ধরন | সরকারি সংস্থা |
---|---|
দেশ | ভারত |
প্রাপ্যতা | জাতীয় আন্তর্জাতিক |
নীতিবাক্য | বহুজনহিতায় বহুজনসুখায়[১] |
প্রধান কার্যালয় | আকাশবাণী ভবন সংসদ মার্গ, নতুন দিল্লি–১১০০০১, দিল্লি, ভারত |
মালিকানা | প্রসার ভারতী |
আরম্ভের তারিখ | ৮ জুন ১৯৩৬ |
অন্তর্ভুক্তি | প্রসার ভারতী |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | অল ইন্ডিয়া রেডিও, নিউজ অন এআইআর |
আকাশবাণী (হিন্দি: आकाशवाणी) বা (ইংরেজি: Akashvani) ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মালিকানাধীন এক বেতার সম্প্রচার সংস্থা এবং প্রসার ভারতীর দুই বিভাগের অন্যতম। সাধারণ জনগণকে তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য ১৯৩৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত সরকার কর্তৃক আকাশবাণীর সম্প্রচার কার্যক্রম শুরু হয়।[২] প্রসার ভারতীর অপর বিভাগ হচ্ছে দূরদর্শন, যা এক ভারতীয় টেলিভিশন সম্প্রচার সংস্থা।[৩] আকাশবাণীর সদর দপ্তর নতুন দিল্লির আকাশবাণী ভবনে এবং সেখানে ড্রামা সেকশন, এফএম সেকশন ও ন্যাশনাল সেকশন রয়েছে। এই একই ভবনে ভারতীয় টেলিভিশন স্টেশন দূরদর্শন কেন্দ্র রয়েছে।
১৯২৭ সালে যথাক্রমে আকাশবাণী মুম্বই ও আকাশবাণী কলকাতা স্থাপিত হয় এবং দুটি ব্যক্তিগত ট্রান্সমিটার দিয়ে ভারতে রেডিও সম্প্রচার শুরু হয়। এটি ১৯৩০ সালে জাতীয়করণ করা হয় এবং তারপরে এটি ভারতীয় সম্প্রচার পরিষেবা (ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) নামে পরিচিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে এর নাম পরিবর্তন করে আকাশবাণী করা হয়।
১৯৪৭ যখন ভারত স্বাধীনতা লাভ করলো তখন অল ইন্ডিয়া রেডিওর ১৮টি ট্রান্সমিটার সহ ৬টি সম্প্রচার কেন্দ্র ছিল। বেতার সম্প্রচারের ব্যাপ্তি ছিল ভৌগোলিক পরিসীমার ২.৫% এবং জনসংখ্যার ১১%। ভারতের স্বাধীনতার পর অল ইন্ডিয়া রেডিও’র দ্রুত বিকাশ ঘটে।
বর্তমানে আকাশবাণীর ১৪৪টি মাঝারি কম্পাঙ্ক (মাঝারি তরঙ্গ), ৫৪টি উচ্চ কম্পাঙ্ক (নিম্ন তরঙ্গ) এবং ১৩৯টি এফএম ট্রান্সমিশন সহ ২১৫টি সম্প্রচার কেন্দ্র সমন্বয়ে সম্প্রচার নেটওর্য়াক চালু আছে। অল ইন্ডিয়া রেডিও ভৌগোলিক পরিব্যাপ্তির ১৯.৪২% এবং ৯৯.১৩% জনসংখ্যাকে এই সম্প্রচার সেবা দিয়ে যাচ্ছে । অভ্যন্তরীণ জনসংখ্যার জন্য অল ইন্ডিয়া রেডিও ২৪টি ভাষা এবং ১৪৬টি উপভাষায় এবং আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের জন্য ১৭টি ভারতীয় ও ১০টি বিদেশি ভাষা সমন্বয়ে সর্বমোট ২৭টি ভাষায় বেতার সম্প্রচার করছে। [৪]
সংস্কৃত ভাষায় আকাশবাণী শব্দটির অর্থ "আকাশ হইতে বাণী" বা "দৈববাণী"। হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ কাহিনীতে স্বর্গ ও মর্ত্যের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে আকাশবাণীর উল্লেখ রয়েছে।
ইন্ডিয়ান স্টেট ব্রডকাস্টিং সার্ভিস (আইএসবিএস) যখন তার নাম পরিবর্তন করে "অল ইন্ডিয়া রেডিও" (এআইআর) রেখেছিল, তখন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক কবিতার মাধ্যমে তার নাম "আকাশবাণী" রেখেছিলেন। কলকাতার নিম্ন তরঙ্গ পরিষেবার উদ্বোধনের উপলক্ষ্যে তিনি সেই কবিতাটি রচনা করেছিলেন।[৫][৬]
১৯৩৬ সালে মহীশূরে তাঁর বাসগৃহ বিত্তল বিহারে ভারতের প্রথম বেসরকারি বেতার কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠার পর এম. ভি. গোপালস্বামী বেতার প্রসঙ্গে "আকাশবাণী" শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তাঁর বাসগৃহ আকাশবাণীর বর্তমান মহীশূর বেতার কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০০ গজ (৯০ মিটার) দূরে অবস্থিত।[৭]
১৯৩৬ সালে জাতীয় সম্প্রচারক হিসেবে আকাশবাণী আত্মপ্রকাশ করে। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রটি পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক কেন্দ্র।
বিবিধভারতী এটির জাতীয় পরিষেবা ।আকাশবাণী মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। দিল্লী কেন্দ্রের সংবাদ আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলিতে প্রচারিত হয়