সংগঠক | সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৯৭জাতীয় ফুটবল লিগ) ২০০৭ (আই-লিগ) | (
প্রথম মৌসুম | ২০০৭-০৮ |
দেশ | ভারত |
কনফেডারেশন | এএফসি |
দলের সংখ্যা | ১৩ |
লিগের স্তর | ২য়[১] |
উন্নীত | ইন্ডিয়ান সুপার লিগ |
অবনমিত | আই-লিগ ২ |
ঘরোয়া কাপ | ডুরান্ড কাপ আইএফএ শিল্ড সুপার কাপ ফেডারেশন কাপ (পূর্বে) |
লিগ কাপ | ডুরান্ড কাপ |
আন্তর্জাতিক কাপ | এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২ (সুপার কাপের মাধ্যমে) |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন | মোহামেডান (১ম শিরোপা) (২০২৩–২৪ আই-লিগ) |
সর্বাধিক শিরোপা | ডেম্পো (৩টি শিরোপা) |
সম্প্রচারক | ফেসবুক ও ১স্পোর্টস |
ওয়েবসাইট | http://i-league.org |
২০২৩–২৪ আই-লিগ |
আই-লিগ (ইংরেজি: I-League) ভারতীয় ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ। এই প্রতিযোগিতা ২০০৭ সালে ভারতীয় জাতীয় ফুটবল লিগের জায়গায় শুরু হয়েছে। প্রথম বছরে ১০টি দল এই লিগে অংশ নেয়। ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাব প্রথম বিজয়ীর সম্মান লাভ করে। অন্যদিকে সালগাওকর স্পোর্টস ক্লাব এবং ভিভা কেরালা আই-লিগ প্রথম ডিভিশন থেকে দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যায়। বর্তমানে আই-লিগে ১৩টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
১৯৯৬ সালে ভারতে প্রথম ঘরোয়া লিগ শুরু হয়েছিল জাতীয় ফুটবল লিগ নামে পরিচিত। লিগটি ভারতীয় ফুটবলে পেশাদারিত্বের প্রবর্তনের প্রয়াসে শুরু হয়েছিল।
২০০৬-০৭ এনএফএল মরশুমের পরে, ঘোষণা করা হয়েছিল যে জাতীয় ফুটবল লীগ পুনরায় চালু করা হবে এবং ২০০৭-০৮ মৌসুমের আই-লিগ হিসাবে পুনরায় নামকরণ করা হবে।
২০১০ সালের ৯ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের সাথে একটি ১৫ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তি আইএমজি-রিলায়েন্সকে স্পনসর, বিজ্ঞাপন, সম্প্রচার, মার্চেন্ডাইজিং, ভিডিও, ফ্র্যাঞ্চাইজিং এবং একটি নতুন ফুটবল লীগ তৈরির অধিকারের একচেটিয়া বাণিজ্যিক অধিকার দিয়েছে। এআইএফএফ জি স্পোর্টসের সাথে পাঁচ বছরের প্রথম দিকে তাদের ১০ বছরের চুক্তি শেষ করার পরে এই চুক্তি হয়েছিল।
২০০৭ সালে লিগ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি বছরই নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে লিগে ১৩টি দল রয়েছে। প্রতিটি ক্লাব মৌসুমে একে অপরের সাথে দুইবার খেলে, একবার হোম এবং অন্যটি অ্যাওয়ে। মহামারী চলাকালীন এটি ২ মরসুমের জন্য পরিত্যক্ত হয়েছিল। যে দল একটি ম্যাচ জিতবে তারা তিন পয়েন্ট পাবে এবং উভয় দল ড্র করলে এক পয়েন্ট অর্জন করবে। হেরে যাওয়া দলকে কোনো পয়েন্ট দেওয়া হয় না। মৌসুম শেষে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পাওয়া দলটি লিগ জিতে নেয়। টাই হলে হেড-টু-হেড ফলাফল দেখা হয়, তাতেও টাইব্রেক না হলে গোল পার্থক্য দেখা হয়।[২]
ডেভেলপিং লিগ সিলভার
বছর | স্পন্সর | শিল্প | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|
২০০৭–১১ | ওএনজিসি | পেট্রোলিয়াম | ওএনজিসি আই-লিগ |
২০১১–১৩ | নেই | — | আই-লিগ |
২০১৩–১৪ | এয়ারটেল | টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা | এয়ারটেল আই-লিগ |
২০১৪–২৩ | হিরো | অটোমোবাইল | হিরো আই-লিগ |
২০২৩–বর্তমান | নেই | — | আই-লিগ |
বর্তমানে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন-এর উদ্যোগে ফেসবুক ও ১স্পোর্টস এটি সম্প্রচার করে থাকে।
সময়কাল | টিভি | অনলাইন |
---|---|---|
২০০৭–১০ | জি স্পোর্টস | |
২০১০–১৭ | টেন অ্যাকশন, টেন স্পোর্টস | ডিট্টোটিভি |
২০১৭–১৯ | স্টার স্পোর্টস ২ ও ৩ | হটস্টার, জিও টিভি |
২০১৯–বর্তমান | ১স্পোর্টস | ফেসবুক, ফ্যানকোড |
ক্লাব | বিজয়ী | রানার্স-আপ | তৃতীয় স্থান | বিজয়ী মৌসুম | রানার্স-আপ মৌসুম | তৃতীয় স্থান মৌসুম |
---|---|---|---|---|---|---|
ডেম্পো | ৩ | ০ | ১ | ২০০৭–০৮, ২০০৯–১০, ২০১১–১২ | ২০১০–১১ | |
চার্চিল ব্রাদার্স | ২ | ৩ | ১ | ২০০৮–০৯, ২০১২–১৩ | ২০০৭–০৮, ২০০৯–১০,
২০২০–২১ |
২০১১–১২ |
মোহনবাগান | ২ | ৩ | ১ | ২০১৪–১৫, ২০১৯–২০ | ২০০৮–০৯, ২০১৫–১৬, ২০১৬–১৭ | ২০১৭–১৮ |
বেঙ্গালুরু | ২ | ১ | ০ | ২০১৩–১৪, ২০১৫–১৬ | ২০১৪–১৫ | |
গোকুলাম কেরালা | ২ | ০ | ২ | ২০২০–২১, ২০২১–২২ | ২০২২–২৩, ২০২৩–২৪ | |
মোহামেডান | ১ | ১ | ০ | ২০২৩–২৪ | ২০২১–২২ | |
সালগাওকর | ১ | ০ | ১ | ২০১০–১১ | ২০১৩–১৪ | |
মিনার্ভা পাঞ্জাব | ১ | ০ | ০ | ২০১৭–১৮ | ||
আইজল | ১ | ০ | ০ | ২০১৬–১৭ | ||
চেন্নাই সিটি | ১ | ০ | ০ | ২০১৮–১৯ | ||
রাউন্ডগ্লাস পাঞ্জাব | ১ | ০ | ০ | ২০২২–২৩ | ||
ইস্টবেঙ্গল | ০ | ৪ | ৩ | ২০১০–১১, ২০১১–১২, ২০১৩–১৪, ২০১৮–১৯ | ২০১২–১৩, ২০১৫–১৬, ২০১৬–১৭ | |
শ্রীনিদি ডেকান | ০ | ২ | ১ | ২০২২–২৩, ২০২৩–২৪ | ২০২১–২২ | |
পুনে | ০ | ১ | ১ | ২০১২–১৩ | ২০০৯–১০ | |
নেরোকা | ০ | ১ | ০ | ২০১৭–১৮ | ||
জেসিটি | ০ | ০ | ১ | ২০০৭–০৮ | ||
স্পোর্টিং গোয়া | ০ | ০ | ১ | ২০০৮–০৯ | ||
