বিক্রান্ত
| |
ইতিহাস | |
---|---|
ভারত | |
নাম: | আইএনএস বিক্রান্ত |
নামকরণ: | আইএনএস বিক্রান্ত (আর১১) |
স্বত্তাধিকারী: | প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় |
পরিচালক: | ভারতীয় নৌবাহিনী |
নির্মাণাদেশ: | ২০০৪ |
নির্মাতা: | কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড |
নির্মাণের সময়: | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ |
অভিষেক: | ১২ আগস্ট ২০১৩ |
কমিশন লাভ: | ২ সেপ্টেম্বর ২০২২[১] |
নীতিবাক্য: |
বাংলা: যারা আমার বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের আমি পরাজিত করি সংস্কৃত: জয়েম স যুধি স্পৃধ |
অবস্থা: | সমুদ্র পরীক্ষায়[২][৩][৪] |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
ওজন: |
মাল-বোঝাইয়ের পরে স্থানচ্যুতি ৪৫,০০০ টন[৫] প্রমাণ মান: ৪০,০০০ টন (৩৯,০০০ লং টন; ৪৪,০০০ শর্ট টন) |
দৈর্ঘ্য: | ২৬২ মি (৮৬০ ফু) |
প্রস্থ: | ৬২ মি (২০৩ ফু) |
উচ্চতা: | ৫৯ মি (১৯৪ ফু)[৬] |
গভীরতা: | ৮.৪ মি (২৮ ফু) |
গভীরতা: | ২৫.৬ মি (৮৪ ফু) |
পাটাতন: | ১৪ টি |
ইনস্টল ক্ষমতা: | ৪ × জেনারেল ইলেকট্রিক এলএম২৫০০+ গ্যাস টারবাইন |
প্রচালনশক্তি: | ২ টি স্যাফট |
গতিবেগ: | ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ) |
সীমা: | ৮,০০০ নটিক্যাল মাইল (১৫,০০০ কিমি; ৯,২০০ মা) |
নাবিক: | ১,৭০০ (বিমানবাহিনীর ক্রু সহ) |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
বিমান বহন: |
|
বিমানচালানর সুবিধাসমূহ: | ১০,০০০ মি২ (১,১০,০০০ ফু২) ফ্লাইট ডেক |
আইএনএস বিক্রান্ত[৯] হল ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে সোমবার তার প্রথম বিমানবাহী রণতরী। কোচিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত ৪০ হাজার টন ওজনের এই রণতরীর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হবে ২০১৬ সালে। আর ২০১৮ সালে তা আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হবে। ভারতের আগে কেবল আমেরিকা, ব্রিটেন, রাশিয়া ও ফ্রান্স এ ধরনের বৃহৎ রণতরী নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
জাহাজের নকশার কাজ ১৯৯৯ সালে শুরু হয় এবং জাহাজের তলিটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থাপন করা হয়। বিমানবাহী রণতরীটিকে ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর[১০] তার শুষ্ক ডক বা ড্রাই ডকের বাহিরে ভাসমান হয় এবং ২০১৩ সালে চালু করা হয়। জাহাজটি বেসিন পরীক্ষাসমূহ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সম্পন্ন করে[১১] এবং ২০২১ সালের ৪ঠা আগস্ট সমুদ্র পরীক্ষা শুরু করে।[১২] এটিকে ২০২২ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর পরিষেবায় নিযুক্ত করা হবে।[১২][১৩] প্রথম সমুদ্র পরীক্ষার সময় প্রকল্পের মোট খরচ প্রায় ₹২৩,০০০ কোটি (ইউএস$৩.২ বিলিয়ন) ছিল।[১৪]
