প্রতিষ্ঠাতা | |
---|---|
মক্খলি গোসাল | |
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল | |
গাঙ্গেয় মধ্য অঞ্চল |
আজীবিক একটি অন্যতম মুখ্য ভারতীয় ধর্ম। এই ধর্ম ২০০০ বছর ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল। মক্খলি গোসালা এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন।পরে তারা বুদ্ধের শিষ্য হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।
এই ধর্মের মূল বিষয় ছিল নিয়তি অর্থাৎ ভাগ্য। এই ধর্ম মতানুসারে নিয়তি সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোনো পৌরুষাকার একে পরিবর্তন করতে পারে না।[২]
আজীবিক ধর্ম একটি প্রাচীন ধর্ম। ছোট ছোট গোষ্ঠী হিসাবে এই ধর্ম অনেক আগে থেকে গাঙ্গেয় মধ্য অঞ্চলে প্রচলিত ছিল। মক্খালি গোসলা এদের একত্রিত করে একটা ধর্মীয় গোষ্ঠীতে পরিণত করেন। গোসালার আগে দুজন আজীবিক গুরু নন্দ বাচ্চা আর কিসা সনকিচ্চা নাম পাওয়া যায়। এবং গোসালা পরবর্তী যুগে পুর্ণ কাশ্যপ নাম পাওয়া যায়। রাজা বিম্বীসার আজীবিক ছিলেন। বাংলায় তাম্রলিপ্তে প্রচুর আজীবিক ছিলেন তা হিউয়েন সাং এর বিবরনে পাওয়া যায় ।আরেকটি মতে সাত জন মুক্ত পুরুষের উল্ল্যখ পাওয়া যায়। এরা হলেন — এনেজাগ্গা, মল্লরামা, মান্ডিয়া, রোহা, ভারাদায়ী, অর্জুন গোয়ামাপুত্র, মক্খালি গোসালা।
মৌর্য যুগে আজীবিক সারা ভারতে ও সিংহলে প্রচার পায়। নাগার্জুন গুহায় প্রাপ্ত অশোকের শিলালিপি এই কথার ও সমাজে আজীবিকদের প্রভাব সম্বন্ধে নিশ্চিত প্রমাণ। চীনা বৌদ্ধ গ্রন্থে ভারতে প্রতিবাদী ধর্মের মধ্যে বৌদ্ধের পর আজীবকদের উল্ল্যেখ আছে। এতেই বোঝা যায় তখন এই ধর্মের কিরকম বিস্তার ছিল। বরাহ মিহির তার গ্রন্থে আজীবিকদের জ্যোতিষ চর্চার উল্ল্যেখ করেছেন। দক্ষিণ ভারতে আজীবিকরা প্রায় চতুর্দশ শতাব্দী অবধি ছিল এর উল্ল্যেখ মনিমেখলাই নামক তামিল পুস্তকে পাওয়া যায়। জৈন গ্রন্থে সর্বশেষ ১২৯২ এ আজীবিকদের উল্ল্যেখ পাওয়া যায়। তখন উত্তর ভারতে তারা গুপ্ত সংস্থা তৈরী করে কোন রকমে টিকে ছিল। এবং ধর্ম তখন সম্পূর্ণ রূপে বিকৃত — তন্ত্র,কালো যাদুর কবলে চলে গিয়েছিল।[৩]
যাগ-যজ্ঞ বা দেব দেবীর পূজার কোন নিয়ম তারা মানতো না, আজীবকরা বিশ্বাস করতো যে মানুষের কর্মফল অখণ্ডনীয়, এর হাত থেকে পরিত্রাণ নেই। নিয়তি মানুষের ভবিষ্যতকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। তারা বিশ্বাস করতো সকল মানুষকে ৮৪ লক্ষ বার জন্মগ্রহণকরতে হবে। আজীবক ধর্মমত ছিল হতাশা থেকে জ্ঞাত এবং নেতিবাচক। এতে অদৃষ্টবাদ ছিল বড়ই প্রবল। আজীবিকদের কোন ধর্মগ্রন্থ পাওয়া যায়নি। ব্রত পালন ও জীবনধারণে আজীবিক সন্ন্যাসীরা কট্টরপন্থী ছিলেন। নগ্নদেহী এসব সন্ন্যাসীদের ভিক্ষাই ছিল অবলম্বন। অনেক সময় তারা উপবাসের মধ্যদিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করতেন।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |