আজরা জাফরি | |
---|---|
عذرا جعفری | |
নিলির মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ডিসেম্বর ২০০৮ – জানুয়ারি ২০১৪ | |
রাষ্ট্রপতি | হামিদ কারজাই |
গভর্নর | কুরবান আলী ওরুজগানি |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | আজরা ১৯৭৮[১] আফগানিস্থান |
জাতীয়তা | আফগানিস্থান |
বাসস্থান | নিলি, আফগানিস্থান |
পেশা | মেয়র, লেখিকা |
জাতি | হাজারা |
পুরস্কার | মিটো মেমোরিয়াল এওয়ার্ড ফর ইয়ং সাউথ এশিয়ান ২০১১[২] |
আজরা জাফরি ( ফার্সি: عذرا جعفری) ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা মেয়র হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই তাকে নিযুক্ত করেন। তাকে দায়াকুন্দী প্রদেশের নিলি শহরের মেয়র করা হয়। জাফরি একজন লেখক এবং এখন পর্যন্ত তিনি দুইটি বই প্রকাশ করেছেন। তিনি হাজারা জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত।
আজরা জাফরি ইরানে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করার সময় সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর কাবুলের ধাত্রী বিদ্যালয়ে তার শিক্ষা অব্যাহত থাকে। ২০০১ সালের শেষের দিকে তালেবান সরকারের পতন ও পশ্চিমা সমর্থিত কারজাই প্রশাসন প্রতিষ্ঠার পর তিনি আফগানিস্থানে ফিরে আসেন।[১][৩] ২০০৫ সালে তিনি একটি কন্যা সন্তানের মা হন।[৩]
১৯৯৮ সালে আফগান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক পত্রিকা ফারহাং এর প্রধান সম্পাদক ছিলেন আজরা জাফরি। এরপর তিনি ইরানে আফগান উদ্বাস্তুদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তিনি শরনার্থীদের মধ্যে সংস্কৃতি বিষয়ে কাজ করতেন। ২০০১ সালে তিনি কাবুলের লয়া জিরগার সাথে যুক্ত হন।[১] এরপর ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে তিনি আফগানিস্তানে প্রথম ও একমাত্র মহিলা মেয়র হিসাবে নিযুক্ত হন। তাকে নিলি শহরের মেয়র হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[১][৩]
আজরা জাফরি একজন লেখক। তিনি দুটি বই লিখেছেন। তার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০০৩ সালে। বইটি ছিলো আফগানিস্তানের রাজনীতি বিষয়ক। তার দ্বিতীয় বইয়ের নাম আই অ্যাম আ ওয়ার্কিং উইম্যান । বইটি শ্রম আইন এবং শ্রম বাজারে আফগান নারীর অধিকার নিয়ে লেখা। বইটি প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে।[৩]
আজরা জাফরিকে তার জাতীয় কর্মকাণ্ড ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য মিটো স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।[১]