ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্ড্রু জন বিকেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লেডলি, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া | ২৭ আগস্ট ১৯৭০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বিক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৮২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩৭১) | ২৫ জানুয়ারি ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১২ ডিসেম্বর ২০০৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৩০) | ৫ জানুয়ারি ১৯৯৭ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯২–২০০৭ | কুইন্সল্যান্ড বুলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১–২০০৪ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ | হ্যাম্পশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬–২০০৭ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ |
অ্যান্ডি জন বিকেল (ইংরেজি: Andy Bichel; জন্ম: ২৭ আগস্ট, ১৯৭০) কুইন্সল্যান্ডের লেডলি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে তিনি মূলতঃ সিম বোলার হিসেবে ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলিং করতেন। ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করলেও তিনি তেমন সফলকাম ছিলেন না।
ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কুইন্সল্যান্ডের রাজ্য দলের পক্ষে খেলেন।[১] পাশাপাশি ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, হ্যাম্পশায়ার এবং ওরচেস্টারশায়ারের খেলেছেন।[২] প্রচণ্ড বাতাসের মধ্যেও তিনি অনেকগুলো ওভার বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন ‘বিক’ ডাকনামে পরিচিত অ্যান্ডি বিকেল। এছাড়াও তিনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৯৬ সালে অ্যাডিলেডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। একই দলের বিপক্ষে ব্রিসবেনে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। দূর্ভাগ্যবশতঃ তার সময়কালে তরুণ ও উদীয়মান ব্রেট লি'র উত্থান ঘটে। এরফলে গ্লেন ম্যাকগ্রা ও জেসন গিলেস্পির সাথে তৃতীয় ফাস্ট-বোলার হিসেবে দল নির্বাচকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। প্রায়শঃই ব্রেট লি তৃতীয় ফাস্ট-বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন। এরফলে বিকেলকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ১৯বার দ্বাদশ ব্যক্তির মর্যাদা পেতে হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিকেল মন্তব্য করেছেন যে, ঐ সময়ে তার বোলিং ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। মূলতঃ জেসন গিলেস্পি, ব্রেট লি এবং গ্লেন ম্যাকগ্রাকে সহায়তাকারী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হয়। বিকেল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম খেলেন। কিন্তু গিলেস্পি আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়েন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭/২০ ও মাইকেল বেভানের সাথে নবম উইকেটে অপরাজিত ৭৩ রান সংগ্রহে দলকে সহজ জয়ে সহায়তা করেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার সিক্স পর্যায়ের খেলায় দলীয় সংগ্রহ ৮৪/৭ হলে মাইকেল বেভানের সাথে তিনি পুনরায় অস্ট্রেলিয়া দলকে রক্ষা করেন। তন্মধ্যে তিনি তার সর্বোচ্চ ৬৪ করে দলকে জয় এনে দেন। সেমি-ফাইনালে ১০ ওভারে ১৮ রান দিয়ে কোন উইকেটে না পেলেও অরবিন্দ ডি সিলভা'র রান-আউটে অংশীদার হন। চূড়ান্ত খেলায় ভারতের বিপক্ষে রাহুল দ্রাবিড়ের একমাত্র উইকেটের সন্ধান পান ও দলকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করার গৌরবের ভাগীদার হন।
২০০৪-০৫ মৌসুমে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ হননি। এরফলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঐ মৌসুমে তার খেলার বিষয়ে সন্দিহান ছিল। কিন্তু ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় উচ্চ মানদণ্ডের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষিতে পরিষ্কার হয়ে যায় যে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে খেলতে ইচ্ছুক।
২০০৪-০৫ মৌসুমে রাজ্য পর্যায়ে বিকেলের অবিশ্বাস্য ফলাফলে তাকে ২০০৫ সালের বর্ষসেরা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট পুরস্কারে ভূষিত হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অনুপস্থিতি সমর্থকদের কাছে প্রতীকিতে পরিণত হন ও প্রায়শঃই স্টেডিয়ামে বিকেলকে ফিরিয়ে আনো স্লোগানে মুখরিত থাকতো। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ তারিখে বিকেল তার অবসরের ঘোষণা দেন। এর জন্য তিনি কাঁধের আঘাতকে দায়ী করেন।[৩]
২০১০ সালের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষ ২০১১ সালের আইপিএলে দলের খেলোয়াড়দের বোলিং কোচ হিসেবে তার সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। এরপর তিনি পাপুয়া নিউগিনির কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ১১ নভেম্বর, ২০১১ তারিখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচক হিসেবে তার অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করে।