ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাশটন জেমস ইটন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | পোর্টল্যান্ড, অরেগণ, যুক্তরাষ্ট্র | জানুয়ারি ২১, ১৯৮৮||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ১ ইঞ্চি (১.৮৫ মিটার) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওজন | ১৮৫ পা (৮৪ কেজি) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্রীড়া | ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটিক্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিভাগ | ডিক্যাথলন, হেপ্ট্যাথলন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ক্লাব | রেগণ ট্র্যাক ক্লাব | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রশিক্ষক | হ্যারি মারা | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাফল্য ও খেতাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত সেরা | ডিক্যাথলন: ৯,০৩৯ (বিশ্ব রেকর্ড) Heptathlon: ৬,৬৪৫ (বিশ্ব রেকর্ড) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
পদকের তথ্য
|
অ্যাশটন জেমস ইটন (ইংরেজি ভাষায়: Ashton James Eaton; জন্ম ২১ জানুয়ারি, ১৯৮৮) একজন মার্কিন ডিক্যাথলেট এবং অলিম্পিক বিজয়ী। তিনি অলিম্পিকের ডিক্যাথলন এবং হেপ্ট্যাথলন উভয় ইভেন্টে বিশ্ব রেকর্ডের অধিকারী। ইটন বিশ্বের দ্বিতীয় ডিক্যাথলেট যিনি অলিম্পিকের ডিক্যাথলন ইভেন্টে ৯০০০ পয়েন্ট অতিক্রম করেছেন।
ইটন অরেগণ ট্র্যাক ক্লাব এলিটের হয়ে প্রতিযোগিতা করেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের অরেগণ ভিত্তিক একটি অ্যাথলেটিক ক্লাব। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ অরেগণে পাঁচবার অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০১১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ইটন তার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। এই চ্যাম্পিয়নশিপের ডিক্যাথলন ইভেন্টে তিনি একটি রৌপ্য পদক অর্জন করেন। পরের বছরে ইটন তার নিজের হেপ্ট্যাথলনের রেকর্ড ভেছে ২০১২ বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ডিক্যাথলনেরও বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন কেকর্ড করেন। বিশ্ব রেকর্ড করার পর লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ইটন সহজেই স্বর্ণ পদক অর্জন করেন।
১৯৮৮ সালের ২১ জানুয়ারি অরেগণের পোর্টল্যান্ডে ইটন জন্মগ্রহণ করেন।[১] ইটন তার বাবা রোসলিন ইটন এবং মা টের্যা্ন্স ইটনের একমাত্র সন্তান।[২] তার বাবা আফ্রিকান-আমেরিকান এবং তার মা ইউরোপিয়ান বংশোদ্ভূত।[৩] ইটনের নানা জিম ইটন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ফুটবল খেলতেন। ইটনের বাবাও এই খেলাটি খেলতেন। এছাড়া ইটনের মাও একজন অ্যাথলেট এবং নৃত্যশিল্পী ছিলেন।[৪]
ইটনের দুই বছর বয়সে তার বাবা-মা পৃথক হন । তার মা অরেগণের লা পিনে স্থানান্তরিত হন। খুব কম বয়স থেকেই ইটন অ্যাথলেট ছিলেন। তিনি ফুটবল, বাস্কেটবল, দৌড়, সকার এবং রেসলিং খেলতেন। পঞ্চম শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় তার মা অরেগণের বেন্ড শহরে চলে আসেন।[২] এখানে ইটন মাউন্টেন ভিউ হাই স্কুলে ভর্তি হন। তার বিষয় ছিল ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড। তার কোচ ছিলেন টেট মেটক্যাফ এবং জন নোস্টার। ২০০৬ সালে তিনি অরেগণের প্রাদেশিক হাই স্কুল ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে শিরোপা অর্জন করেন ৪৮.