কুতুবে যামান, মুফতি আজিজুল হক | |
---|---|
![]() | |
আচার্য, আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া | |
অফিসে ১৯৩৮ – ১৯৬১ | |
উত্তরসূরী | হাজী মুহাম্মদ ইউনুস |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯০৩ |
মৃত্যু | ১৯৬১ |
সমাধিস্থল | মাকবারায়ে আজিজ, জামিয়া পটিয়া |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | পূর্ব পাকিস্তানি |
সন্তান | মাওলানা ইসমাঈল |
পিতামাতা |
|
জাতিসত্তা | বাঙালি |
যুগ | বিংশ শতাব্দী |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
প্রধান আগ্রহ | সুফিবাদ চর্চা, কুরআন-সুন্নাহ, ইসলামি ইতিহাস, সমাজসেবা |
যেখানের শিক্ষার্থী | |
ঊর্ধ্বতন পদ | |
যার দ্বারা প্রভাবিত | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
দেওবন্দি আন্দোলন |
---|
সিরিজের অংশ |
![]() |
আজিজুল হক (১৯০৩ — ১৯৬১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত, হানাফি সুন্নি আলেম, শিক্ষাবিদ, সুফি সাধক এবং সমাজ সংস্কারক। তিনি ছিলেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং ১ম আচার্য। তাকে কুতুবুল আলম/কুতুবে যামান মনে করা হয়।[২][৩][৪][৫][৬][৭][৮]
আজিজুল হক ১৯০৩ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার অন্তর্গত চরকানাই গ্রামে মুন্সি বাড়ির এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা নুর আহমদ যিনি তার এগারো মাস বয়সে মারা যান। অন্যদিকে তার এগারো বছর বয়সে মা মারা যান। তখন থেকে তার দাদা মুন্সি সূরত আলী আজিজুল হককে লালন পালন করেন।
১৯১৪ সালে তার দাদা তাকে আল জামিয়াতুল আরবিয়াতুল ইসলামিয়া জিরিতে জামেয়া জিরির পরিচালক শাহ আহমদ হাসান এর তত্ত্বাবধানে ভর্তি করান।
তিনি যে বছর জামিয়া জিরিতে মেশকাত পড়েন সে বছর শাহ আহমদ হাসান ঘোষণা করলেন যে, আগামী বছর এখানে দাওরায়ে হাদীস শুরু হবে। সুতরাং মেশকাতের ছাত্রদের এখানেই পড়তে হবে। ঘোষণা মোতাবেক, তিনি জামেয়া জিরিতে দাওরায়ে হাদীস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন।
১৯২৪ সালে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষার জন্য ভারতে দারুল উলুম দেওবন্দ এবং মাযাহির উলুম, সাহারানপুরে হাদীস, দর্শন, ফিকহ ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন। ১৯২৪ সালে আশরাফ আলী থানবীর সাহচর্যে প্রায় নয় মাস আধ্যাত্মিকতার চর্চা করে দেশে ফিরে আসেন।[৬]
১৯২৭ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত জামিয়া জিরিতে তিনি মুফতি ও মুফাসসির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৩৮ সালে তার শিক্ষক জমিরুদ্দীনের পৃষ্ঠপোষকতায় পটিয়ায় ‘জমিরিয়া কাসেমুল উলুম’ নামে একটি ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।[৪] যা পরবর্তীতে সময়ে আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া নামে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। তিনি আজীবন এর আচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন।[৬]
জামিয়া জিরিতে অধ্যাপনাকালে তিনি পশ্চিম পটিয়ার অন্তর্গত হরিণখাইন নিবাসী বদিউর রহমান সওদাগরের মেয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার তিন ছেলে ও চার মেয়ে।[৯]
তিনি ১৯৬১ সালের ৩ মার্চ জুমার নামাজের পূর্ব মূহুর্তে মৃত্যুবরণ করেন। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের তৎকালীন ইমাম আব্দুল করিম মাদানির ইমামতিতে জামিয়া পটিয়ার মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জামিয়ার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়, বর্তমানে এই কবরস্থানের নাম “মাকবারায়ে আযীযী”। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।[১০][১১]