ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ আকরাম হুসেইন খান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ | ১ নভেম্বর ১৯৬৮|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ১১.৫ ইঞ্চি (১.৮২ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, অধিনায়ক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | তামিম ইকবাল (ভাতিজা), নাফিস ইকবাল (ভাতিজা) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৮) | ১০ নভেম্বর ২০০০ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১ মে ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ২৯ অক্টোবর ১৯৮৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৭ এপ্রিল ২০০৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ |
মোহাম্মদ আকরাম হুসেইন খান (জন্ম: নভেম্বর ১, ১৯৬৮, চট্টগ্রাম) সাবেক বাংলাদেশী ক্রিকেটার, যিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৮টি টেস্ট ও ৪৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ১৫টি সীমিত ওভারের একদিনের খেলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মারকুটে ব্যাটসম্যান আকরাম খান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে চট্টগ্রাম বিভাগ দলের হয়ে খেলেন।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচে আকরাম খান দলে ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। গাজী আশরাফ লিপু’র[১] যোগ্য দিক নির্দেশনায় তিনি আন্তর্জাতিক খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে উঠেন। ১৯৯৪ থেকে ৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
উদ্বোধনী টেস্ট থেকে শুরু করে তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তার ব্যাটিং গড় ১৬.১৮ এবং সর্বোচ্চ রান ৪৪ যা ২০০১ সালে হারারেতে হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
১৯৮৮ সালের অক্টোবর মাসে আকরাম খানের একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক ঘটে তার শহর চট্টগ্রামেই। তিনি সেদিন ৮ নম্বর অবস্থানে খেলতে নামেন এবং দুর্দান্ত পাকিস্তানি বোলারদের মোকাবেলা করে ৩৫ বলে ২১ রান করেন। ১৯৯৫ সালে শারজায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে তিনি বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন। তার প্রথম অর্ধ-শতরান আসে কলম্বোয় ১৯৯৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তিনি এবং আতহার আলী খান ১১০ রানের জুটি গড়েন। তার সর্বোচ্চ একদিনের আন্তর্জাতিক রান ৬৫ আসে ১৯৯৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ঢাকায়। তিনি ১৯৯৯ এবং ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। ৪২ রান করে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে স্মরণীয় জয়ে তিনি বড় অবদান রাখেন।[২]
১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে আকরাম খান বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব গ্রহণ করেন। যখন দল সবেমাত্র আইসিসি ট্রফি ১৯৯৪ থেকে হতাশাব্যাঞ্জক ফলাফল করে ফিরেছে এবং দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ঐক্যের অভাব ও অসন্তোষ রয়েছে। যদিও অধিনায়ক হিসেবে তার তেমন কোন অভিজ্ঞতা ছিল না তবু এই ঝুঁকি নেয়া হয়েছিল।
১৯৯৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত চারদেশীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তার দল ফাইনাল খেলে এবং তিনি সেই ম্যাচে সাহসিকতাপূর্ন ব্যাটিং করে ৬৬ রান করেন যদিও ৫২ রানে বাংলাদেশ দল ভারত এ দলের কাছে পরাজিত হয়। তার অধিনাকয়ত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়টি আসে ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৮ সালে আকরাম খানের হাত ধরেই কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ তার প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জয় পায়।
খান ১৯৬৮ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তার পরিবার একটি ক্রিকেটীয় পরিবার। তার বড় ভাই ইকবাল খান ছিলেন নামকরা ফুটবলার।[৪] চট্টগ্রামের আন্টি খ্যাত নুসরাত ইকবাল ববি তার ভাবি। তার ভাতিজা নাফিস ইকবাল এবং তামিম ইকবাল বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। তারা দুইজনই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
পূর্বসূরী মিনহাজুল আবেদীন |
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ১৯৯৪/৫ - ১৯৯৭/৮ |
উত্তরসূরী আমিনুল ইসলাম |