রয়্যাল ওয়াহিংডোহ | ০ | ০ | ১ | ২০১৪–১৫ | ||
রিয়াল কাশ্মীর | ০ | ০ | ১ | ২০১৮–১৯ | ||
ট্রাউ | ০ | ০ | ১ | ২০২০–২১ |
ক্লাব | রাজ্য/ইউটি | শহর | স্টেডিয়াম | ধারণক্ষমতা |
---|---|---|---|---|
আইজল | মিজোরাম | আইজল | রাজীব গান্ধী স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
চার্চিল ব্রাদার্স | গোয়া | ভাস্কো | তিলক ময়দান | ৫,০০০ |
দিল্লি[ক] | দিল্লি | নয়াদিল্লি | নামধারী ফুটবল মাঠ | ৩৫,০০০ |
গোকুলাম কেরালা | কেরালা | মঞ্জেরী | পায়ানাদ স্টেডিয়াম | ৩০,০০০ |
ইন্টার কাশী[খ] | উত্তরপ্রদেশ | বারাণসী | একানা ফুটবল স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
কল্যাণী স্টেডিয়াম | ২০,০০০ | |||
মোহামেডান | পশ্চিমবঙ্গ | কলকাতা | নৈহাটি স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
নামধারী | পাঞ্জাব | ভাইনি সাহেব | নামধারী ফুটবল মাঠ | ৫,০০০ |
নেরোকা[গ] | মণিপুর | ইম্ফল | কল্যাণী স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
এসএসএ স্টেডিয়াম | ৫,০০ | |||
রাজস্থান ইউনাইটেড[ঘ] | রাজস্থান | জয়পুর | ডেকান এরিনা | ১,৫০০ |
কল্যাণী স্টেডিয়াম | ২০,০০০ | |||
নামধারী ফুটবল মাঠ | ১,০০০ | |||
রিয়াল কাশ্মীর | জম্মু ও কাশ্মীর | শ্রীনগর | টিআরসি টার্ফ গ্রাউন্ড | ১১,০০০ |
শিলং লাজং | মেঘালয় | শিলং | এসএসএ স্টেডিয়াম | ৫,০০০ |
শ্রীনিদি ডেকান | তেলেঙ্গানা | হায়দরাবাদ | ডেকান এরিনা | ১,৫০০ |
ট্রাউ[গ] | মণিপুর | ইম্ফল | কল্যাণী স্টেডিয়াম | ২০,০০০ |
নিয়মানুসারে লিগের চ্যাম্পিয়ন দল এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার সুযোগ পায়।
২০০৮ মরসুমে ডেম্পো এএফসি কাপের সেমি-ফাইনালে লেবাননের ক্লাব আল-সাফার কাছে হেরে বিদায় নেয়।[৪]
এরপর ২০১৩-তে ইস্টবেঙ্গল এএফসি কাপের সেমি-ফাইনালে কুয়েত এসসির কাছে হেরে বিদায় নেয়।[৫]
এখনো পর্যন্ত এএফসি কাপে সর্বশ্রেষ্ঠ ফল প্রদর্শনকারী আই-লিগ ক্লাব হল বেঙ্গালুরু এফসি। তারা ২০১৬ এএফসি কাপের ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়েছিল, যা ছিল ভারতীয় ফুটবলের যুগান্তকারী ঘটনা। তবে তারা ফাইনালে ইরাকের আল-কুয়া আল-জাউইয়ার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়।[৬]
নিম্নে আই-লিগ দলগুলির এএফসি কাপ পারফরম্যান্স তুলে ধরা হল:
এএফসি কাপ মৌসুম | দল | অবস্থান |
---|---|---|
২০০৮-০৯ | মোহনবাগান | গ্রুপ পর্ব |
ডেম্পো | সেমি-ফাইনাল | |
২০০৯-১০ | ইস্টবেঙ্গল | গ্রুপ পর্ব |
চার্চিল ব্রাদার্স | ১৬ দলের পর্ব | |
