ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যান্ড্রু জেমস হল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | জোহেন্সবার্গ, ট্রান্সভাল প্রদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩১ জুলাই ১৯৭৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ব্রোস, মার্ভ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৮৪) | ৮ মার্চ ২০০২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ জানুয়ারি ২০০৭ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৪) | ২৭ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১ জুলাই ২০০৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ৯৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৫ - ২০০১ | গটেং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১ - ২০০৪ | ইস্টার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ - ২০০৪ | ওরচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪ - ২০০৬ | লায়ন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৫ - ২০০৭ | কেন্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০০৯ | ডলফিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮ - ২০১৪ | নর্দাম্পটনশায়ার (জার্সি নং ১) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১০/১১ - ২০১১/১২ | ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস (জার্সি নং ৭) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
অ্যান্ড্রু জেমস হল (ইংরেজি: Andrew Hall; জন্ম: ৩১ জুলাই, ১৯৭৫) ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের পক্ষে খেলেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটে ডলফিন্স, গটেং ও ইস্টার্নস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ওরচেস্টারশায়ার, কেন্ট ও নর্দাম্পটনশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি অল-রাউন্ডার হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। ফাস্ট-মিডিয়াম পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি দলের উদ্বোধনী অথবা শেষদিকে ব্যাটিংয়ে নামতেন ‘ব্রোস’ ডাকনামে পরিচিত অ্যান্ড্রু হল।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের পূর্বে ইনডোর ক্রিকেটের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি। ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে নিজেকে ক্রিকেট জীবনের সাথে জড়িয়ে ফেলেন। শুরুতে তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সাথেই একীভূত করেন নিজেকে।
১৯৯৯ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ডারবানে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২০০৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার একদিনের আন্তর্জাতিক দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন। এ সময়ে তিনি ২০০৩ ও ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন।
নভেম্বর, ২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিকে জাস্টিন ক্যাম্পের সাথে ৮ম উইকেট জুটিতে ১৩৮ রান তুলে রেকর্ড গড়েন। তন্মধ্যে তিনি ৪৭ বলে ৫৬* রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়াও বোলিংয়ে নেমে ৩ উইকেট দখল করেন। ১৭ এপ্রিল, ২০০৭ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনসিংটন ওভালে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন। তিনি একে-একে পল কলিংউড, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, পল নিক্সন, সাজিদ মাহমুদ ও জেমস অ্যান্ডারসনের উইকেট নিয়ে দলকে জয়ী করতে সহায়তা করেন।[১]
টেস্ট ক্রিকেটেও তিনি সমান দক্ষতা প্রদর্শন করেন। ২০০২ সালে কেপটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। ৮ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭০ রান করেন। কিন্তু খেলায় তিনি কোন উইকেট পাননি। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ড সফরে যাবার জন্য শেষ মুহুর্তে দলে ডাক পান। টেস্ট সিরিজে তিনি ১৬ উইকেট লাভ করেন। তন্মধ্যে হেডিংলিতে জয়সূচক অপরাজিত ৯৯* রান সংগ্রহ করেন। এরফলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ৫ম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি মাত্র এক রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ২০০৪ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। কানপুরে তিনি ১৬৩ রান তুলে অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান।
সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর নেন হল। কিন্তু এর জন্য তিনি কোন কারণ উপস্থাপন করেননি। এ প্রসঙ্গে কেন্টের কোচ গ্রাহাম ফোর্ডের ধারণা - ২০০৭ সালের টুয়েন্টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ থেকে তাকে বাদ দেয়াই অবসর নেয়ার প্রধান কারণ।[২] এরপর তিনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে হায়দ্রাবাদ হিরোজ দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন।