![]() ২০১১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্ড্রু ব্যারি ম্যাকডোনাল্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | উডোঙ্গা, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ৫ জুন ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | রনি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৪ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪০৬) | ৩ জানুয়ারি ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ মার্চ ২০০৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০২ - ২০১৩ | ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্স (জার্সি নং ৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ - ২০০১ | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (জার্সি নং ৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০ - ২০১১ | লিচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ৪) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ - ২০১২ | মেলবোর্ন রেনেগেডেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ - ২০১৩ | রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ - ২০১৪ | অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ - ২০১৫ | সাউথ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৪ - ২০১৬ | সিডনি থান্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ অক্টোবর ২০১৯ |
অ্যান্ড্রু ব্যারি ম্যাকডোনাল্ড (ইংরেজি: Andrew McDonald; জন্ম: ৫ জুন, ১৯৮১) ভিক্টোরিয়ার উডোঙ্গা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া ও সাউথ অস্ট্রেলিয়া এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন ‘রনি’ ডাকনামে পরিচিত অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
২০০১-০২ মৌসুম থেকে লাল চুলের অধিকারী অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষে খেলাসহ প্রধানমন্ত্রী একাদশেরও সদস্য ছিলেন তিনি। অল-রাউন্ডার হিসেবে ডানহাতে ব্যাটিং ও ডানহাতে মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ে সক্ষমতা দেখিয়েছেন। ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়া এ দলকে নেতৃত্ব দেন।
২০০৩-০৪ মৌসুমে অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের প্রথম-শ্রেণীর শুরুটা বেশ ভালো করেন। প্রথম দশ খেলায় ৩২ উইকেট পেয়েছিলেন। তখন তার মাঝে বেশ প্রতিশ্রুতিশীলতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬/৬৭ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। এক পর্যায়ে ১৪ বলের ব্যবধানে ২ রান খরচায় চার উইকেট পেয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাকে দলের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাখার কথা ভাবা হয়েছিল। ব্যাট হাতে তাকে প্রতিকূল অবস্থায় মোকাবেলা করতে হয়েছিল। শুরুতে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামলেও শেষদিকে আট নম্বরে নামতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। আঙ্গুলে অস্ত্রোপচারের কারণে অল্প কয়েকটি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে মাত্র চার খেলায় অংশ নেন। ৮৩ রান ও চার উইকেট পান তিনি।
আঘাত থেকে মুক্তি পেয়ে ২০০৬-০৭ মৌসুমে স্বরূপ ধারণ করেন। পুরা কাপে শতাধিক গড়ে পাঁচ শতাধিক রান তুলেন। ঐ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ড/পুরা কাপের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে ৭৫০ রানে ও ২৫ উইকেট লাভের ন্যায় ডাবল লাভের কৃতিত্ব দেখান।[১] এ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের কোটা স্পর্শ করেন। উইকেট লাভের দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ব্যাটিং গড়ে ব্র্যাড হজের পর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেন। ঐ গ্রীষ্মে কেবলমাত্র একটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস ছিল তার। এরপর আরও ছয়টি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলে স্বীয় গড়কে ৫৭.৬৯-এ উন্নীত করেন। আঘাতে জর্জরিত বুশর্যাঞ্জার্সদের পক্ষে বোলিং করে ২৯জন খেলোয়াড়কে আউট করেন। কুইন্সল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৬/৩৪ পান। স্বভাবতঃই ভিক্টোরিয়ার বর্ষসেরা পুরা কাপ খেলোয়াড় হিসেবে নামাঙ্কিত হন ও ২০০৭ সালে আংশিকভাবে একাডেমিতে স্থান করে নেন। সেপ্টেম্বরে এ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। তবে, কাঁধের আঘাতে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন।
২০১১ সালে লিচেস্টারশায়ার কাউন্টি দলটির টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় সফলতা লাভের পর মাত্র দুইজন সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। এরপর দুই বছরের অধিক সময় কোন চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় জয়লাভ করতে পারেনি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রাথমিক তালিকায় অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডকে অস্ট্রেলিয়া দলে রাখা হয়। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতাসহ ভারত সফরে সাত খেলা নিয়ে গড়া ওডিআই সিরিজে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রাথমিক তালিকায় তাকে রাখা হয়েছিল।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। ৩ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে সিডনিতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯ মার্চ, ২০০৯ তারিখে কেপটাউনে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
জানুয়ারি, ২০০৯ সালে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস ও শেন ওয়াটসনের আঘাতের কারণেই তার এ সুযোগ ঘটে। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন তিনি। তবে, ১৫ রানে ব্যাটের কিনারা স্পর্শ করে মার্ক বাউচারের বিশ্বস্ত গ্লাভসে জমা হয়। এ ইনিংস চলাকালীন মরনে মরকেলের মারাত্মক বাউন্সার তার হেলমেটে আঘাত হানে ও অল্পের জন্যে লেগ স্ট্যাম্পে আঘাত করেনি। পরদিন হাশিম আমলাকে ৫১ রানে এলবিডব্লিউতে আউট করে নিজস্ব প্রথম টেস্ট উইকেট লাভ করেন।
ফেব্রুয়ারি - মার্চ, ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের জন্যে মনোনীত হন। তিন টেস্ট নিয়ে গড়া ঐ সিরিজে সফরকারীরা ২-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে। ম্যাকডোনাল্ড দলের জয়ে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হন। কেপটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। তাসত্ত্বেও, পরাজয় এড়াতে পারেনি তার দল। ঐ সিরিজে তিনি ছয় উইকেট পেয়েছিলেন।[২]
এ ধরনের ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্যে মনোনীত হন। কিন্তু, ঐ সফরে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। তবে, নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় বেশ ভালো করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ৭৫ রান সংগ্রহের পাশাপাশি ৪/১৫ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে অস্ট্রেলীয় একাদশের জয়ে বড় ধরনের ভূমিকায় রাখেন। অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালীন প্রথমে সন্তানের জন্মের প্রাক্কালে সাময়িকভাবে দেশে ফিরে আসেন।[৩]
২০০৯ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন।[৪] তার এ অভিজ্ঞতা ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ভিক্টোরিয়া দলের সদস্যরূপে প্রয়োগে ঘটান। এরপর নভেম্বর, ২০০৯ সালে ভারতের মাটিতে আঘাতে জর্জরিত অস্ট্রেলিয়ার ওডিআই দলকে বেশ সহায়তা করেন।[৫]
২০১১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৩৫০জন খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে নিলামে তাকে রাখা হয়। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সাথে $৮০০০০ মার্কিন ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন। ১১ জানুয়ারি, ২০১২ তারিখে $১০০,০০০ মার্কিন ডলারে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে চলে যান।[৬]
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ পর্যায়ে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।[৭] এছাড়াও, ভিক্টোরিয়া ও মেলবোর্ন রেনেগেডেসকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।[৮] তন্মধ্যে, ভিক্টোরিয়ায় অবস্থানকালে প্রথমে বছরেই শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা লাভে ভূমিকা রাখেন।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৯]