আজারবাইজান টাওয়ার | |
---|---|
Azərbaycan Qala | |
প্রাক্তন নাম | টাওয়ার অফ খাজার |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থা | কখনো নির্মিত হয়নি |
ধরন | মিশ্র ব্যবহার |
স্থাপত্যশৈলী | নিও-ফিউচারিজম মেগাটল স্কাইস্ক্রেপার |
অবস্থান | খাজার দ্বীপপুঞ্জ, আজারবাইজান |
স্থানাঙ্ক | ৪০°১৪′২৯″ উত্তর ৪৯°৩৮′০৩″ পূর্ব / ৪০.২৪১৩৪° উত্তর ৪৯.৬৩৪২৪২° পূর্ব |
নির্মাণব্যয় | (AZM ৩.৪-৫.১ বিলিয়ন) ২–৩ বিলিয়ন ডলার[১] |
স্বত্বাধিকারী | আজারবাইজান |
Height | |
স্থাপত্য | ১,০৫০ মি (৩,৪৪৫ ফু) |
শীর্ষ তলা পর্যন্ত | ১৮৯ |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার সংখ্যা | ১৮৯ |
তলার আয়তন | ৭.৫৬ মিলিয়ন বর্গফুট |
লিফট/এলিভেটর | ৬৯ |
নকশা ও নির্মাণ | |
নির্মাতা | অ্যাভেস্টা কনসার্ন |
আজারবাইজান টাওয়ার একটি পরিকল্পিত[২] সুউচ্চ স্থাপনা যা খাজার দ্বীপপুঞ্জে নির্মাণের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। খাজার দ্বীপপুঞ্জ বাকু থেকে ২৫ কিমি (১৬ মাইল) দক্ষিণে আজারবাইজানে অবস্থিত।[৩]
অ্যাভেস্টা গ্রুপ অফ কোম্পানির সভাপতি ইব্রাহিম ইব্রাহিমোভ ঘোষণা করেন যে, আজারবাইজান টাওয়ারের উচ্চতা হবে প্রায় ১,০৫১ মি (৩,৪৪৮ ফু), এবং এতে ১৮৯টি তলা থাকবে।[৪][৫][৬]
২ বিলিয়ন ডলারের এই টাওয়ার খাজার দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রবিন্দুতে নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই $১০০ বিলিয়ন ডলারের শহরে ৪১টি কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করা হবে, যা কাস্পিয়ান সাগর থেকে পুনরুদ্ধারকৃত ৩,০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হবে।[৪][৭][৮] এই শহরে ১০ লক্ষ অধিবাসী বসবাস করবে, যেখানে থাকবে ১৫০টি স্কুল, ৫০টি হাসপাতাল এবং ডে কেয়ার সেন্টার, অসংখ্য পার্ক, শপিং মল, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং একটি ফর্মুলা ১ মানের রেস ট্র্যাক।[৪][৭][৯] এসব স্থাপনা ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে সক্ষম হবে।[৩][৯] শহরে ১৫০টি সেতু এবং মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি বড় পৌর বিমানবন্দর থাকবে।[৪][৭][১০]
ইব্রাহিম সাংবাদিকদের জানান যে, আমেরিকান, তুর্কি, আরব এবং চীনা বিনিয়োগকারীরা ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যা তার মতে হবে একটি "নতুন ভেনিস"।[৮][১১]
আজারবাইজান টাওয়ারের নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালে শুরু করার এবং ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।[৪] তবে প্রকল্পটি শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] খাজার দ্বীপপুঞ্জ ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা।[১০][১২][১৩] প্রকল্পের ব্যাপকতা বিবেচনা করে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এটি ২০৩০ সালের পরে সম্পন্ন হতে পারে।[১৪]