আগা খান ফাউন্ডেশন

আগা খান ফাউন্ডেশন
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৬৭
প্রতিষ্ঠাতাপ্রিন্স শাহ করিম আল হুসাইনি, আগা খান চতুর্থ
ধরনবেসরকারি সংস্থা
আলোকপাতআন্তর্জাতিক উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন
অবস্থান
  • আন্তর্জাতিক
এলাকাগত সেবা
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য
ওয়েবসাইটwww.akdn.org/AKF www.akf.org

আগা খান ফাউন্ডেশন ( AKF ) একটি বেসরকারি, অলাভজনক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। [] ১৯৬৭ সালে [] শাহ করিম আল হুসেইনি, আগা খান চতুর্থ, এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি শিয়া ইসমাইলি মুসলমানদের ৪৯তম বংশগত ইমাম ছিলেন। [] একেএফ দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলগুলিতে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, নিরক্ষরতা এবং অসুস্থতার সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এটি পাহাড়ি, উপকূলীয় এবং সম্পদহীন গ্রামীণ এলাকাগুলোর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফাউন্ডেশনের কাজ আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের (একেডিএন) অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করা হয়ে থাকে। এই সংস্থাগুলো পরিবেশ, সংস্কৃতি, ক্ষুদ্রঋণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্থাপত্য ও গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে কাজ করে। একেএফ স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে কাজে সহযোগিতা করে। এটি ১৪টি দেশে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এসব দেশে জীবনের টেকসই উন্নতি আনতে কাজ করে। ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত। []

কার্যক্ষেত্র

[সম্পাদনা]

ফাউন্ডেশনের সাতটি ক্ষেত্র রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে: শৈশবকালীন বিকাশ, শিক্ষা,[] স্বাস্থ্য [] এবং পুষ্টি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, নাগরিক সমাজ,[] কাজ ও উদ্যোগ এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা। জটিল সমস্যার জন্য উদ্ভাবনী পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায় এবং পুনরায় প্রয়োগ করে সমস্যার সমাধান করে থাকে। [][]

এছাড়াও ফাউন্ডেশন মানব সম্পদ উন্নয়ন, সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং লিঙ্গ ও উন্নয়নের মতো আন্তঃসম্পর্কিত বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ দেয়। []

তহবিল

[সম্পাদনা]

আগা খান ফাউন্ডেশনকে প্রশাসনের জন্য নিয়মিত তহবিল প্রদান করে এবং তার দান তহবিলে অবদান রাখে। জাতিসংঘ, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা, ইউএসএইড, যুক্তরাজ্যের এফসিডিও, জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস, এজেন্সি ফ্রাঁসেস ডি ডেভেলপমেন্ট এবং অন্যান্যদের সহ সরকারী, প্রাতিষ্ঠানিক এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারদের কাছ থেকে অনুদান অর্থায়নের উল্লেখযোগ্য উৎস। ইসমাঈলি সম্প্রদায়ও আর্থিক সম্পদ, স্বেচ্ছাসেবক, সময় এবং পেশাদার পরিষেবার মাধ্যমে অবদান রাখে।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি

[সম্পাদনা]

অন্যদের মধ্যে তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসাবে, ফাউন্ডেশন ২০০৫ সালে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে আগা খান রুরাল সাপোর্ট প্রোগ্রাম (একেআরএসপি)-এর জন্য সবচেয়ে উদ্ভাবনী উন্নয়ন প্রকল্পের পুরস্কার পায়। একেআরএসপি সফলভাবে পাকিস্তানে গ্রামীণ সহায়তা কর্মসূচি নেটওয়ার্ক গঠনের জন্য অনুকরণীয় প্রকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। [১০]

ভৌগোলিক পরিধি

[সম্পাদনা]

আগা খান ফাউন্ডেশনের বিশ্বব্যাপী ১৭টি দেশে এর কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ১৪টি দেশে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে রয়েছে: পূর্ব আফ্রিকা (কেনিয়া, মাদাগাস্কার, মোজাম্বিক, তানজানিয়া এবং উগান্ডা); মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া (আফগানিস্তান, ভারত, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান); মধ্যপ্রাচ্য (মিশর এবং সিরিয়া); এবং ইউরোপ (পর্তুগাল)। ফাউন্ডেশনের তহবিল সংগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা অফিস কানাডা, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Anderson, S. E. (২০০২-০১-০১)। Improving Schools Through Teacher Development: Case Studies of the Aga Khan Foundation Projects in East Africa (ইংরেজি ভাষায়)। CRC Press। আইএসবিএন 9789026519369 
  2. Anheier, Helmut K.; Toepler, Stefan (২০০৯-১১-২৪)। International Encyclopedia of Civil Society (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Science & Business Media। আইএসবিএন 9780387939964 
  3. Cherry, Stephen M.; Ebaugh, Helen Rose (২০১৬-০৪-২২)। Global Religious Movements Across Borders: Sacred Service (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 9781317127338 
  4. Ebrahim, Alnoor (২০০৫-০৫-১২)। NGOs and Organizational Change: Discourse, Reporting, and Learning (ইংরেজি ভাষায়)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 147। আইএসবিএন 9780521671576 
  5. "Lessons from the lockdown: Equality, equity in education"Daily Monitor (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৩ 
  6. "Policies needed to tackle nutrition challenge"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০২-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৩ 
  7. "AKF supports development of civil society in Tajikistan | Tajikistan News ASIA-Plus"asiaplustj.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৩ 
  8. Teaching Korea: Modernization, Model Minorities, and American Internationalism in the Cold War Era (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০১-০১। পৃষ্ঠা 172। আইএসবিএন 9781109098709 
  9. "Refugees to benefit from new education programme"Daily Monitor (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-১৩ 
  10. Narayan-Parker, Deepa; Glinskaya, Elena E. (২০০৭-০১-০১)। Ending Poverty in South Asia: Ideas that Work (ইংরেজি ভাষায়)। World Bank Publications। আইএসবিএন 9780821368770 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]