আইএনএস বিক্রান্ত বিমানবাহী রণতরী "বিক্রান্ত শ্রেণি"র প্রথম জাহাজ। বিক্রান্ত (সংস্কৃত বিক্রান্ত, আক্ষরিক অর্থে "বহির্গমন করা") নামের অর্থ "সাহসী" বা "সাহসী"। এটি ২৬২ মিটার (৮৬০ ফুট) দীর্ঘ এবং ৬০ মিটার (২০০ ফুট) প্রশস্ত, এবং প্রায় ৪০,০০০ মেট্রিক টন (৩৯,০০০ দীর্ঘ টন) ওজন যুক্ত। জাহাজে একটি "শর্ট টেক অফ বাট আরেস্টেট রিকোভার" (STOBAR)[১৫] ব্যবস্থার সঙ্গে একটি স্কি-জাম্প বৈশিষ্ট রয়েছে। বিমানবাহী রণতরীর মেঝে বা ডেক থেকে মিগ-২৯কে এর মত বিমান ওঠা-নামা করার জন্য নকশা করা হয়েছে। এটি ত্রিশটি উড়োজাহাজের একটি বিমান গোষ্ঠীকে বহন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে ২৪-২৬ স্থায়ী-উইং যুদ্ধ বিমান অন্তর্ভুক্ত থাকবে,[১৬] প্রাথমিকভাবে মিকোয়ান মিগ-২৯কে। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বরে অতিরিক্ত ওজনের কারণে এইচএল তেজসের বিমানবহরটি নৌবাহিনী প্রত্যাখ্যান করেছিল।[১৭] ছাড়াও ১০ কামোভ কা-৩১ বা ওয়েস্টল্যান্ড সি কিং হেলিকপ্টার বহন করবে। কা-৩১ বিমানের প্রথম সতর্কবার্তা (AEW) প্রদানের ভূমিকা পালন করবে এবং সি কিং "এন্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার" (এএসডাব্লিউ) ক্ষমতা সরবরাহ করবে।[১৮][১৯]
বিক্রান্তকে চারটি সাধারণ বৈদ্যুতিক এমএল২৫০০+ গ্যাস টারবাইন দ্বারা চালিত করা হয়, যা ৮০ মেগাওয়াট (১,১০,০০০ এইচপি) ক্ষমতাসম্পন্ন। বিমানবাহী রণতরীর জন্য গিয়ারবক্সগুলি এলকন প্রকৌশল দ্বারা নকশা এবং সরবরাহ করা হয়েছিল।[১০][২০][২১]
বিক্রান্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর নৌ নকশা পরিচালক দ্বারা নকশা করা প্রথম বিমান বাহক রণতরী এবং কোচিন শিপইয়ার্ড দ্বারা নির্মিত প্রথম বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ। এর নির্মাণে বিপুল সংখ্যক বেসরকারি ও সরকারি সংস্থা অংশগ্রহণ করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে এন্টনি বিক্রান্তের কিল বা খিলান প্রতিষ্ঠার ঝন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ সালে কোচিন শিপইয়ার্ডে উপস্থিত ছিলেন।[২২][২৩]
রাশিয়া থেকে সরবরাহ করা অনুমিত এব/এ গ্রেড ইস্পাত বিতরণে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল। এটি সমাধান করার জন্য, প্রতিরক্ষা মেটালার্গিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (ডিএমআরএল) এবং স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (সেল) ভারতে ইস্পাত তৈরির সুযোগ তৈরি করে।[১০][১৮] উল্লিখিত, জাহাজের কাঠাম, ফ্লাইট ডেক এবং কামরা মেঝেগুলির জন্য তিন ধরনের বিশেষ ইস্পাত তৈরি করা হয়েছিল- ছত্তিশগড়ের ভিলাই ইস্পাত কারখানায় এবং ওড়িশার রাউরকেলা ইস্পাত কারখানা]]য়। এই কারণে, এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম জাহাজ, যা দেশীয়ভাবে উৎপাদিত ইস্পাত ব্যবহার করে সম্পূর্ণভাবে নির্মিত হবে। [২৪] মুখ্য সুইচ বোর্ড, স্টিয়ারিং গিয়ার এবং ওয়াটার টাইট হ্যাচগুলি মুম্বাই এবং টালগাঁও'তে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো দ্বারা নির্মিত হয়েছে; উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এয়ার