন। এই সময় তিনি শিলো (১৯৯৭) এবং এর অনুবর্তী পর্ব শিলো ২: শিলো সিজন (১৯৯৯) ও সেভিং শিলো (২০০৬)-এ লুইস প্রেস্টন চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০০৪ সালে তিনি পুনরায় জোনাথন ডেমির পরিচালনায় দ্য মাঞ্চুরিয়ান ক্যান্ডিডেট-এ মেরিল স্ট্রিপের সাথে অভিনয় করেন। একই বছর তিনি গার্ডেন স্টেট চলচ্চিত্রে ন্যাটালি পোর্টম্যানের চরিত্রের মায়ের চরিত্রে এবং দ্য ফরগটেন চলচ্চিত্রে জুলিঅ্যান মুরের সাথে অভিনয় করেন। ২০০৫ সালে তিনি গ্রেচেন মোলের বিপরীতে দ্য নটরিয়াস বেটি পেজ চলচ্চিত্রে বেটি পেজের মা এডনা পেজ চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি ক্লিন্ট ইস্টউডের ফ্ল্যাগ অব আওয়ার ফাদার্স (২০০৬) চলচ্চিত্রে মিসেস স্ট্র্যাংক চরিত্রে এবং ডেভিড ফ্রাঙ্কেলের মার্লি অ্যান্ড মি (২০০৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
ডাউড ২০১২ সালে থ্রিলারধর্মী কমপ্লাইয়্যান্স (২০১২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে চলচ্চিত্রটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এতে তিনি ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক স্যান্ড্রা চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি রহস্যময় নৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন। এই কাজের জন্য ডাউড শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেন।[৫] তিনি স্টিভেন সোডারবার্গের দুটি চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল দি ইনফরম্যান্ট! (২০০৯) ও সাইড ইফেক্টস (২০১৩)। দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটিতে তিনি চ্যানিং ট্যাটামের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৮ সালে তাকে রোমহর্ষক হিয়ারডিটারি চলচ্চিত্রে জোন নামক পার্শ্ব চরিত্রে দেখা যায়।
ডাউড এইচবিওর ধারাবাহিক দ্য লেফটওভার্স (২০১৪-২০১৭)-এ প্যাটি লেভিন চরিত্রে অভিনয় করে ২০১৭ সালে নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি হুলুর টিভি ধারাবাহিক দ্য হ্যান্ডমেইড্স টেল-এ অভিনয় শুরু করেন, এই কাজের জন্য তিনি নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ২০১৭ সালে একটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার অর্জন করেন[৬] এবং ২০১৮ সালের আরেকটি মনোনয়ন লাভ করেন।[৭] এছাড়া এই কাজের জন্য তিনি ধারাবাহিক, মিনি ধারাবাহিক, বা টেলিচলচ্চিত্রে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন[৮] এবং নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ক্রিটিকস চয়েস টেলিভিশন পুরস্কার অর্জন করেন।[৯]