অ্যান্ড্রেয়া লিডস | |
---|---|
![]() আনু. ১৯৩০-এর দশকে প্রচারণামূলক ছবিতে লিডস | |
জন্ম | আঁতোয়ানেত লিস ১৮ আগস্ট ১৯১৪ বাট, মন্টানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ২১ মে ১৯৮৪ পাম স্প্রিংস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৬৯)
সমাধি | ডেজার্ট মেমোরিয়াল পার্ক, ক্যাথিড্রাল সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউসিএলএ |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৩৪-১৯৪০ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রবার্ট স্টুয়ার্ট হাওয়ার্ড (বি. ১৯৩৯–১৯৬২) |
পিতা-মাতা | চার্লস লিস লিনা লিস |
অ্যান্ড্রেয়া লিডস (জন্ম আঁতোয়ানেত লিস,[১] ১৮ আগস্ট ১৯১৪ - ২১ মে ১৯৮৪) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি ১৯৩০-এর দশকের শেষভাগে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি স্টেজ ডোর (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল ইয়ুথ টেকস আ ফ্লিং (১৯৩৮), দে শ্যাল হ্যাভ মিউজিক (১৯৩৯), দ্য রিয়্যাল গ্লোরি, ও সোয়ানি রিভার (১৯৩৯)। তিনি প্রধান চরিত্রে কাজের দিকে নজর দিচ্ছিলেন, কিন্তু এই সময়ে ১৯৩৯ সালে বিয়ে করে অভিনয় থেকে অবসরে চলে যান।[২]
লিডস ১৯১৪ সালের ১৮ আগস্ট মন্টানা অঙ্গরাজ্যের বাটে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পিতা চ্যাস (চার্লস) এবং মাতা লিনা লিস।[৪][৫] তার পিতা ইংল্যান্ড থেকে অভিবাসিত একজন খনি প্রকৌশলী।[৩] লিডস তার কৈশোরের অধিকাংশ সময় মেক্সিকোতে কাটিয়েছেন, সেখানে তার পিতা খনিতে কাজ করতেন।[৩]
লেখিকা হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে লিডস লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৩]
লিডস ১৯৩৩ সালে ছোট চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। অ্যান্ড্রেয়া লিডস নাম গ্রহণ করার পর তার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল কাম অ্যান্ড গেট ইট (১৯৩৬)।[৬] তিনি ইট কুড হ্যাপেন টু ইউ! (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন।
তিনি ক্যাথরিন হেপবার্ন, জিঞ্জার রজার্স ও লুসিল বলদের সাথে তারকাবহুল স্টেজ ডোর (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে উচ্চাকাঙ্ক্ষী অভিনেত্রী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[২] তিনি গন উইথ দ্য উইন্ড চলচ্চিত্রের মেলানি চরিত্রটি পড়েছিলেন, তবে চরিত্রে পরে অলিভিয়া ডা হ্যাভিলন্ডের কাছে চলে যায়।
এরপর তিনি জোয়েল ম্যাক্রিয়ার বিপরীতে দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল - ইয়ুথ টেকস আ ফ্লিং (১৯৩৮) ও দে শ্যাল হ্যাভ মিউজিক (১৯৩৯)। এই চলচ্চিত্রগুলোতে তিনি প্রথমবারের মত মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি এরপর গ্যারি কুপার ও ডেভিড নিভনের সাথে প্রণয়ধর্মী দ্য রিয়্যাল গ্লোরি এবং ডন আমিচির বিপরীতে সোয়ানি রিভার (১৯৩৯)।
লিডসের অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল কল্পনাধর্মী হত্যা রহস্য চলচ্চিত্র আর্থবাউন্ড (১৯৪০)। এই চলচ্চিত্রে লিডসের চরিত্রটি তার স্বামীর আত্মার সাহায্যে তার খুনের রহস্য উদ্ধার করে।
লিডস ১৯৩৯ সালের ২৫শে অক্টোবর রবার্ট স্টুয়ার্ট হাওয়ার্ডকে বিয়ে করেন।[৪] হাওয়ার্ড ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যবসায়ী ও ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মালিক চার্লস এস. হাওয়ার্ডের পুত্র। বিয়ের পর তিনি পরিবারকে সময় দিতে চলচ্চিত্র ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার শ্বশুর সিবিস্কুটের মালিক ছিলেন এবং তিনি ও তার স্বামী সফল ঘোড়দৌড়ের ঘোড়ার মালিক ছিলেন।
১৯৬২ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি স্বর্ণ ব্যবসা পরিচালনা করতেন। লিডস হাওয়ার্ড দম্পতির দুই সন্তান ছিল। তাদের পুত্র রবার্ট হাওয়ার্ড জুনিয়র। তাদের কন্যা লিঅ্যান ১৯৭১ সালে ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করেন।
লিডস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৪ সালের ২১শে মে ৬৯ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিংসে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাথিড্রাল সিটির ডেজার্ট মেমোরিয়াল পার্কে সমাহিত করা হয়।[৭]
১৯৯৪ সালে পাম স্প্রিংস ওয়াক অব স্টার্সে তার সম্মানার্থে একটি সোনালী পাম স্টার উৎসর্গ করা হয়।[৮]