আজারবাইজানে সরকারি ছুটি বেশ কয়েকটি রয়েছে। ১৯ মে ১৯২১ সালে প্রথমবারের মতো আজারবাইজান সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে সরকারি ছুটির দিনগুলো লিপিবদ্ধ হয়। বর্তমানে এগুলো আজারবাইজানের সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।[১]
তারিখ | বাংলা নাম | আজারবাইজানি নাম | মন্তব্য |
---|---|---|---|
১-২ জানুয়ারি | নতুন বছরের দিন | Yeni il | ২ দিন |
২০ জানুয়ারি | শহীদ দিবস | Qara Yanvar | কালো জানুয়ারি (১৯০০) স্মরণে পালিত হয় যেদিন সোভিয়েত সৈন্যরা বাকুতে প্রবেশ করে ১৩০ জনের বেশি বেসামরিক লোককে হত্যা করেছিলো।[২] |
৮ মার্চ | নারী দিবস | Qadınlar günü | ১ দিন |
২০-২৪ মার্চ | বসন্ত উৎসব | Novruz Bayramı | ৫ দিন |
৯ মে | ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিজয় দিবস | Faşizm üzərinə qələbə günü | দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের সম্মানে। |
২৮ মে | স্বাধীনতা দিবস | Müstəqillik Günü | আজারবাইজান গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা (১৯১৮)। |
১৫ জুন | জাতীয় মুক্তি দিবস | Azərbaycan xalqının Milli Qurtuluş günü | সংসদ এই দিনে হেইদার আলিয়েভকে দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাকুতে আমন্ত্রণ জানায় (১৯৯৩)। |
২৬ জুন | আজারবাইজান সশস্ত্র বাহিনী দিবস | Azərbaycan Respublikasının Silahlı Qüvvələri günü | ১৯১৮ সালের এই দিনে আজারবাইজানি জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার স্মরণে। |
৮ নভেম্বর | বিজয় দিবস | Zəfər Günü | ২০২০ সালের নাগর্নো-কারাবাখ যুদ্ধের পাশাপাশি শুশার লড়াইয়ে আজারবাইজানের বিজয়ের স্মৃতিচারণ করে। এটি একটি কর্মহীন দিবস। |
১৯ নভেম্বর | রাষ্ট্রীয় পতাকা দিবস | Dövlət Bayrağı günü | ৯ নভেম্বর ১৯১৮ সালে আজারবাইজানের পতাকা গ্রহণের স্মরণে[৩] যা আনুষ্ঠানিকভাবে ৯ নভেম্বর ২০০৯ সকলে রাষ্ট্রীয় পতাকা দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৪] |
৩১ ডিসেম্বর | আজারবাইজানিদের আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস | Dünya Azərbaycanlılarının Həmrəyliyi günü | বার্লিন প্রাচীরের পতনের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, আজারবাইজানের জাতীয়তাবাদী পপুলার ফ্রন্ট ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে সোভিয়েত আজারবাইজান ও ইরানের মাঝে সীমান্ত অপসারণের আহ্বান জানায় ও নেতৃত্ব দেয়। এরপর থেকে এটিকে আজারবাইজানীয়রা সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।[৫] |
ইসলামি চন্দ্র বর্ষপঞ্জির কারণে পরিবর্তনশীল | ঈদুল ফিতর | Ramazan Bayramı | ২ দিন |
ইসলামি চন্দ্র বর্ষপঞ্জির কারণে পরিবর্তনশীল | ঈদুল আযহা | Qurban Bayramı | ২ দিন |
আজারবাইজানের জাতীয় দিনগুলো নিম্নরূপ কর্মদিবসে উদযাপিত হয়ে থাকে:
আজারবাইজানে শুধুমাত্র রমজান ও কুরবানীর ছুটির দিনগুলোই অকার্যকর ধর্মীয় দিন হিসেবে থাকে কারণ দেশটি অত্যন্ত ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মহীন।[৯][১০] প্রধানত নারদারান এবং অন্যান্য কয়েকটি গ্রাম ও অঞ্চলে বসবাসরত দেশটির ধর্মীয় জনগোষ্ঠী আশুরা উদযাপন করে যা ইসলামি বর্ষপঞ্জি একটি শিয়া শোক দিবস। এছাড়াও প্রধানত অর্থোডক্স খ্রিস্টান ও ইহুদির সহ দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিজেদের বিশ্বাসের উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় দিনগুলো উদযাপন করে।[১১] নওরোজ ছুটির দিনটি জরাথুস্ট্রবাদ ধর্ম আসলেও প্রায় সমস্ত আজারবাইজানি এটিকে বসন্তের ছুটি হিসেবে উদযাপন করে।