সংস্থার রূপরেখা | |
---|---|
ধরন | সরকারী সংস্থা |
মূল সংস্থা | সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রক |
আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ অথবা আঞ্চলিক পরিবহন দপ্তর ইংরেজি: Regional Transport Authority (RTO/RTA) ভারত সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি সরকারি কর্তৃপক্ষ। এই সংস্থাটি ড্রাইভার সংক্রান্ত তথ্য রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের যানবাহন নিবন্ধন সম্বন্ধীয় তথ্য সংরক্ষণের কজে নিযুক্ত।[১] এছাড়াও সংগঠনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা,[২] গাড়ি শুল্ক সংগ্রহ করা (যা সড়ক শুল্ক নামেও পরিচিত) এবং ব্যক্তিগতকৃত নিবন্ধীকরণের বিক্রি[৩] ইত্যাদিও কর্তৃপক্ষেের দায়িত্ব।
সেই সাথে, যানবাহনের বীমা পরিদর্শন এবং যানবাহন উৎপাদিত দূষণ প্রতিরোধও আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাজ।[৪]
আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, শুল্ক আদায় করেনি এমন যানবাহন শনাক্ত করে, এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রবেশকরী গাড়ির মালিকদেরও চিহ্নিত করে অথবা যারা নির্ধারিত গতির চাইতে জোরে গাড়ি চালাই গতি ক্যামেরা দ্বারা তাঁদেরকেও চিহ্নিত করা হয়।[৫]
বর্তমানে, গাড়ি সংক্রান্ত অপরাধ কমাতে এবং ব্যক্তি নিরাপত্তা উন্নত করতে "উচ্চ সুরক্ষা মূলক নিবন্ধন ফলক"(HSRP)-এর প্রচলন করা হয়েছে। গাড়ি সম্বন্ধিত চোরাই কারবার থেকে নিবৃত্তি পেতেও এই ব্যবস্থাটির সাহায্য নেওয়া যায়।[৬]
যদি যানবাহন নিবন্ধন সনদ চুরি হয়ে যায়, হারিয়ে যায়, লেখা খারাপ হয় অথবা সেটি যদি ছিঁড়ে যায় তাহলে গাড়ির মালিক তাঁর সনদের অণুলিপি পেতে সংশ্লিষ্ট আ,প, দপ্তরে আবেদন করতে পারেন। প্রথম দুটি কারণের ক্ষেত্রে পরিবহন আধিকারী কর্তৃক একটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার থানাতে দায়ের করা হয়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার পর, মালিককে ২৬নং ফর্ম এবং পুলিশ সার্টিফিকেট সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হয়; এর পর মালিককে নিবন্ধন সনদের অণুলিপি প্রদান করা হয়।[৭]
কূটনৈতিক এবং অধিনায়কীয় যানবাহন সমূহ, আঞ্চলিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত করা থাকে।
ভারতে আ,প,ক (RTO) প্রতিদিন দুর্নীতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে কুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং ঘুষ নেওয়া "প্রতিদিনের প্রপঞ্চ" হয়ে দাঁড়িয়েছে।[৮]
২০১৪ সালে, কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকরি, সংস্থাটির দুর্নীতি দমন করতে এর বিভিন্ন ফাংশন অনলাইন করার প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।[৯]