আইসেল তুগলুক (উচ্চারিত [ajsel ˈtuːɫuk]; জন্ম ১৭ জুলাই ১৯৬৫, এলিজা, তুরস্ক) একজন কুর্দি[১] রাজনীতিবিদ এবং তুরস্কের ডেমোক্রেটিক সোসাইটি পার্টির (ডিটিপী) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যা। তিনি ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হন এবং তারপরে আইনজীবী হিসাবে কাজ করেন। তিনি আগে সোশ্যাল ল রিসার্চেস ফাউন্ডেশন বোর্ড কাউন্সিলের সদস্যা ছিলেন।[২]
তিনি বর্তমানে ইস্তাম্বুলের কাছে অবস্থিত কোকাইলি টাইপ-এফ কারাগারে বন্দী আছেন।[৩]
তিনি তুর্কি মানবাধিকার সমিতির (আইএইচডি) সদস্যা হওয়ার পাশাপাশি প্যাট্রিওটিক ওমেন'স এসোসিয়েশন (বাংলা: দেশপ্রেমিক মহিলা সমিতি) (ওয়াইকেডি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্যা।[৪] তুরস্কে তার রায়ের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের (ইসিএইচআর) কাছে আবদুল্লাহ ইকালানের আপিলে, তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য একজন আইনজীবী ছিলেন।[৫]
তিনি ২০০৭ সালে তুর্কি পার্লামেন্টের নির্বাচনে থাউজেনড হোপস জোটের প্রার্থী ছিলেন এবং দিয়েরবাকিরের থেকে সংসদ সদস্যা নির্বাচিত হন।[৬] একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্যা হিসেবে আইসেল তুউলুকের মর্যাদা তাকে ১ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ডের কারণে কারাগারে যাওয়া থেকে তার আইনি অনাক্রম্যতা প্রদান করে।[৭] কিন্তু ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে তুর্কি সাংবিধানিক আদালত তার সংসদ সদস্যের মর্যাদা কেড়ে নেয় এবং তাকে পাঁচ বছরের জন্য সাধারণের রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।[৮] সাংবিধানিক আদালত ডিটিপি রাজনৈতিক দলকেও অবৈধ ঘোষণা করে।[৯] সাংবিধানিক আদালতের এই সিদ্ধান্ত একটি রায়ের উপর ভিত্তি করে ছিল, তা হল তার ও ডিটিপি দলের সাথে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) এর সম্পর্ক রয়েছে, যা একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সহিংসতাকে অস্বীকার করে না। তিনি ও ডিটিপি দল এই ধরনের সম্পর্ক অস্বীকার করে চলেছে এবং তারা সহিংসতাকে অস্বীকার করেছে।
১০১১ সালের ১২ জুনের সাধারণ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হন।[১০]
তাকে ২০০৭ সালে আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ কুর্দি ভাষায় রাজনৈতিক দলের লিফলেট বিতরণের জন্য ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, কারণ সমস্ত রাজনৈতিক সাহিত্য বা লেখনিতে তুর্কি ভাষায় থাকা প্রয়োজন।[৭]
তাকে ২০০৬ সালে একটি সমাবেশে পিকেকে যোদ্ধাদের 'কারো কারো নায়ক' উল্লেখ করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন লঙ্ঘনের জন্য ২০০৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আবার দক্ষিণ-পূর্ব শহর দিয়ারবাকিরের একটি আদালত কর্তৃক কারাগারে ১৮ মাস দন্ডিত করা হয়।[৭][৮]