অ্যালান লুইস | |
---|---|
জন্ম | সিউমামানে, ওয়েলস | ১ জুলাই ১৯১৫
মৃত্যু | ৫ মার্চ ১৯৪৪ বার্মায় | (বয়স ২৮)
পেশা | লেখক,শিক্ষক,সৈনিক |
জাতীয়তা | Welsh |
সময়কাল | ১৯৪২–১৯৪৪ |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি |
|
দাম্পত্যসঙ্গী | গুয়েনো এলিস (বি. ১৯৪১) |
অ্যালুন লুইস (১ জুলাই ১৯১৫ - ৫ মার্চ ১৯৪৪) একজন ওয়েলশ কবি। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম সেরা ইংরেজি ভাষার কবি। [১]
১৯১৫ সালের ১ জুলাই অ্যালুন লুইস সাউথ ওয়েলস কোলফিল্ডের সিনন ভ্যালির আবারডারের কাছে সিউমামানে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এবং মা ল্যালনার্নে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তার ছোট বোন মাইর ও দুই ভাই ছিল। কাউব্রিজ গ্রামার স্কুলে পড়ার জন্য যখন তিনি বৃত্তি লাভ করেছিলেন, তখন তিনি লেখালেখিতে আগ্রহী হয়েছিলেন। তিনি অ্যাবেরেস্টউইথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। যদিও তিনি সাউথ ওয়েলসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তবুও তিনি কেবল ইংরেজিতেই লিখেছিলেন। [২]
লুইস সাংবাদিক হিসাবে ব্যর্থ হন এবং পরিবর্তে বিকল্প শিক্ষক হিসাবে জীবকা নির্বাহ করেন। তিনি কবি লিনেট রবার্টসের সাথে দেখা করেছিলেন (যার কবিতা "ললানব্রি"। তার বাড়ি দেখার জন্য তাকে আমন্ত্রণ করেছিলেন)। তবে তিনি অন্য কবি কেইড্রিচ রাইসের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ১৯৩৯ সালে শিক্ষক গুয়েনো এলিসের সাথে দেখা তার দেখা হয়েছিল, পরবর্তীতে ১৯৪১ সালের ৫ জুলাই সেই শিক্ষককে বিবাহ করেছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু হলে লুইস প্রথম ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের পদে যোগ দিয়েছিলেন কারণ তিনি ছিলেন শান্তিবাদে বিশ্বাসী, যিনি ফ্যাসিবাদের পরাজয়কে সহায়তা করতে চেয়েছিলেন। তবে, তিনি অস্বাভাবিকভাবে একটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে কমিশন চেয়েছিলেন এবং কমিশন অর্জন করেছিলেন। ১৯৪১ সালে তিনি শিল্পী জন পেটস এবং ব্রেন্ডা চেম্বারলাইনের সাথে "কেসগ ব্রডশিটস" তে সহযোগিতা করেছিলেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থটি হল রাইজার্স ডন এবং আদ্যার পয়েমস (১৯৪২)যা কবিতা সংকলন কাব্যগ্রন্থ। পরেদ্য লাস্ট ইন্সপেকশন (১৯৪২) যা অনেকগুলো ধারাবাহিক ছোট গল্পের অনুসরণে করা হয়েছিল। ১৯৪২ সালে তাকে সাউথ ওয়েলস সীমান্তরক্ষীদের সাথে ভারতে পাঠানো হয়েছিল।
লুইস তার কবিতাগুলিতে তার যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বর্ণনা করা করেছিলেন। "তার সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন এবং এমন কিছু তুলে ধরেছিলেন এবং ধরে রাখার চেষ্টা করছেন যা অর্থকে এই নির্জনতায় আলোকিত করবে" (দেখুন আয়ান হ্যামিল্টন "অ্যালুন লুইস নির্বাচিত কাব্য ও গদ্য)[৩]
১৯৪৪ সালের ৫ মার্চ লুইস জাপানিদের বিরুদ্ধে অভিযানের সময় বার্মায় মারা যান। অফিসারদের শৌচাগারগুলির কাছে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল এবং তখন তার হাতে তার রিভলবারটি ছিল এবং ছয় ঘণ্টা পরে তিনি আহত অবস্থায় মারা যান। এটি আত্মহত্যার মামলা হওয়া সত্ত্বেও, সেনাবাহিনীর তদন্তের আদালত র্সবসম্মতিভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল যে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং গুলিবিদ্ধ করা একটি দুর্ঘটনা ছিল।[৪]
তার কবিতার দ্বিতীয় বই, হা! হা! আমং দ্যা ট্রাম্পপেট । পয়েমস ইন ট্রানজিট ১৯৪৫ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং তার লেটারস ফ্রম ইন্ডিয়া ১৯৪৬ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে তার কবিতা, চিঠি এবং গল্পের বেশ কয়েকটি সংকলন প্রকাশিত হয়েছিল।