আঁসেল্ম পায়েঁ | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ১২ মে ১৮৭১ প্যারিস | (বয়স ৭৬)
জাতীয়তা | ফরাসি |
পরিচিতির কারণ | ডায়াস্টেজ ও সেলুলোজ আবিষ্কার |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | রসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইকোলে সেন্ট্রালে প্যারিস CNAM |
আঁসেল্ম পায়েঁ (ফরাসি : [pa.jɛ̃]; ৬ জানুয়ারি ১৭৯৫ – ১২ মে ১৮৭১) ছিলেন একজন ফরাসি রসায়নবিদ, যিনি ডায়াস্টেজ এনজাইম ও কার্বোহাইড্রেট সেলুলোজ আবিষ্কারের জন্য পরিচিত।
পায়েন প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৩ বছর বয়সে তার পিতার সাথে বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেন এবং পরে রসায়নবিদ লুই নিকোলাস ভাকুলিন এবং মিশেল ইউজিন শেভরিউল-এর অধীনে ইকোলে পলিটেকনিক-এ রসায়ন অধ্যয়ন করেন।[১]
২৩ বছর বয়সে, পায়েন একটি বোরাক্স-রিফাইনিং কারখানার ব্যবস্থাপক হন, যেখানে তিনি সোডা এবং বোরিক অ্যাসিড থেকে বোরাক্স সংশ্লেষণের জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করেছিলেন। পূর্বে, ডাচরা সমস্ত বোরাক্স একচেটিয়াভাবে ইস্ট ইন্ডিজ থেকে আমদানি করত। পায়েনের বোরাক্স সংশ্লেষণের নতুন পদ্ধতি তাকে চলমান মূল্যের এক তৃতীয়াংশে খনিজ বিক্রি করতে এবং ডাচদের একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতে সাহায্য করে।
পায়েন চিনি পরিশোধন করার প্রক্রিয়ার সাথে আলু থেকে স্টার্চ ও অ্যালকোহল পরিশোধন করার প্রক্রিয়া এবং নাইট্রোজেন নির্ধারণের পদ্ধতিও তৈরি করেছেন। পায়েন একটি ডিকোলোরিমিটার আবিষ্কার করেছিলেন যা চিনির বিশ্লেষণ, বিবর্ণকরন, ব্লিচিং এবং ক্রিস্টালাইজেশন নিয়ে কাজ করে।
পায়েন ১৮৩৩ সালে প্রথম এনজাইম, ডায়াস্টেজ আবিষ্কার করেন।[২][৩] তিনি কার্বোহাইড্রেট সেলুলোজ পৃথকীকরণ ও নামকরণের জন্যও পরিচিত।[৪]
১৮৩৫ সালে পায়েন ইকোলে সেন্টালে প্যারিস-এর অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি পরবর্তীতে কনজারভেটোয়ার ন্যাশনাল ডেস আর্টস এট মেটিয়ার্স-এর অধ্যাপক নির্বাচিত হন। ১৮৭১ সালের ১৩ মে তিনি প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন।
আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির সেলুলোজ এন্ড রিনিউয়েবল ম্যাটেরিয়ালস ডিভিশন কর্তৃক তার সম্মানে আঁসেল্ম পায়েঁ পুরস্কার নামক একটি বার্ষিক পুরস্কার চালু করা হয়েছে।[৫]