আ গুড ইয়ার

আ গুড ইয়ার
চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকরিডলি স্কট
প্রযোজকরিডলি স্কট
রচয়িতাচিত্রনাট্য:
মার্ক ক্লেইন
উপন্যাস:
পিটার মায়েল
শ্রেষ্ঠাংশেরাসেল ক্রো
আলবার্ট ফিনি
মারিয়োঁ কোতিয়ার
দিদিয়ের বুরদ্যঁ
অ্যাবি কর্নিশ
টম হল্যান্ডার
আর্চি পাঞ্জাবি
ফ্রেডি হাইমুর
সুরকারমার্ক স্ট্রেইটেনফেল্ড
চিত্রগ্রাহকফিলিপ লে স্যু
সম্পাদকডডি ডর্ন
পরিবেশকটুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স
মুক্তি১০ নভেম্বর ২০০৬ (2006-11-10)
স্থিতিকাল১১৮ মিনিট
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
ফরাসি
নির্মাণব্যয়ইউএস$৩৫ মিলিয়ন
আয়ইউএস$৪,২০,৬৪,১০৫[]

আ গুড ইয়ার (A Good Year) ২০০৬ সালে ইংরেজ পরিচালক রিডলি স্কট পরিচালিত একটি রোমান্টিক কমেডি ধারার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির পটভূমি লন্ডনফ্রান্সের প্রোভঁস। এতে অভিনয় করেছেন রাসেল ক্রো, আলবার্ট ফিনি, মারিয়োঁ কোতিয়ার, দিদিয়ের বুরদ্যঁ, অ্যাবি কর্নিশ, টম হল্যান্ডার, আর্চি পাঞ্জাবি, ফ্রেডি হাইমুর প্রমুখ। ২০০৪ সালে ইংরেজ ঔপন্যাসিক পিটার মায়েল রচিত আ গুড ইয়ার উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়।

কাহিনী সংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

ম্যাক্সিমিলিয়ান স্কিনার তার শৈশবের গ্রীষ্মকালীন অবকাশগুলো কাটিয়েছে তার আঙ্কেল হেনরির আঙুরক্ষেতের এস্টেটে, দক্ষিণ ফ্রান্সের প্রোভঁসে। জীবনের প্রতিটি ক্ষণ কেমন করে উপভোগ করতে হয় আঙ্কেল হেনরির কাছ থেকে এ বিষয়ে দীক্ষা লাভ করে ম্যাক্স। প্রায় পঁচিশ বছর পর ম্যাক্স এখন লন্ডনের একজন নীতিহীন, স্বার্থপর, দুর্বিনীত শেয়ার ব্যবসায়ী। আঙ্কেল হেনরির মৃত্যুর পর ম্যাক্স তার সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। সে চটজলদি সম্পত্তি বেচে দেওয়ার জন্য ফ্রান্সে যাত্রা করে। ফ্রান্সে পৌঁছানোর কিছু পরেই তার উল্টোপাল্টা ড্রাইভিং স্থানীয় এক ক্যাফের মালকিন ফ্যানি শেন্যালকে রাস্তা থেকে ছিটকে ফেলে দেয়। তার এস্টেটে বসে সে খবর পায়, তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ব্রিটিশ সরকার আর তার ফার্মের মধ্যে একটা টানাপোড়েনের সৃষ্টি করেছে। সেজন্য অতি সত্বর তার লন্ডনে ফেরা জরুরি। তাড়াহুড়ো করে এস্টেটের কয়েকটি ছবি তোলার সময় দুর্ঘটনাবশত সে বাড়ির খালি নোংরা সুইমিংপুলে পড়ে যায়। দুর্ভাগ্যবশত ফ্যানি শেন্যাল তাকে সে অবস্থায় আবিষ্কার করে এবং এই লোকটাই যে তার অ্যাক্সিডেন্টের জন্য দায়ী তা বুঝে ফেলে। প্রতিশোধপরায়ন হয়ে সে মই না নামিয়ে শুধু সুইমিংপুলে পানির কলটা ছেড়ে দেয়। পানিতে ভেসে ম্যাক্স একসময় বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেলেও তার অনেক দেরি হয়ে যায়। তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে দেখা করতে সে ব্যর্থ হয়। ফলে কর্তৃপক্ষ তাকে সব ধরনের কাজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য অব্যাহতি দেয়।

