আজুল | |
---|---|
গ্রাম্যসভা | |
Arabic প্রতিলিপি | |
• Arabic | عجّول |
• Latin | 'Ajjul (official) Ajoul (unofficial) |
দেশ | ফিলিস্তিন |
সরকার | রামাল্লাহ ও আল-রিাহ |
সরকার | |
• ধরন | প্রাম্যসভা |
• Head of Municipality | মুসা |
আয়তন | |
• মোট | ৬৬৪০ দুনামs (৬.৬ বর্গকিমি or ২.৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০০৬) | |
• মোট | ১,২৩৭ |
• জনঘনত্ব | ১৯০/বর্গকিমি (৪৯০/বর্গমাইল) |
Name meaning | "Calves"[১] |
আজুল (আরবি: عجّول) হল রামাল্লার মধ্যে ফিলিস্তিনি একটি গ্রাম এবং উত্তর পশ্চিম তীরের আল-বিরহ গভর্নরেট ও রামাল্লার উত্তরে অবস্থিত। গ্রামের পূর্বদিকে দুটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা খিরবেত রয়েছে। একটি খিরবেত আজজুলের প্রাক্তন বাসিন্দা শেখ আব্দুলকে উৎসর্গ করা হয়েছে।[২] আজুল তিন সদস্যের একটি গ্রাম পরিষদ দ্বারা পরিচালিত হয়।[৩]
আজুল রামাল্লার ১৩.৪ কিলোমিটার (৮.৩ মা) (আনুমানিকভাবে) উত্তরে। এটা তোলে সীমান্তে রয়েছে- Atara পূর্বে আতারা, দক্ষি আবউণ-পূর্বে অবউইন, উত্তরে বানি জাইদ ছাই শারকিয়া এবং পশ্চিমে সুদানের দেইর এবং উম্মে সাফা। আজুল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৮৪ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।[৪]
আজুল একটি প্রাচীন গ্রাম। লৌহ যুগ, পারস্য যুগ, হেলেনিস্টিক যুগ, রোমান/বাইজেন্টাইন, ক্রুসেডার/আইয়ুবিদ, মামলুক এবং অটোমান যুগের প্রথম দিকের ব্যবহার্য পানপাত্র পাওয়া গেছে।[৫] এছাড়াও এখানে পাথর কাটা সমাধি পাওয়া গেছে, এবং প্রাচীন স্থাপত্যের টুকরোগুলি একটি মসজিদে পুনরায় ব্যবহার করা হয়েছে।[৬]
মুসলিম পণ্ডিত দিয়া আল-দিন (মৃত্যু ১২৪৫) এর মত অনুসারে, ১২তম এবং ১৩ শতকে, ক্রুসেডার সময়কালে , আজুল মুসলমানদের দ্বারা অধ্যুষিত ছিল।[৭] গ্রামের একটি মসজিদের দক্ষিণ দেওয়ালে একটি শিলালিপি রয়েছে, এটি ১১৯৬ সালের। শিলালিপিটি আইয়ুবিদ নসখী লিপিতে রয়েছে।[৮][৯]
রোহরিথ (১৮৪২-১৯০৫) আজুলে ক্রুসেডারের জায়গা গুল নামকরণ করে ছিল;[১০] তবে কনডার (১৮৪৮-১৯১০) একে অনভিপ্রেত হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।[১১]
গ্রাম অটোমান সাম্রাজ্যের প্যালেস্টাইনের সব গ্রামকে ১৫১৭ ও ১৫৯৬ সালে এক কর রেজিস্টার খাতায় কুদস এর নেহিয়া ও লিওয়ার সাথে বিধিবদ্ধ করা হয়েছিল। এর জনসংখ্যা ছিল ৭৯টি পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ, তারা সকলেই মুসলিম ছিল। তারা কৃষি পণ্যের উপর ৩৩.৩% এর একটি নির্দিষ্ট করের হার প্রদান করেছিল, যার মধ্যে গম, বার্লি, গ্রীষ্মের ফসল, দ্রাক্ষাক্ষেত্র এবং ফলের গাছ, জলপাই, ছাগল এবং/অথবা মৌচাক অন্তর্ভুক্ত ছিল; মোট ৮৭৪৫ অ্যাকসি কর দিত। রাজস্বের অর্ধেক ওয়াকফ হিসাবে জমা হত।[১২]
১৮৩৮ সালে বেনি জেইদ প্রশাসনিক অঞ্চলে আজুল একটি মুসলিম গ্রাম হিসাবে পরিচিত ছিল।[১৩] ১৮৭০ সালে ভিক্টর গুয়েরিন গ্রামের পাশ দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি এ গ্রামকে আ'ডজউল বলে ডাকেন এবং অনুমান করেছিলেন যে প্রায় ৩০০ জন বাসিন্দা রয়েছে। আজুলের প্রায় সবখানে বড় ডুমুর এবং খুরুব বাগান ছাড়াও ডালিম, তুঁত এবং খুবানি গাছ পাওয়া গেছে।[১৪] প্রায় একই বছরের একটি সরকারী অটোমান গ্রামের তালিকায় দেখা গেছে যে আজুলের ৭৯টি বাড়ি এবং এতে জনসংখ্যা ২৫০ জন রয়েছে, যদিও জনসংখ্যার সংখ্যা শুধুমাত্র পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১৫][১৬]
