অ্যান্থনি ফ্রান্সিয়োসা | |
---|---|
Anthony Franciosa | |
জন্ম | অ্যান্থনি জর্জ পাপালেও ২৫ অক্টোবর ১৯২৮ |
মৃত্যু | ১৯ জানুয়ারি ২০০৬ লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭৭)
পেশা | অভিনেতা |
কর্মজীবন | ১৯৫৫-২০০৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | বিয়াত্রিস বাকালিয়ার (বি. ১৯৫২; বিচ্ছেদ. ১৯৫৭) শেলি উইন্টার্স (বি. ১৯৫৭; বিচ্ছেদ. ১৯৬০)[১] জুডি ব্যালাবান (বি. ১৯৬১; বিচ্ছেদ. ১৯৬৭) রিটা থিয়েল (বি. ১৯৭০; মৃ. ২০০৬) |
সন্তান | ৩ |
অ্যান্থনি ফ্রান্সিয়োসা (ইংরেজি: Anthony Franciosa; জন্ম: অ্যান্থনি জর্জ পাপালেও,[২] ২৫ অক্টোবর ১৯২৮ - ১৯ জানুয়ারি ২০০৬) ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেতা। তিনি মঞ্চনাটকে কাজ করে সফলতা অর্জন করেন এবং ব্রডওয়ে মঞ্চে আ হ্যাটফুল অব রেইন নাটকে অভিনয় করে টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এই নাটকের চলচ্চিত্ররূপে (১৯৫৭) অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার ও সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে ভল্পি কাপ অর্জন করেন। ১৯৫৯ সালে ক্যারিয়ার চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি সেরা নাট্য চলচ্চিত্র অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং ১৯৬৫ সালে রিও কঞ্চোস চলচ্চিত্রে অভিনয় করে অপর একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
টেলিভিশনে তিনি বেশ কয়েকটি ছোট ভূমিকায় অভিনয়ের পাশাপাশি পাঁচটি টেলিভিশন ধারাবাহিকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন; সেগুলো হল সিটকম ভ্যালেন্টাইন্স ডে (১৯৬৪-১৯৬৫), নাট্যধর্মী দ্য নেম অব দ্য গেম (১৯৬৮-১৯৭১), সার্চ (১৯৭২-১৯৭৩), ম্যাট হেম (১৯৭৫) এবং ফাইন্ডার অব লস্ট লাভস (১৯৮৪)।
ফ্রান্সিয়োসা ১৯২৮ সালের ২৫শে এপ্রিল নিউ ইয়র্ক সিটির ছোট ইতালি অংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা একজন নির্মাণ কর্মী ও মাতা একজন দর্জি ছিলেন।[৩] তারা দুজনেই ইতালীয়-মার্কিন ছিলেন। তার পিতামহ-মাতামহরা ১৮৯০ সালে ইতালির বাসিলিকাতার মেলফি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন।[৪] তিনি তাদের একমাত্র সন্তান। তার যখন এক বছর বয়স তখন তার পিতামাতার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিনি তার মাতা ও খালার কাছে বেড়ে ওঠেন।[৫] তিনি পরবর্তী কালে বলেন যে তিনি নিজেকে তার পিতা কর্তৃক পরিত্যক্ত মনে করতেন।[৩] তিনি শ্রমিক, ওয়েল্ডার, থালা ধৌতকারী ও পাচক হিসেবে কাজ করতেন। তিনি বলেন যে আকস্মিকভাবেই তিনি অভিনয়ের সাথে জড়িয়ে পড়েন। তার পেশাদার কর্মজীবন শুরুর সময় তিনি তার মায়ের বিবাহপূর্ব নাম ফ্রান্সিয়োসা গ্রহণ করেন।[৬]