অ্যান ব্যাক্সটার | |
---|---|
Anne Baxter | |
![]() ১৯৫৩ সালে ব্যাক্সটার | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৫ লেনক্স হিল হাসপাতাল, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬২)
মৃত্যুর কারণ | স্ট্রোক[১] |
সমাধি | লয়েড জোন্স সমাধি, স্প্রিং গ্রিন, উইসকনসিন |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৬–১৯৮৫ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জন হোডিয়াক (বি. ১৯৪৬; বিচ্ছেদ. ১৯৫৩) র্যান্ডলফ গ্যাল্ট (বি. ১৯৬০; বিচ্ছেদ. ১৯৬৯) ডেভিড ক্লি (বি. ১৯৭৭; মৃ. ১৯৭৭) |
সন্তান | ৩ |
আত্মীয় | ফ্র্যাংক লয়েড রাইট (মাতামহ) লয়েড রাইট (মামা) জন লয়েড রাইট (মামা) এরিক লয়েড রাইট (মামাতো ভাই) এলিজাবেথ রাইট ইংরাহ্যাম (মামাতো বোন) |
অ্যান ব্যাক্সটার (ইংরেজি: Anne Baxter; ৭ই মে ১৯২৩ - ১২ই ডিসেম্বর ১৯৮৫) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি হলিউডের চলচ্চিত্র, ব্রডওয়ে মঞ্চনাটক ও টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার ও একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং একটি এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন।
ব্যাক্সটার মার্কিন স্থপতি ফ্র্যাংক লয়েড রাইটের নাতনী। তিনি মারিয়া অস্পেন্স্কায়ার নিকট অভিনয় বিষয়ে পড়াশুনা করেছেন এবং টোয়েন্টি মিউল টিম (১৯৪০) দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পূর্বে কয়েকটি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেছেন। তিনি টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং এই স্টুডিও থেকে ধারে আরকেও পিকচার্সের অরসন ওয়েলস পরিচালিত দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট অ্যাম্বারসন্স (১৯৪২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৪৬ সালের দ্য রেজর্স এজ চলচ্চিত্রে সোফি ম্যাকডোনাল্ড চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫১ সালে তিনি অল অ্যাবাউট ইভ চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকায় তার কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি হলিউডের কয়েকটি বিখ্যাত পরিচালকদের পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে রয়েছে অ্যালফ্রেড হিচককের আই কনফেস (১৯৫৩), ফ্রিৎস লাংয়ের দ্য ব্লু গার্ডেনিয়া (১৯৫৩) এবং সেসিল বি. ডামিলের দ্য টেন কমান্ডমেন্টস (১৯৫৬)।[২]
ব্যাক্সটার ১৯২৩ সালের ৭ই মে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের মিশিগান সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কেনেথ স্টুয়ার্ট ব্যাক্সটার (১৮৯৩-১৯৭৭) ছিলেন সিগ্রাম কোম্পানির নির্বাহী এবং মাতা ক্যাথরিন ডরোথি (প্রদত্ত নাম: রাইট; ১৮৯৪-১৯৭৯)।[৩] তার মাতামহ ছিলেন স্থপতি ফ্র্যাংক লয়েড রাইট। ব্যাক্সটারের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তিনি তার স্কুলের এক নাটকে অভিনয় করেন এবং পরবর্তী কালে তার ছয় বছর বয়সে তার সপরিবারে নিউ ইয়র্কে চলে গেলে সেখানেও তিনি অভিনয় চালিয়ে যান। তিনি নিউ ইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টারে বেড়ে ওঠেন[৪] এবং ব্রিয়ারলিতে পড়াশোনা করেন।[৫] ১০ বছর বয়সে ব্যাক্সটার ব্রডওয়েতে হেলেন হেইস অভিনীত একটি নাটক দেখতে গিয়েছিলেন এবং তিনি এতে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি তার পরিবারকে জানান যে তিনি অভিনেত্রী হতে চান। ১৩ বছর বয়সে তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে সিন বাট নট হার্ড নাটকে অভিনয় করেন। এই সময়ে ব্যাক্সটার অভিনেত্রী ও অভিনয়ের শিক্ষক মারিয়া অস্পেন্স্কায়ার নিকট থেকে অভিনয়ের কৌশল রপ্ত করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি দ্য ফিলাডেলফিয়া স্টোরি মঞ্চনাটকে ক্যাথরিন হেপবার্নের ছোট বোনের চরিত্রে কাজের জন্য নির্বাচিত হন, কিন্তু হেপবার্ন তার অভিনয়ের কৌশল পছন্দ করেননি। ফলে নাটকটি ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ হওয়ার আগেই তার স্থলে অন্য একজন অভিনেত্রীকে নেওয়া হয়। অভিনয় ছেড়ে না দিয়ে তিনি হলিউডে আগমন করেন।[৬]
তিনি টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্সের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন এবং এই স্টুডিও থেকে ধারে আরকেও পিকচার্সের অরসন ওয়েলস পরিচালিত দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট অ্যাম্বারসন্স (১৯৪২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি ক্র্যাশ ডাইভ (১৯৪৩) ছবিতে টাইরন পাওয়ারের বিপরীতে মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেন, এটি ছিল তার প্রথম টেকনিকালার চলচ্চিত্র। ১৯৪৩ সালে তিনি প্যারামাউন্ট পিকচার্সের প্রযোজনায় বিলি ওয়াইল্ডার পরিচালিত ফাইভ গ্রেভস টু কায়রো ছবিতে একটি উত্তর আফ্রিকান হোটেলের ফরাসি কর্মী চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধভিত্তিক নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয় তারকা হয়ে ওঠেন এবং দ্য নর্থ স্টার (১৯৪৩), দ্য সুলিভান্স (১৯৪৪), দ্য ইভ অব সেন্ট মার্ক (১৯৪৪) ও সানডে ডিনার ফর আ সোলজার (১৯৪৪) চলচ্চিত্রে তার ভবিষ্যৎ স্বামী জোন হোডিয়াকের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই প্রসঙ্গে ব্যাক্সটার পরবর্তী কালে বলেন, "আমি বেটি গ্রেবলের সমান চিঠি পাচ্ছিলাম। আমি আমাদের তরুণদের আদর্শ পাশের বাড়ির তরুণী হয়ে ওঠেছিলাম।"[৭]
১৯৪৬ সালের দ্য রেজর্স এজ চলচ্চিত্রে সোফি ম্যাকডোনাল্ড চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন। ব্যাক্সটার পরবর্তী কালে বলেন যে দ্য রেজর্স এজ ছবিতে তার সেরা কাজটি রয়েছে, যেখানে একটি হাসপাতালের দৃশ্যে সোফি চরিত্রটি তার স্বামী, সন্তান ও সবকিছু হারায়। তিনি বলেন তিনি তার তিন বছর বয়সে মারা যাওয়া ভাইয়ের মৃত্যু পুর্নযাপন করেছিলেন।[৮]
১৯৫০ সালে তিনি অল অ্যাবাউট ইভ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য নির্বাচিত হন, কারণ ক্লডেট কোলবার্টের সাথে তার চেহারায় মিল রয়েছে। কোলবার্টকে শুরুরে এই চরিত্রের জন্য নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে বাদ দেওয়া হয় এবং বেটি ডেভিসকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল চলচ্চিত্রে ব্যাক্সটারের চরিত্রটিকে ধীরে ধীরে কোলবার্ট চরিত্রে প্রতিবিম্বিত করা। এই ছবিতে নাম ভূমিকা ইভা হ্যারিংটন চরিত্রে তার কাজের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
বছর | পুরস্কার | বিভাগ | কাজ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
১৯৪৭ | গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী – চলচ্চিত্র | দ্য রেজর্স এজ | বিজয়ী |
১৯৪৭ | একাডেমি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | দ্য রেজর্স এজ | বিজয়ী |
১৯৫১ | শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | অল অ্যাবাউট ইভ | মনোনীত | |
১৯৬৯ | প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার | কেন্দ্রীয় চরিত্রে সেরা একক অভিনয় | দ্য নেম অব দ্য গেম ("দ্য ববি কুরিয়ার স্টোরি") | মনোনীত |