আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর آزاد جموں و کشمیر | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল হিসাবে পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত অঞ্চল | |
স্থানাঙ্ক: ৩৩°৫০′৩৬″ উত্তর ৭৩°৫১′০৫″ পূর্ব / ৩৩.৮৪৩৩৩° উত্তর ৭৩.৮৫১৩৯° পূর্ব | |
দেশ | পাকিস্তান |
প্রতিষ্ঠিত | ২৪ অক্টোবর, ১৯৪৭ (আজাদ কাশ্মীর দিবস) |
রাজধানী | মুজাফফারাবাদ |
বৃহত্তম শহর | মুজাফফারাবাদ |
সরকার | |
• ধরন | পাকিস্তানি প্রশাসনের অধীনে স্ব-শাসিত রাষ্ট্র[১][২] |
• শাসক | আজাদ কাশ্মীর সরকার |
• রাষ্ট্রপতি | সুলতান মাহমুদ চৌধুরী |
• প্রধানমন্ত্রী | সরদার তানভীর ইলিয়াস |
• মুখ্য সচিব | মোহাম্মদ উসমান চাচার[৩] |
• আইনসভা | এক কক্ষবিশিষ্ট (৪৯ আসন) |
আয়তন | |
• মোট | ১৩,২৯৭ বর্গকিমি (৫,১৩৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১৭) | |
• মোট | ৪০,৪৫,৩৬৬ |
• জনঘনত্ব | ৩০০/বর্গকিমি (৭৯০/বর্গমাইল) |
বিশেষণ | আজাদ কাশ্মীরি[৪] |
সময় অঞ্চল | পিএসটি (ইউটিসি+০৫:০০) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | PK-AJK |
ভাষাসমূহ | |
এইচডিআই (২০১৮) | ০.৬১১ [৫] মধ্যম |
বিভাগ | ৩ |
জেলা | ১০ |
তহশিল | ৩৩ |
ইউনিয়ন পরিষদ | ১৮২ |
ওয়েবসাইট | https://ajk.gov.pk/ |
পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর (উর্দু: آزاد جموں و کشمیر) অঞ্চলটি কার্যত ভারতের দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের(কাশ্মীরের) একটি অঞ্চল। এই অঞ্চলের দক্ষিণে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ, পশ্চিমে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ, উত্তরে গিলগিত-বালতিস্তান প্রদেশ এবং পূর্বে ভারতের দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য অবস্থিত।
পূর্বতন দেশীয় রাজ্য কাশ্মীরের এক অংশ উত্তর-কারাকোরাম ভূমিভাগ চীনের হাতে অর্পণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অঞ্চল দুই ভাগে বিভক্ত: উত্তর অঞ্চল ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এই অঞ্চলের অধিকার নিয়ে ১৯৪৭ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই অঞ্চলটিকে ভারত পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর নামে চিহ্নিত করে।[৬]
আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের উত্তর অংশ হিমালয়ের নিম্নাঞ্চল নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে রয়েছে জমগড় বিন্দু (৪,৭৩৪ মিটার বা ১৫,৫৩১ ফুট)। তবে, নীলাম উপত্যকার হ্যারি পর্বত বিন্দু হল এই রাজ্যের সর্বোচ্চ বিন্দু। আজাদ কাশ্মীরের বৈশিষ্ট্য হল এটি উর্বর, সবুজ ও পর্বতসমৃদ্ধ উপত্যকা, যা এই অঞ্চলকে উপমহাদেশের অন্যতম সুন্দর অঞ্চল করে তুলেছে।
এই অঞ্চলে শীত ও গ্রীষ্ম দুই সময়েই বৃষ্টিপাত হয়। মুজাফফারাবাদ ও পাট্টান হল পাকিস্তানের সবচেয়ে শীতলতম স্থান। সমগ্র অঞ্চলজুড়ে গড় বৃষ্টিপাত ১,৪০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যায়, যা মুজাফফরবাদের নিকটবর্তী স্থানে সর্বাধিক গড় বৃষ্টিপাত। গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ও বরফ গলার কারণে ঝিলাম ও লিপা নদীতে মৌসুমী বন্যা দেখা দেয়।