আঙ্কেল হেনরির এস্টেটে অণুগত প্রৌঢ় ওয়াইন প্রস্তুতকারক ফ্রান্সিস দুঁফ্ল'র সাথে ম্যাক্সের সাক্ষাত ঘটে। দুঁফ্ল বহু আগে থেকেই হেনরির এস্টেট দেখাশোনা করে আসছে। ম্যাক্সের আবির্ভাবে দুঁফ্ল আতঙ্কিত হয় তার এত যত্নের আঙুরক্ষেত থেকে উৎখাত হওয়ার সময় এসেছে ভেবে। সে এক ওয়াইন বিশেষজ্ঞকে ঘুষ দেয় যাতে সে এস্টেটের মাটি উৎকৃষ্ট ওয়াইন তৈরির অনুপযোগী বলে ঘোষণা দেয়। ঘটনাচক্রে ক্যালিফোর্নিয়ার নাপা ভ্যালি থেকে ক্রিস্টি রবার্টস নামে এক ওয়াইনপ্রেমী তরুণীর আবির্ভাব ঘটে। নিজেকে সে আঙ্কেল হেনরির বিবাহবহির্ভূত সন্তান বলে দাবি করে এবং আরও বলে যে সে তার বাবার খোঁজে সারা ইউরোপ চষে বেড়িয়ে অবশেষে সে এখানে এসেছে। ক্রিস্টি এস্টেটের মালিকানা দাবি করতে পারে ভেবে ম্যাক্স চিন্তিত হয়ে পড়ে। এদিকে লন্ডনে তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কেনি তার জায়গা দখল করতে পারে এই সম্ভাবনায় ম্যাক্স তাকে ভুল পরামর্শ দেয়। ফলে কেনি তার চাকরি হারায়।

ইতোমধ্যে ম্যাক্স রূপসী মুখরা ক্যাফে মালিক ফ্যানি শেন্যালের প্রেমে পড়ে যায়। ফ্যানি তাকে পরামর্শ দেয় লন্ডনে তার পুরোন জীবনে ফিরে যেতে। বাস্তবতার আঘাতে আর কিছুটা ম্যাক্সের কথার আঘাতে ক্রিস্টিও ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এস্টেটটা বিক্রি হয়ে যায়। এস্টেট বেচে দেওয়ার সাথে সাথে ম্যাক্স তার ভুল বুঝতে পারে। পৃথিবীতে একমাত্র যে মানুষটাকে সে ভালবাসত, সে হচ্ছে আঙ্কেল হেনরি। তার স্মৃতি এবং শৈশবের সেই অসাধারণ গ্রীষ্মের দুপুরগুলোর স্মৃতি মিশে রয়েছে এস্টেটের আনাচে কানাচে। লন্ডনে ফিরে ম্যাক্স তার ফার্ম চেয়ারম্যান স্যার নাইজেলের মুখোমুখি হয়। স্যার নাইজেল তাকে "টাকা আর জীবন", এর মধ্যে যেকোন একটা বেছে নিতে বলে। তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে হবে, তবে হয় তাকে টাকা বেছে নিতে হবে (যে টাকায় রয়েছে একগাদা শুন্য) নয়তো ফার্মের সাথে পার্টনারশিপে যেতে হবে যেটা হবে তার "জীবনের ভিত্তি"।

ম্যাক্স টাকাই বেছে নেয়। চালাকি করে সে এস্টেটের বিক্রয়নামা নস্যাৎ করে দেয়। ছেলেবেলায় আঙ্কেল হেনরির হয়ে তার চেকগুলো সে-ই সাক্ষর করত। আঙ্কেল হেনরির একটা নকল চিঠি সে লেখে যাতে আঙ্কেল হেনরি বলেছেন ক্রিস্টি তার সন্তান এবং এস্টেটের বৈধ উত্তরাধিকারী। লন্ডনে তার ফ্ল্যাট বিক্রি করে ম্যাক্স ফ্যানির কাছে চলে আসে। ক্রিস্টিও ফিরে আসে। সে আর ফ্রান্সিস দুঁফ্ল মিলে এস্টেটের আঙুরক্ষেতের কীভাবে উন্নয়ন সাধন করা যায় সে ব্যাপারে ব্যাপক তর্কে অবতীর্ণ হয়, কারণ ওয়াইনের বিষয়ে তাদের দু'জনের দর্শন ভিন্ন। এস্টেটের অখণ্ড অবসরে ম্যাক্স ফ্যানিকে নিয়ে উপভোগ করতে থাকে জীবনকে

অভিনয়ে

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "A Good Year (2006)"। Box Office Mojo। ২৫ জানুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]