৬৯ সেকেন্ডে এবং লং জাম্পে ২৪ ফিট ০.২৫ ইঞ্চিতে। ২০০৬ এর বসন্তে মেটক্যাফ ইটনকে ডিক্যাথলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। এর আগে কখনো ইটন ডিক্যাথলনের নাম শুনেননি।[২] মেটক্যাফ ইটনকে পরামর্শ দেন একটী ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে যেখানে ডিক্যাথলন প্রোগ্রাম খুব ভালো। ইটন ইউনিভার্সিটি অফ অরেগণ বেছে নেন এবং সেখানে ভর্তি হন। ইটন কানাডিয়ান অ্যাথলেট ব্রায়ান ঠিসানকে বিয়ে করেন।[৫][৬]
২০০৮ যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ট্রায়ালস-এ ইটন ৮,১২২ পয়েন্ট অর্জনের মাশ্যমে পঞ্চম স্থান অধিকার করেন।[৭] ২০০৯ যুক্তরাষ্ট্র আউটডোর ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ইটন ডিক্যাথলন ইভেন্টে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এসময় তিনি ৮,০৭৫ পয়েন্ট লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি বার্লিনে অনুষ্ঠিত ২০০৯ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস, চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন। এই প্রতিযোগিতায় তিনি ৮,০৬১ পয়েন্ট পেয়ে ১৮ত্ম স্থান লাভ করেন।[৮][৯]
২০১২ যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক ট্রায়ালস-এর ডিক্যাথলন ইভেন্টে ইটন ডিক্যাথলনের বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ পয়েন্টের মধ্যে প্রথম দুইটি লাভ করেন। তিনি ১০০-মিটার স্প্রিন্টে ও লং জাম্পে প্রথম স্থান লাভ করেন।[১০] শট পুটে পঞ্চম, হাই জাম্পে প্রথম এবং ৪০০-মিটের প্রথম স্থান অর্জন করেন। ডিক্যাথলনে দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর চেয়ে ইটনের পয়েন্ট ৩০০-এরও বেশি ছিল। ইভেন্টের দ্বিতীয় দিনে ইটন ১১০-মিটার হার্ডেলস-এ প্রথম স্থান এবং ডিসকাস থ্রো-তে অষ্টম স্থান লাভ করেন। পোল ভোল্টে তিনি প্রথম হন। এছাড়া ১৫০০-মিটার দৌরে তিনি নিজস্ব সেরা স্কোড় ৪:১৪.৪৮ পেয়ে প্রথম হন। তিনি পূর্ববর্তি বিশ্ব রেকর্ড ৯০২৬ পয়েন্ট ভেঙে ৯০৩৯ পেয়ে নতুন রেকর্ড করেন।[১১] এছাড়া তিনি অ্যাথলেটিকসে উত্তর আমেরিকার পূর্ববর্তি ৮৮৯১ রেকর্ডও ভেঙে ফেলেন।[১২]
২০১২ অলিম্পিকে ইটনের প্রাথমিক প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারই দলের সদস্য ট্রেই হার্ডি। ইটনের ১০০-মিটারে ১০:৩৫ সেকেন্ড ছিল ঐদিনের সর্বোচ্চ। লং জাম্পে তার ৮:০৩ সেকেন্ড ছিল অন্য সবার চেয়ে বেশি। শট পুটে তিনি তার নিজস্ব সেরার চেয়ে মাত্র্য ১২ সে.মি কম ছিল। ৪০০ মিটারে ইটন সর্বোচ্চ পয়েন্ট লাভ করেন। প্রথম দিন শেষে ইটনের মোট পয়েন্ট ছিল ৪৬৬১, যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী হার্ডির চেয়ে ২২০ পয়েন্ট বেশি। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ইটন ও হার্ডি ১১০-মিটার হার্ডেলস-এ একই পয়েন্ট লাভ করেন। ডিসকাস থ্রো-তে ইটনের চেয়ে হার্ডি ১২০ পয়েন্ট বেশি অর্জন করেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইটনের পয়েন্টের দিক থেকে ১০০ পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন। পোল ভোল্টে তিনি তৃতীয় হন। জ্যাভেলিন থ্রতে ইটন তার নিজস্ব সেরা অর্জন করেন। এছাড়া ১৫০০-মিটার দৌরেও তিনি নিজস্ব সেরা লাভ করেন।
মস্কোতে অনুষ্ঠিত ২০১৩ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ডিক্যাথলন ইভেন্টে ৮৮০৯ পয়েন্ট পেয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন।