অ্যালিস ব্র্যাডি | |
---|---|
Alice Brady | |
জন্ম | ম্যারি রোজ ব্র্যাডি ২ নভেম্বর ১৮৯২ |
মৃত্যু | অক্টোবর ২৮, ১৯৩৯ নিউ ইয়র্ক সিটি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৪৬)
সমাধি | স্লিপি হলো সেমেটারি |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯১৪-১৯৩৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জেমস এল. ক্রেন (বি. ১৯১৯; বিচ্ছেদ. ১৯২২) |
সন্তান | ১ |
অ্যালিস ব্র্যাডি (জন্ম ম্যারি রোজ ব্র্যাডি; ২ নভেম্বর ১৮৯২ - ২৮ অক্টোবর ১৯৩৯)[১] ছিলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি নির্বাক চলচ্চিত্র যুগে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন এবং সবাক চলচ্চিত্রেও অভিনয় চালিয়ে যান। তিনি মাই ম্যান গডফ্রি (১৯৩৬) ও ইন ওল্ড শিকাগো (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য দুইবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্রের জন্য এই পুরস্কার অর্জন করেন।
১৯৬০ সালে চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য হলিউড ওয়াক অব ফেমে ব্র্যাডির নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়, যা ৬২০১ হলিউড বুলেভারে অবস্থিত।[২] তিনি ১৯৩৯ সালে তার মৃত্যুর ছয়মাস পূর্ব পর্যন্ত অভিনয় চালিয়ে যান।
ব্র্যাডি ১৮৯২ সালের ২রা নভেম্বর নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উইলিয়াম এ. ব্র্যাডি ছিলেন মঞ্চ প্রযোজক।[৩] তার মাতা রোজ ম্যারি রেনে তার জন্মের চার বছর পর ১৮৯৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার সৎ মা গ্রেস জর্জ (১৮৭৯-১৯৬১) অভিনেত্রী ছিলেন। তার উইলিয়াম এ. ব্র্যাডি জুনিয়র নামে এক বৈমাত্রেয় ভাই ছিল।[১]
তিনি নিউ জার্সির ম্যাডিসনের একটি কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে নিউ ইংল্যান্ড কনজারভেটরি অব মিউজিকে পড়াশোনা করেন। ম্যাডিসন শৈশবে তার অভিনেত্রী হওয়ার আগ্রহ জন্মে। তিনি ১৪ বছর বয়সে মঞ্চে কাজ শুরু করেন। ১৯১১ সালে ১৮ বছর বয়সে দ্য বলকান প্রিন্সেস নাটকের মধ্য দিয়ে ব্রডওয়ে মঞ্চে প্রথম কাজের সুযোগ পান, এই নাটকে তার পিতাও জড়িত ছিলেন।[৩][৪]
১৯১১ সালে ১৮ বছর বয়সে দ্য বলকান প্রিন্সেস নাটকের মধ্য দিয়ে ব্র্যাডি পেশাদার অভিনয় শুরু করেন। ১৯১২ সালে ব্র্যাডি শিকাগোর ম্যাকভিকার্স থিয়েটারে পি. জি. উডহাউজের উপন্যাস আ জেন্টলম্যান অব লেইজার অবলম্বনে উডহাউজ ও জন স্টেপলটনের চিত্রনাট্যে জন ব্যারিমোরের সাথে আ থিফ ফর আ নাইট মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন।[৫]
ব্র্যাডির পিতা ১৯১৩ সালে তার ওয়ার্ল্ড ফিল্ম কোম্পানি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিবেশনার সাথে সম্পৃক্ত হন।[৬] ব্র্যাডিও তাকে অনুসরণ করে চলচ্চিত্রে যোগ দেন। তিনি ১৯১৪ নির্বাক চলচ্চিত্র অ্যাজ ইয়ে সো দিয়ে তার চলচ্চিত্র অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তী ১০ বছরে তিনি ৫৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি দ্য গিল্ডেড কেজ (১৯১৪), লা বোহিমি (১৯৬), বেটসি রস (১৯১৭), ও ওম্যান অ্যান্ড ওয়াইফ (১৯১৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে।[৩]
১৯১৮ সালে তিনি ব্রডওয়ে মঞ্চে ফিরে যান এবং তার অভিনীত ফরেভার আফটার নাটকটি সফলতা লাভ করেন। এরপর তিনি জ্যান্ডার দ্য গ্রেট (১৯২৩), ওল্ড মামা (১৯২৫), দ্য ব্রিজ অব দ্য ল্যাম্ব (১৯২৬) নাটকে অভিনয় করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। ১৯৩১ সালে তিনি ইউজিন ওনিলের মোর্নিং বিকামস ইলেক্ট্রা নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়নে অভিনয় করেন। পরের বছর তিনি মাদমোয়াজেল (১৯৩২) নাটকে অভিনয় করেন।[৩]
১৯৩৩ সালে তিনি হলিউডে পাড়ি জমান এবং মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের হোয়েন লেডিজ মিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি তার অভিনীত সবাক চলচ্চিত্র। এরপর তিনি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ৭ বছরে আরও ২৫টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি মাই ম্যান গডফ্রি (১৯৩৬) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। পরের বছর তিনি ইন ওল্ড শিকাগো (১৯৩৭) চলচ্চিত্রে ক্যাথরিন ওলিয়ারির কাল্পনিক সংস্করণ মিসেস মলি ওলিয়ারি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের অর্জন করেন।[৭] তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ইয়াং মিস্টার লিংকন (১৯৩৯)।[৩]
ব্র্যাডি ১৯১৯ সালে অভিনেতা জেমস ক্রেনের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯২২ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারা একত্রে তিনটি নির্বাক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, সেগুলো হল হিজ ব্রাইডাল নাইট (১৯১৯), সিনার্স (১৯২০), এবং আ ডার্ক ল্যানটার্ন (১৯২০)। তাদের ডোনাল্ড নামে এক সন্তান ছিল।
ব্র্যাডি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৩৯ সালের ২৮শে অক্টোবর তার ৪৭তম জন্মদিনের পাঁচদিন আগে মৃত্যুবরণ করেন।[৮]