A Boy and His Atom আ বয় অ্যান্ড হিজ অ্যাটম | |
---|---|
পরিচালক | নিকো কাসাভেকিয়া |
প্রযোজনা কোম্পানি | ফার্স্ট অ্যাভিনিউ মেশিন |
পরিবেশক | আইবিএম রিসার্চ |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড |
ভাষা | ইংরেজি |
আ বয় অ্যান্ড হিজ অ্যাটম (ইংরেজি: A Boy and His Atom) ২০১৩ সালে আইবিএম রিসার্চ কর্তৃক নির্মিত ও ইউটিউবে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি থামা-গতির চলমান চিত্র জাতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিতে একটি বালক ও একটি পথহারানো পরমাণু কীভাবে একে অপরের সাথে পরিচিত হয় ও বন্ধুতে পরিণত হয়, তার গল্প বলা হয়েছে। বালকটি পরমাণুটি নিয়ে খেলা করে, যেটি বিভিন্ন রূপ ধারণ করে। চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় মিনিট। একটি ক্রমবেক্ষক সুড়ঙ্গীভবন অণুবীক্ষণযন্ত্রের সাহায্যে কার্বন মনোক্সাইড অণু সরিয়ে সরিয়ে এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। এই অণুবীক্ষণ যন্ত্রটি কোনও দৃশ্য ১০ কোটি গুণ বিবর্ধিত করার ক্ষমতা রাখে। দ্বিপারমাণবিক কার্বন মনোক্সাইড অণুগুলি সরিয়ে সরিয়ে চিত্রগ্রহণ করা হয়, এবং প্রতিটি চিত্র একক আলোকসম্পাত বা ফ্রেম হিসেবে সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে সেগুলিকে জোড়া লাগিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়।[১] গিনেস বুক অভ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ২০১৩ সালে চলচ্চিত্রটিকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম থামা-গতির চলমান চিত্র জাতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।[২]
আইবিএম রিসার্চের অ্যালমাডেন কেন্দ্রের যে বিজ্ঞানীরা এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন, তাদের লক্ষ্য উপাত্ত মজুদকরণের সীমা সম্বন্ধে তথ্য আহরণ করা। উপাত্ত সৃষ্টি ও ভোগ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, উপাত্ত মজুদের আকার তত ছোট হওয়া আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে, একেবারে পারমাণবিক স্তর পর্যন্ত। চিরায়ত সিলিকন ট্রানজিস্টর প্রযুক্তি বর্তমানে অধিকতর ব্যয়সাশ্রয়ী, স্থানসাশ্রয়ী (ঘনসন্নিবিষ্ট) ও কর্মদক্ষ হলেও মৌলিক ভৌত সীমাবদ্ধতার কারণে ক্রমবর্ধমান বৃহৎ উপাত্ত (বিগ ডাটা) সমস্যার জন্য বারংবার এগুলির মাপ কমানো একটি টেকসই বা দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে না। এই বিজ্ঞানী দলটি বিশেষভাবে সবচেয়ে ক্ষুদ্র মাপ থেকে শুরু করে (একক পরমাণু) সেখান থেকে বৃহত্তর কাঠামো নির্মাণে আগ্রহী। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আইবিএম ঘোষণা দেয় যে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এক অঙ্কের (এক বিট) তথ্য কেবল মাত্র ১২টি পরমাণুতে মজুদ করতে সক্ষম হয়েছে। তুলনামূলকভাবে বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তির মাধ্যমে এক বিট তথ্য মজুদ করতে প্রায় ১০ লক্ষ পরমাণুর প্রয়োজন হয়।[১]