অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড একটি বহুজাতিক আমেরিকান প্রযুক্তি কোম্পানি যেটি ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স বিক্রি করে যেগুলো চুরি করা অথবা ক্রয় করা ডিজাইনের হলেও নিজস্ব সৃষ্টি বলে দাবী করে তারা।[১][২][৩] অ্যাপলের সমালোচনা-এর মধ্যে রয়েছে অনৈতিক ব্যবসায় পদ্ধতি যথা– অপ্রতিযোগী আচরণ, বেপরোয়া মামলা,[৪] এবং সন্দেহজনক কর কার্যপদ্ধতি, নামমাত্র মজুরিতে শ্রমিকদের দ্বারা উৎপাদন পদ্ধতি,[৫][৬][৭] অপর্যাপ্ত ডাটা নিরাপত্তা ও বিভ্রান্তিকর ওয়ারেন্টির মত ক্রেতা সেবা ইশু, এবং পরিবেশ বিপর্যয়। সাথে সাথে এটিযুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি প্রোগ্রামের সাথে কথিত সহযোগ, প্রিজমের জন্যেও এটি সমালোচিত।
কোম্পানিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো হলো:
অ্যাপল তাদের শেষের দিকের ম্যাকবুক মডেলসমূহ ও আইফোন পণ্যে মালিকানাধীন অংশ ও স্ক্রু ব্যবহারের জন্যে সমালোচনার স্বীকার হয়। ২০১২-এর মাঝামাঝি অ্যাপল আরও পাতলা গড়নযুক্ত ও হালকা রেটিনা ডিসপ্লে ম্যাকবুক প্রো আনে। ম্যাকবুক প্রো এর মুক্তির পর মাদারবোর্ডের সাথে ঝালানো র্যাম, অ্যালুমুনিয়াম ইউনি-বডি কাঠামোর সাথে সাঁটানো ব্যাটারি, কাচের সাথে নিলীন করা এলইডি পর্দা, এবং প্রচলিত সাটা ইন্টারফেসের বদলে মালিকানাধীন পিসিআই-ই সলিড-স্টেট ড্রাইভের ব্যবহারের জন্যে সমালোচকদের ক্রুদ্ধ নজরের মুখোমুখি হয়। অনেকে এ ধরনের আচরনকে বলেছেন ভোক্তাদের তাদের ক্রিত পণ্য থেকে দূরে রাখা ও স্বমেরামত হ্রাস করায় অ্যাপলের সিদ্ধান্ত। [৮][৯] আইফিক্সইট নামে একটি ইলেকট্রনিকস ডু-ইট-য়্যুরসেলফ ওয়েবসাইট, ২০১২ রেটিনা ম্যাকবুক প্রোকে "the least repairable notebook on the market" বা "বাজারের সবচেয়ে কম মেরামতযোগ্য নোটবুক" বলে অভিহিত করে।[১০]
অ্যাপল একইভাবে তাদের মিউজিক স্টোর আইটিউন্সকে ঘিরে তাদের আবদ্ধ বাস্তুব্যবস্থা বা ইকো সিস্টেমের জন্যেও বিতর্কের সম্মুখীন হয়। এইজন্যে স্টিভ জবসকে আইপড ও আইটিউন্সের এন্টিট্রাস্ট বিষয়ে কোর্টে শুনানির জন্যে উপস্থিত হওয়ার জন্যে তলব করা হয়। অ্যাপল তাদের ফেয়ারপ্লে ডিআরএম, অথবা এর আগের লোসলেস ফরমেট কোডেক অ্যাপল লোসলেস (এএলএসি) অন্য কোন কোম্পানির কাছে নিবন্ধন করেনি, আর এভাবে তারা আইটিউন্স স্টোর থেকে ক্রয়কৃত পণ্য রোধ করে কিংবা নন-আইটিউন্স উৎস থেকে ক্রয়কৃত পণ্য তাদের যন্ত্রে চালাতে সমস্যা সৃষ্টি।
২০১১ সালে অ্যাপল এএলএসি সোর্স কোড অ্যাপাচি লাইসেন্সের অধীনে উন্মুক্ত করে দেন।
অ্যাপল আবার বিতর্কের মধ্যে পড়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে সংগীতের অনলাইন বিক্রিকে কেন্দ্র করে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে একটি একক বাজার হিসেবে ক্রেতারা যেকোন সদস্য রাষ্ট্র থেকে পণ্য বা সেবা ক্রয় করার বিষয়ে স্বাধীন। আইটিউন্স স্টোর সেখানে তাদেরকে শুধুমাত্র তাদের পরিশোধ বিস্তারিতের মূল জায়গা থেকে সংগীত ক্রয়ের সুযোগ প্রদান করে, যা তাদেরকে কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ-মূল প্রদানে বাধ্য করে। ৩ ডিসেম্বর ২০০৪ সালে ব্রিটিশ অফিস অব ফেয়ার ট্রেডিং ইউরোপিয়ান কমিশনের কাছে আইটিউন্স মিউজিক স্টোরেএ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফ্রি-ট্রেড আইন ভঙ্গের অভিযোগ আরোপ করে।
২০১২-তে তাদের অনিবন্ধিত সংস্করণ ধারণ করা অ্যাপলিকেশন বিক্রির জন্যে চীনা লেখকদের একটি দল অ্যাপল থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে। তারা ৫০ মিলিয়ন ইয়েন ($৭.৭ মিলিয়ন) ক্ষতিপূরণ দাবী করলেও, $১৬০,৪০০ আদায় করতে সক্ষম হয়।[১১]
অ্যাপল লঞ্চের পর পণ্যের মূল্য হ্রাসের অভিযোগেও অভিযুক্ত, বিশেষ করে মূল আইফোনের মুক্তির দুমাস পরেই এর মূল্য $২০০ কমে যাওয়াটা সবার নজরে আসে। মূল্যে এ ত্বরিত হ্রাস অ্যাপলের বিরুদ্ধে সমালোচনার দ্বার খুলে দেয়। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে অ্যাপল কাজ করতে থাকে, তারা আগের আইফোন ক্রেতাদের $১০০ স্টোর ক্রেডিট ফেরত দেয়ার অফার করে। [১২]