১৮৮২ সালে, পিইএফ এর পশ্চিম ফিলিস্তিন সার্ভেতে এটিকে মধ্যপন্থী উত্তম আকারের একটি "গ্রাম হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি উঁচু জমিতে অবস্থিত এবং চারদিকে জলপাই ও প্রাচীন সমাধি রয়েছে। দক্ষিণ দিকের একটি প্রাচীন রাস্তা এটির দিকে নিয়ে যায়।" [১৭] ১৮৯৬ সালে আজুলের জনসংখ্যা প্রায় ৪৬৮ জন বলে অনুমান করা হয়েছিল।[১৮]
ব্রিটিশ ম্যান্ডেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পরিচালিত ফিলিস্তিনের ১৯২২ সালের আদমশুমারিতে, আজুলের জনসংখ্যা ছিল ২০২ জন এবং তারা সবাই মুসলিম।[১৯] ১৯৩১ সালের আদমশুমারির সময়, আজুলের ৭৯টি দখলকৃত বাড়ি এবং ২৯২ জন জনসংখ্যা ছিল, এখনও সমস্ত লোক মুসলিম।[২০]
১৯৪৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এর জনসংখ্যা ছিল ৩৫০ মুসলমান।[২১] একটি সরকারী ভূমি ও জনসংখ্যা জরিপ অনুসারে দেখা যায়, এতে মোট ভূমির পরিমাণ ছিল ৬৬৩৯ ডুনাম।[২২] এর মধ্যে ৩৫০৭টি আবাদ এবং সেচযোগ্য জমির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল, ৮৬৩টি শস্যের জন্য,[২৩] যেখানে ১৪টি ডুনামকে বিল্ট আপ এলাকা হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।[২৪]
১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ১৯৪৯ সালের যুদ্ধবিগ্রহ চুক্তির পর, আজুল জর্ডানের শাসনের অধীনে আসে।
১৯৬১ সালে জর্ডানের আদমশুমারিতে, এখানে ৬০০ জন বাসিন্দা পাওয়া গেছে।[২৫]
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে আজুল ইসরায়েলের দখলে রয়েছে।
১৯৯৫ সালের চুক্তির পর, আজুলের জমির ৪৮.৩% এলাকা এ জমি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, ২৭.২% এলাকা বি, বাকি ২৪.৫% এলাকা সি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ইসরায়েল আতেরেটের ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের জন্য গ্রামের ৩৬৩ ডুনাম জমি বাজেয়াপ্ত করেছে।[২৬]
ফিলিস্তিনি সেন্ট্রাল পরিসংখ্যান ব্যুরো (পিসিবিএস) এর মতে, ২০০৬ সালে আজুলের বাসিন্দাদের মধ্য ১৪৫০ জনসংখ্যা ছিল।
আজুলে একটি ক্লিনিক রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রক্ত পরীক্ষার সাথে জড়িত। বেশিরভাগ বাসিন্দাই রামাল্লার নিকটতম হাসপাতাল সিনজিলে অবস্থিত ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট থেকে চিকিৎসা সহায়তা পান।
আজুলে দুটি মসজিদ অবস্থিত: একটি আধুনিক এবং একটি পুরানো, সংস্কার করা প্রয়োজন।[২]
গ্রামে সহশিক্ষার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, যেখানে ৪০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বীর জেইতের প্রিন্স হাসান স্কুলে বিজ্ঞান ও সাহিত্যের ক্লাসে অংশ নেয়। আজুলের প্রায় ৫০ জন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। গ্রামে কোনো ডাক পরিষেবা নেই।[২]