কন্ডিশনার এবং হিমায়ন সিস্টেমগুলি পুনের কিরোলসকার গোষ্ঠীর কেন্দ্রগুলি থেকে নির্মিত হয়েছে; বেশিরভাগ পাম্প বেস্ট এবং ক্রোম্পন সরবরাহ করেছে; ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচএইচএল) ইন্টিগ্রেটেড প্ল্যাটফর্ম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইপিএমএস) সরবরাহ করেছে, যা ইটালিয়ান কোম্পানির অ্যাভিও দ্বারা স্থাপন করা হচ্ছে; এলিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং দ্বারা গিয়ার বক্স সরবরাহ করা হয়েছিল; এবং বৈদ্যুতিক তার নিক্কো ইন্ডাস্ট্রিজ দ্বারা সরবরাহ করা হচ্ছে।[২৫] রাশিয়ার "নেভস্কো ডিজাইন ব্যুরো" বিমান পরিবহন চত্বর নকশা করার সময় ফিনক্যান্টেরি প্রম্পলসন প্যাকেজের জন্য পরামর্শ প্রদান করেছিল।[২৬]
জাহাজটি ৮৭৪ টি ব্লক জুড়ে জাহাজের কাঠাম তৈরির জন্য মডুলার নির্মাণ ব্যবহার করা হয়। জাহাজের কাঠামটি স্থাপন করা হয়েছিল ৮,০০০ টন ওজনের ইস্পাত দিয়ে, যার দ্বারা জাহাজের ৪২৩ টি ব্লক সম্পন্ন হয়েছিল।[২৭] নির্মাণ পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১০ সালে চালু করা হবে, যখন এটি ২০,০০০ টন স্থানান্তরিত হবে, কারণ উপসাগরটিতে একটি বৃহত্তর নির্মানকে স্থানান্তরিত করা যাবে না। এটি পরিকল্পনা করা হয়েছিল যে রিফিট ডক-এ প্রায় এক বছরের উন্নয়নের পরে, জলতলের ব্যবস্থা সহ সমস্ত প্রধান উপাদানগুলি নির্মান হওয়ার পরে যুদ্ধবিমান পরিবাহকটি চালু হবে। আউটফিটিং জাহাজটি প্রবর্তনের পরে করা করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ কমিটির নিরাপত্তা (সিসিএস) অনুসারে, ২০১৪ সালে জাহাজটি চালু হওয়ার সাথে সাথে সামুদ্রিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে।[২৮][২৯]
আাইএনএস বিক্রান্ত এর নকশা নির্মাণ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। এর পর ২০০৯ সালে নির্মাণ পুরোদমে চলতে থাকে। ২০১১ সালে এই বিমানবাহী রণতরীকে জলে নামানো হয়। ২০১৩ সালে এর উদ্বোধন হয়। বর্তমানে এর পরীক্ষামূলক ভাবে চালানো হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ২০১৮ সালের মধ্যে এই রণতরী ভারতীয় নৌবাহীনিতে যুক্ত হবে।
৩৭ হাজার ৫০০ টন ওজনের এই রণতরীটির দৈর্ঘ্য ২৬০ এবং প্রস্থ ৬০ মিটার। এ রণতরী থেকে মিগ-২৯-কে, হালকা যুদ্ধবিমান ও ক্যামভ-৩১ মডেলের জঙ্গি বিমান উড্ডয়ন করতে পারবে। রণতরীটির রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯০ মিটার এবং এর ৩৫টি যুদ্ধবিমান বহন করার ধারণক্ষমতা রয়েছে।
২০২০ সালের মার্চ মাসে জানা যায়, যে বিশাখাপত্তনমের কাছে রামবিল্লিতে পরিকল্পিত নৌ ঘাঁটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় ভারতীয় নৌবাহিনী বিমানবাহী রণতরীকে কমিশনের পর চেন্নাইয়ের নিকটবর্তী কাট্টুপল্লির এলঅ্যান্ডটি শিপইয়ার্ডে জাহাজটি মোতায়েন করবে।
নাম | দায়িত্ব গ্রহণ করেন | দায়িত্ব ছেড়েছে | টীকা |
---|---|---|---|
নৌসেনাপতি বিদ্যাধর হরকে | ৭ মে ২০২১ | বর্তমান | বিক্রান্ত-এর প্রথম সিও (নিযুক্ত)।[৩০] |