ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অ্যাশলে ফ্রেজার জাইলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চার্টসে, সারে, ইংল্যান্ড | ১৯ মার্চ ১৯৭৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জিলো, স্কিনি, স্প্লেশ, “স্পিনের রাজা”,[১] "দ্য হুইলি বিন" | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি (১.৯৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৯০) | ২ জুলাই ১৯৯৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ ডিসেম্বর ২০০৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪৫) | ২৪ মে ১৯৯৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ জুলাই ২০০৫ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২৯ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৩-২০০৭ | ওয়ারউইকশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ মে ২০১৭ |
অ্যাশলে ফ্রেজার জাইলস, এমবিই (ইংরেজি: Ashley Giles; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯৭৩) সারের চার্টসে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ইংল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ৫৪টি টেস্ট এবং ৬২টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে ফাস্ট বোলার হিসেবে আবির্ভূত হলেও আঘাতজনিত কারণে শুরু থেকেই স্লো লেফট-আর্ম স্পিনার হিসেবে দলে খেলেছেন।[২] আঘাতজনিত কারণেই জোরপূর্বক অবসর নিতে বাধ্য হন অ্যাশলে জাইলস।
জাইলস ওরচেস্টারশায়ারের ড্রইটউইচ স্পা’র বাসিন্দা। ২০০৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে সফলতার পর তার সম্মানে ঐ শহরের মেয়র কর্তৃক তাকে সম্মানসূচক নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৩] ২০০৬ সালে রাণীর জন্মদিনের সম্মানে অ্যাশেজ বিজয়ী দলের সদস্য হিসেবে এমবিই উপাধিপ্রাপ্ত হন। নরওয়ের রমণী স্টাইন (বিবাহ-পূর্ব অসল্যান্ড)-কে বিয়ে করেন তিনি। অ্যান্ডার্স ফ্র্যাজার ও মাতিল্ডে নামীয় দুই সন্তান রয়েছে তাদের। তিনি কুইন্স পার্ক র্যাঞ্জার্স ফুটবল ক্লাবের আজীবন সমর্থক।[৪]
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষ হয়ে ১৯৯৩ সালে অভিষেক ঘটে তার। এরপর ১৯৯৬ সালে থেকে দলে নিয়মিতভাবে খেলতে থাকেন। এ দলে চৌদ্দ বছর যাবৎ প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন।[৫]
মে, ১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষিক্ত হন তিনি। টেস্টে ২ জুলাই, ১৯৯৮ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষিক্ত হন। ৩৬ ওভার বোলিং করে ১০৬ রানের বিনিময়ে তিনি মাত্র ১ উইকেট লাভ করেন।[৬] ২০০১-০১ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে ইংল্যান্ড দলের ১নং ধীরগতির বোলার ছিলেন তিনি।[২] ২০০২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত টেস্টে ৮ উইকেট নেয়ার পর অনুশীলনকালীন সময়ে স্টিভ হার্মিসনের বোলিংয়ে কব্জিতে আঘাতপ্রাপ্তির ফলে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন।[৭] ২০০৩-এর শীতে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৮ উইকেট নেন ও ইংল্যান্ডকে সিরিজ ড্র করাতে সক্ষম হন।[৮] এরপর ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দলের সাথে যুক্ত হন।[৯]
সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণের পর ওয়ারউইকশায়ারের ক্রিকেট পরিচালক পদে ডারমট রিভকে পাশ কাটিয়ে মার্ক গ্রেটব্যাচের স্থলাভিষিক্ত হন জাইলস।[১০] দুই মাস পর নভেম্বরে ইংল্যান্ডের দক্ষতাবৃদ্ধিকারী প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে স্পিন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১১] ১৮ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে ডেভিড গ্রেভিনি’র স্থলাভিষিক্ত জিওফ মিলারের নেতৃত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটিতে পিটার মুরেজ, জেমস হুইটেকারের সাথে তিনিও অন্তর্ভুক্ত হন। তন্মধ্যে গ্রেভিনি ইংল্যান্ড দল নির্বাচক হলেও পরবর্তীকালে জাতীয় দক্ষতা বৃদ্ধিকারী প্রকল্পের ব্যবস্থাপক হিসেবে বহাল থাকেন।[১২] ২৮ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে ইসিবি অ্যাশলে জাইলসকে সীমিত ওভারের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় ইংল্যান্ড দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব প্রদান করে।