অ্যান্ডি ডুকাট

অ্যান্ডি ডুকাট
১৯৩৯ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে অ্যান্ডি ডুকাট
ব্যক্তিগত তথ্য
উচ্চতা৫ ফুট ১০ ইঞ্চি (১.৭৮ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট২ জুলাই ১৯২১ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪২৯
রানের সংখ্যা ২৩৩৭৩
ব্যাটিং গড় ২.৫০ ৩৮.৩১
১০০/৫০ -/- ৫২/১০৯
সর্বোচ্চ রান ৩০৬*
বল করেছে ১৯৮১
উইকেট ২১
বোলিং গড় ৪৩.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/- ২০৬/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

অ্যান্ড্রু ডুকাট (ইংরেজি: Andy Ducat; জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৬ - মৃত্যু: ২৩ জুলাই, ১৯৪২) লন্ডনের ব্রিক্সটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ও ফুটবলার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন অ্যান্ডি ডুকাটক্রিকেটের বাইরে ইংরেজ ফুটবল খেলায়ও সপ্রতিভ অংশগ্রহণ ছিল তার। এরফলে স্বল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজনরূপে উভয় ক্রীড়াতেই অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

লন্ডনের ব্রিক্সটনে জন্মগ্রহণ করলেও সাউথএন্ডে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন অ্যান্ডি ডুকাট।

১৯০৬ সালে ওভালের গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবে যোগ দেন। এরপর থেকেই কাউন্টি দলে টম হেওয়ার্ড, জ্যাক হবসআর্নেস্ট হেইসের সাথে তিনিও নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার অধিকারী অ্যান্ডি ডুকাট শক্তিধর ও আগ্রাসী ব্যাটসম্যানের মর্যাদা লাভ করতে থাকেন। সারে দলের পক্ষে ৫২টি সেঞ্চুরি করেন। তন্মধ্যে ১৯১৯ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০৬* রান তুলেছিলেন।

১৯২০ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন।[]

আঘাতের কারণে অনেকগুলো খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। ১৯১২ সালে পা ভেঙ্গে গেলে খেলোয়াড়ী জীবন শেষ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল তার। ১৯২৪ সালে আবদ্ধ জালে ঘেরা পিচে অনুশীলনকালে বাহুতে আঘাতের ফলে পুরো মৌসুম খেলতে পারেননি। ১৯২৮ সালে চার সপ্তাহেরও কম সময়ে ৯৯৪ রান তুলেন। এ সময় তিনি চার খেলায় উপর্যুপরি সেঞ্চুরি করেছিলেন।

টেস্ট ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯২৯-৩০ মৌসুমে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[][] এ সময়ে তিনি এমসিসি দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে খেলার সুযোগ হয় তার। ১৯২১ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অভিষেক হয় তার। হেডিংলিতে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তিনি মাত্র ৩ ও ২ রান তুলতে পেরেছিলেন। এরপর তাকে আর টেস্ট আঙ্গিনায় দেখা যায়নি। তিনি খেলায় আরও একটি বিরল নজির স্থাপন করেন। প্রথম ইনিংসে দুইভাবে আউট হন। টেড ম্যাকডোনাল্ডের বলে স্লিপে কট আউট হলেও এর পূর্বেই হিট উইকেট হন।

ফুটবলে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

ফুটবল খেলায়ও সফলতা পেয়েছেন অ্যান্ডি ডুকাট। শুরুতে লীগবিহীন সাউথএন্ড ইউনাইটেড দলে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯০৫ সালে প্রথম বিভাগের দল ওলউইচ আর্সেনালে যোগ দেন।

১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫ তারিখে আর্সেনাল দলের পক্ষে অভিষেক ঘটে অ্যান্ডি ডুকাটের। সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলে ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয় পায় তার দল। ১৯০৬-০৭ মৌসুমে দলের বাইরে অবস্থান করেন। পরবর্তীতে রাইট হাফে অবস্থান পরিবর্তন করেন ও ১৯০৭-০৮ মৌসুম থেকে ১৯০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। আর্সেনাল থাকাকালে তিনবার ইংল্যান্ড দলের পক্ষে খেলার সুযোগ পান। ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯১০ তারিখে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় অংশ নেন। খেলায় ইংল্যান্ড ৬-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। দ্বিতীয় খেলায় ওয়েলসের বিপক্ষে একই বছরের ১৪ মার্চ তারিখে অংশ নেন। ডুকাটের একমাত্র গোলে তার দল ১-০ ব্যবধানে জয় পায়।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেবার পর ১৯৩১ সালে কোচিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন। একাধারে পাঁচ বছর ইটন কলেজে ক্রিকেট কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৪২ সালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুর পূর্ব-পর্যন্ত ক্রীড়া সাংবাদিকের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি তখন লর্ডসে সারে থেকে আগত দলকে নিয়ে যুদ্ধকালীন ক্রিকেট খেলায় হোম গার্ড ও সাসেক্সের অন্য একটি দলের মধ্যকার খেলার প্রতিবেদন কার্যে নিয়োজিত ছিলেন।[] তবে, মধ্যাহ্নভোজনের পর হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হলে তার দেহাবসান ঘটে।

সাথে সাথেই খেলাটি ডুকাটের সম্মানার্থে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে তিনিই লর্ডসে খেলা চলাকালীন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Full List on Cricinfo, Retrieved 11 July, 2017.
  2. ACS (১৯৮২)। A Guide to First-Class Cricket Matches Played in the British Isles। Nottingham: ACS। 
  3. "Marylebone Cricket Club Players"। CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  4. Sengupta, Arunabha। "Unique oxymoron: The only time when the scoreboard read — 'not out dead'"cricketcountry.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৫ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]