ভিম্বার, মিরপুর ও কোটলি জেলাসহ আজাদ কাশ্মীরের দক্ষিণাঞ্চলে গ্রীষ্মকালে অত্যন্ত গরম এবং শীতকালে মাঝারি ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে। বেশিরভাগ বৃষ্টি বর্ষা আবহাওয়ায় হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯২৫ সালে হরি সিং কাশ্মীরের রাজা হন। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন কাশ্মীরের শাসক। ১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাজনের অন্যতম শর্ত ছিল, ভারতের দেশীয় রাজ্যের রাজারা ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দিতে পারবেন, অথবা তারা স্বাধীনতা বজায় রেখে শাসনকাজ চালাতে পারবেন। ১৯৪৭ সালের ২২ অক্টোবর পাকিস্তান-সমর্থিত পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলার বিদ্রোহী নাগরিক এবং পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের পশতুন উপজাতিরা কাশ্মীর রাজ্য আক্রমণ করে।
কাশ্মীরের রাজা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলেও গভর্নর-জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনের কাছে সহায়তা চাইলেন। কাশ্মীরের রাজা ভারতভুক্তির পক্ষে স্বাক্ষর করবেন, এই শর্তে মাউন্টব্যাটেন কাশ্মীরকে সাহায্য করতে রাজি হন। ১৯৪৭ সালের ২৬ অক্টোবর হরি সিং কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তিতে সই করেন। ২৭ অক্টোবর তা ভারতের গভর্নর-জেনারেল কর্তৃক অনুমোদিত হয়। চুক্তি সই হওয়ার পর, ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে প্রবেশ করে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। ভারত বিষয়টি রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে। রাষ্ট্রসংঘ ভারত ও পাকিস্তানকে তাদের অধিকৃত এলাকা খালি করে দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের তত্ত্বাবধানে গণভোটের প্রস্তাব দেয়। ভারত প্রথমে এই প্রস্তাবে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদ ভারতভুক্তির পক্ষে ভোট দিলে ভারত গণভোটের বিপক্ষে মত দেয়। ভারত ও পাকিস্তানে রাষ্ট্রসংঘের সামরিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিরতি তত্ত্বাবধানে আসে। এই গোষ্ঠীর কাজ ছিল, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখা ও তদন্তের রিপোর্ট প্রত্যেক পক্ষ ও রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের কাছে জমা দেওয়া। যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবে কাশ্মীর থেকে উভয় পক্ষের সেনা প্রত্যাহার ও গণভোটের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু ভারত গণভোটে অসম্মত হয় এবং এজন্য পাকিস্তান সেনা প্রত্যাহারে অসম্মত হয়। ভারত গণভোট আয়োজনে অসম্মত হয় এজন্য যে, এটা নিশ্চিত ছিল যে গণভোটে মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের বেশিরভাগ ভোটারই পাকিস্তানের পক্ষে ভোটদান করবেন ও এতে কাশ্মীরে ভারত ত্যাগের আন্দোলন আরো বেশি জোড়ালো হবে।
মুসলিম প্রধান কাশ্মীর ও অন্যান্য কারণকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ হয়।
এটি ৩টি বিভাগে বিভক্ত। উত্তরে মুজাফ্ফরাবাদ, মধ্যভাগে পুঞ্চ এবং দক্ষিণভাগে মিরপুর, যা দশটি জেলায় বিভক্ত।[৭]
বিভাগ | জেলা | আয়তন (কিমি²) | জনসংখ্যা (২০১৭-এর আদমশুমারি) | সদর দপ্তর |
---|---|---|---|---|
মিরপুর | মিরপুর | ১,০১০ | ৪৫৬,২০০ | নতুন মিরপুর শহর |
কোতলি | ১,৮৬২ | ৭৭৪,১৯৪ | কোতলি | |
ভিম্বার | ১,৫১৬ | ৪২০,৬২৪ | ভিম্বার | |
মুজাফফারাবাদ | মুজাফফারাবাদ | ১,৬৪২ | ৬৫০,৩৭০ | মুজাফফারাবাদ |
হাতিয়ান জেলা | ৮৫৪ | ২৩০,৫২৯ | হাতিয়ান বালা | |
নীলাম উপত্যকা | ৩,৬২১ | ১৯,২৫১ | আথমুকাম | |
পুঞ্চ | পুঞ্চ | ৮৫৫ | ৫০০,৫৭১ | রাওয়ালকোট |
হাভেলি | ৬০০ | ১৫২,১২৪ | কাহুতা | |
বাগ | ৭৬৮ | ৩৭১,৯১৯ | বাগ | |
সুধানতি | ৫৬৯ | ২৯৭,৫৮৪ | পালান্দ্রি | |
মোট | ১০টি জেলা | ১৩,২৯৭ | ৪,০৪৫,৩৬৬ | মুজাফফারাবাদ |
Azad Kashmir – 'Free Kashmir,' the more populated and nominally self-governing part of Pakistani-controlled Kashmir
These are self-ruled autonomous regions. But restrictions apply.