বিক্রমাদিত্য ২০১৪ সালে তার সরবরাহের যাত্রায়
| |
ভারত | |
---|---|
নাম: | আই এন এস বিক্রমাদিত্য |
নামকরণ: | বিক্রমাদিত্য |
পরিচালক: | ভারতীয় নৌবাহিনী |
নির্মাণাদেশ: | ২০ জানুয়ারি ২০০৪ |
নির্মাতা: | ব্ল্যাক সি সিপ ইয়ার্ড, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও সেভমাস, রাশিয়া |
মোট খরচ: | $২.৩৫ বিলিয়ন[১] |
অভিষেক: | ৮ ডিসেম্বর ২০০৪ |
সম্পন্ন: | ১৯ এপ্রিল ২০১২ |
কমিশন লাভ: | ১৬ নভেম্বর ২০১৩[২] |
কার্যসময়: | ১৪ জুন ২০১৪ |
মাতৃ বন্দর: | আইএনএস কদম্বা, কারওয়ার |
শনাক্তকরণ: | |
নীতিবাক্য: | স্ট্রাইক ফার, স্ট্রাইক সিওর[৪] |
অবস্থা: | ২০২৪-এর হিসেব অনুযায়ী, সেবায় নিয়োজিত |
ইতিহাস | |
→ সোভিয়েত ইউনিয়ন → রাশিয়া | |
নাম: | অ্যাডমিরাল গোর্শকভ |
নামকরণ: | সের্গেই গোর্শকভ |
নির্মাতা: | চেরনোমোরস্কি ইয়ার্ড, নিকোলায়েভ |
নির্মাণের সময়: | ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮[৫] |
অভিষেক: | ১ এপ্রিল ১৯৮২[৫] |
কমিশন লাভ: | ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৭[৫] |
ডিকমিশন: | ১৯৯৬ |
নিয়তি: | ভারতের কাছে ২০০৪ সালের ২০ই জানুয়ারি বিক্রয় করা হয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | সংশোধিত কিয়েভ-শ্রেণির বিমানবাহী রণতরী |
ওজন: | ৪৫,৪০০ টন স্থানচ্যুতি (বোঝাই অবস্থায়)[৬][৭] |
দৈর্ঘ্য: | ২৮৩.৫ মিটার (৯৩০ ফু) (overall) |
প্রস্থ: | ৫৯.৮ মিটার (১৯৬ ফু)[৮] |
গভীরতা: | ১০.২ মিটার (৩৩ ফু) |
পাটাতন: | ২২[৯] |
ইনস্টল ক্ষমতা: | ৬ টি টার্বো অল্টারনেটর ও ৬ টি ডিজেল অল্টারনেটর, যা ১৮ মেগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করে[৯] |
প্রচালনশক্তি: | ১,৮০,০০০ অশ্বশক্তি (১,৩৪,২২৬ কিওয়াট)উৎপাদনকারী ৮ টার্বো-চাপযুক্ত বয়লার,৪ টি শ্যাফট, ৪ টি গিয়ারযুক্ত বাষ্প টারবাইন[৯][১০] |
গতিবেগ: | +৩০ নট (৫৬ কিমি/ঘ)[১০] |
সীমা: | ১৩,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২৫,০০০ কিমি) at ১৮ নট (৩৩ কিমি/ঘ)[১১] |
সহনশীলতা: | ৪৫ দিন[৯] |
লোকবল: | ১১০ জন কর্মকর্তা ও ১৫০০ জন কর্মী[১০] |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: | দীর্ঘ পরিসরের আকাশ নজরদারি রাডার, এলইএসওআরইউবি-ই, প্রতিরোধক-ই রাডার কমপ্লেক্স, সিসিএস এমকে ২ কমিউনিকেশন কমপ্লেক্স ও লিঙ্ক ২ কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থা[৯] |
রণসজ্জা: |
|
বিমান বহন: |
|
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ: |
|
আইএনএস বিক্রমাদিত্য (সংস্কৃত: বিক্রমাদিত্য, "সূর্যের মতো সাহসী")[টীকা ১] হল ২০১৩ সালে পরিষেবাতে প্রবেশকারী কিয়েভ শ্রেণির সংশোধিত বিমানবাহী রণতরী ও ভারতীয় নৌবাহিনীর ফ্ল্যাগশিপ।[১৭]
মূলত বাকু হিসাবে নির্মিত হয় ও ১৯৮৭ সালে কমিশন লাভ করেছিল, বিমানবাহী রণতরীটি ১৯৯৬ সালে বাতিল হওয়ার আগে সোভিয়েত নৌবাহিনী ও পরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর সাথে (এডমিরাল গোর্শকভ হিসাবে) কাজ করেছিল। কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর ২.৩৫ বিলিয়ন ডলারের চূড়ান্ত মূল্যে ২০০৪ সালের ২০ই জানুয়ারি ভারত বিমানবাহী রণতরীটি ক্রয় করেছিল। জাহাজটি সফলভাবে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সমুদ্র পরীক্ষা ও ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান চালনার পরীক্ষা সম্পন্ন করে।
জাহাজটি ২০১৩ সালের ১৬ই নভেম্বর রাশিয়ার সেভেরোদভিনস্কে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে কমিশন লাভ করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালের ১৪ই জুন আনুষ্ঠানিকভাবে আইএনএস বিক্রমাদিত্যকে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন এবং জাতির কাছে উৎসর্গ করেন।
বাকু ১৯৮৭ সালে নৌবাহিনীতে ব্যবহার করা শুরু হয় এবং ১৯৯১ সালে এটির অ্যাডমিরাল গর্ছকভ নামকরণ করা হয়, তবে ১৯৯৬ সালে এঁকে নিষ্ক্রিয় করা হয় কারণ এটি একটি কোল্ড ওয়ার পশ্চাৎ বাজেটে পরিচালনা করতে খুব ব্যয়বহুল ছিল। এই ব্যাপারটি ভারতের মনোযোগ আকৃষ্ট করে, যেসময় ভারত তার ক্যারিয়ার ভিত্তিক বিমান চলাচল প্রসারিত করার উপায় খুঁজছিল।[১৮] কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর ২০০২ সালের ২০ জানুয়ারি , ভারত ও রাশিয়া জাহাজটি ক্রয়বিক্রয়ের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। জাহাজটি ভারত পাবে, যখন ভারত জাহাজটি উন্নত করা এবং মেরামত করে পুনঃসক্রিয়করণের জন্য ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে, সেইসাথে বিমান ও অস্ত্রশস্ত্রের জন্য অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে। নৌবাহিনী ই-২সি হকি দিয়ে ক্যারিয়ার সজ্জিত করার কথা চিন্তা করেছিল, কিন্তু পরে না করার সিদ্ধান্ত নিল। [১৯] ২০০৯ সালে, নরথ্রপ গ্রামেন ভারতীয় নৌবাহিনীতে উন্নত ই -২ ডি হকাই নেবার প্রস্তাব দেন। .[২০]
চুক্তিটিতে ১২ টি একক আসনবিশিষ্ মিকোয়াইন মিগ -২৯ কে ফালক্রাম-ডি (প্রোডাক্ট ৯.৪১) এবং চারটি দুটি আসনবিশিষ্ট মিগ -২৯ কিউব বিমান (১৪ টি উড়োজাহাজের বিকল্পসহ) ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ছয় কামভ কেএ -৩১ "হেলিক্স" টেকনোলজি এবং এন্টি-সাবমেরিন হেলিকপ্টার, টর্পেডো টিউব, মিসাইল সিস্টেম এবং আর্টিলারি ইউনিট ও ছিল। পাইলট এবং কারিগরি কর্মীদের প্রশিক্ষণের সুবিধাসমূহ এবং শিক্ষানবিশী পদ্ধতি, ভারতীয় নৌবাহিনীর সুবিধাগুলিতে সিমুলেটর সরবরাহ, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সংস্থাপন রক্ষণাবেক্ষণও চুক্তির অংশ ছিল।
জাহাজটির উন্নয়নে, জাহাজের ডেকের সম্মুখভাগ থেকে সমস্ত অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার টিউবগুলিকে "শর্ট-টেক-অফ কিন্তু আধৃত পুনরুদ্ধার" (STOBAR) রূপরেখার পদক্ষেপে, নিক্ষেপ করা [২১] একটি সংকর ক্যারিয়ার / ক্রুজার থেকে গোর্শকোভকে একটি শুদ্ধ ক্যারিয়ার রূপে রূপান্তরিত করার সংশ্লিষ্ট কাজ ছিল।
জাহাজটি বিক্রমাদিত্য নামে সম্পূর্ণরূপে পুনঃসম্পন্ন হওয়ার পর, ১৯৮২ সালে বাকু হিসেবে চালু হওয়ার সময়ের থেকে বেশি বড় পূর্ণ লোড ডিস্প্লেসমেন্টসম্পন্ন জাহাজ হয়েহিল। জাহাজের ২৫০০ টি কম্পার্টমেন্টের মধ্যে ১৭৫০ টি পুনর্ব্যবহৃত হয়েছিল, এবং নতুন রাডার এবং সেন্সরকে ব্যবহার করার জন্য ব্যাপকভাবে আবার কেব্লিং করা হয়েছিল। এলিভেটরগুলি আপগ্রেড করা হয়েছিল, এবং দুটি নিয়ন্ত্রণকারী স্ট্যাণ্ড লাগানো হয়েছিল, যাতে একটি স্কি জাম্প সহায়ক জলদি উড়ানের পূর্বে যুদ্ধবিমানটি পূর্ণ শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়। তিনটি বাধাপ্রদানকারী গিয়ারস অ্যংগলড ডেকের পিছনের অংশে লাগানো হয়েছিল এবং ফিক্সড উইং "শর্ট টেক অফ বাট আরেস্টেড রিকভারি" (STOBAR) অপারেশনকে[৯][২২][২৩] সমর্থন করার জন্য দিক নির্দেশক এবং ক্যারিয়ার-ল্যান্ডিং এডগুলি যুক্ত করা হয়েছিল।
বিক্রমাদিত্য ২০১৮ সালের ১৭ই জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে নিম্নলিখিত গঠনগুলির সাথে যুক্ত ছিল:[118]
an endurance of 13,500 nautical miles (25,000 km) at a cruising speed of 18 knots. It will have an air wing consisting of Russian-made MiG-29K jet fighter planes and Kamov Ka-31 early warning radar helicopters.