২০১০-১১ | ইস্টবেঙ্গল | গ্রুপ পর্ব |
ডেম্পো | ১৬ দলের পর্ব | |
২০১১-১২ | ইস্টবেঙ্গল | গ্রুপ পর্ব |
সালগাওকর | গ্রুপ পর্ব | |
২০১২-১৩ | চার্চিল ব্রাদার্স | গ্রুপ পর্ব |
ইস্টবেঙ্গল | সেমি-ফাইনাল | |
২০১৩-১৪ | পুণে | গ্রুপ পর্ব |
চার্চিল ব্রাদার্স | ১৬ দলের পর্ব | |
২০১৪-১৫ | বেঙ্গালুরু | ১৬ দলের পর্ব |
ইস্টবেঙ্গল | গ্রুপ পর্ব | |
২০১৫-১৬ | মোহনবাগান | ১৬ দলের পর্ব |
বেঙ্গালুরু | রানার্স-আপ | |
২০১৬-১৭ | বেঙ্গালুরু | আন্তঃঅঞ্চল ফাইনাল |
মোহনবাগান | গ্রুপ পর্ব | |
২০১৭-১৮ | বেঙ্গালুরু | আন্তঃঅঞ্চল সেমি-ফাইনাল |
আইজল | গ্রুপ পর্ব | |
২০১৮-১৯ | মিনার্ভা পাঞ্জাব | গ্রুপ পর্ব |
২০২০ | চেন্নাই সিটি | বাতিল[ক] |
২০২২ | গোকুলাম কেরালা | গ্রুপ পর্ব |
এখনো পর্যন্ত আই-লিগের কোন ক্লাবই এফসি চাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে উত্তীর্ণ হতে পারেনি, বাছাইপর্বের বাধা টপকাতে অক্ষম হয়েছে।[৭] বর্তমানে আই-লিগ থেকে সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে উত্তীর্ণ হবার সুযোগ দেওয়া হয় না।
অবস্থান | মূল্য |
---|---|
চ্যাম্পিয়ন | ₹ ১ কোটি |
১ম রানার্স-আপ | ₹ ৬০ লাখ |
২য় রানার্স-আপ | ₹ ৪০ লাখ |
৪র্থ | ₹ ২৫ লাখ |
ম্যাচ দিন ভর্তুকি | ₹ ১ লাখ |
ম্যাচ জয়ী | ₹ ৫০ হাজার |
ম্যাচ সেরা | ₹ ২৫ হাজার |
প্রধান কোচ | জয় | বছর | দল |
---|---|---|---|
আর্মান্দো কোলাকো | ৩ | ২০০৭–০৮, ২০০৯–১০, ২০১১–১২ | ডেম্পো |
অ্যাশলে ওয়েস্টউড | ২ | ২০১৩–১৪, ২০১৫–১৬ | বেঙ্গালুরু |
ভিনসেঞ্জো অ্যালবার্টো অ্যানেস | ২০২০−২১, ২০২১–২২ | গোকুলাম কেরালা | |
কিবু ভিকুনা | ১ | ২০১৯–২০ | মোহনবাগান |
আকবর নওয়াস | ২০১৮-১৯ | চেন্নাই সিটি | |
খগেন সিং | ২০১৮–১৮ | মিনার্ভা পাঞ্জাব | |
খালিদ জামিল | ২০১৬–১৭ | আইজল | |
সঞ্জয় সেন | ২০১৪–১৫ | মোহনবাগান | |
মারিয়ানো দিয়াজ | ২০১২–১৩ | চার্চিল ব্রাদার্স | |
করিম বেঞ্চেরিফা | ২০১০–১১ | সালগাওকর | |
জোরান ডরডেভিচ | ২০০৮–০৯ | চার্চিল ব্রাদার্স |
অব. | হোম দল | ফলাফল | অ্যাওয়ে দল | দর্শক | স্টেডিয়াম | তারিখ |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | মোহনবাগান | ১–০ | ইস্টবেঙ্গল | ৯০,০০০ | সল্ট লেক স্টেডিয়াম | ২০ নভেম্বর ২০১১ |
২ | ০–১ | ৮০,০০০ | ২৪ নভেম্বর ২০১৩ | |||
৩ | ২–১ | ৬৩,৭৫৬ |
১৯ জানুয়ারি ২০২০ | |||
৪ | ১–১ | ৬৩,৩৪২ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ | |||
৫ | ১–০ | ৫৭,৭৮০ | ২৮ মার্চ ২০১৫ |