আবু জাফর আহমদ আত-তাহাবী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ৮৪৩ খ্রী/২২৯ হি |
মৃত্যু | ৫ নভেম্বর ৯৩৩ খ্রী/ ১৪ জুলকদ ৩২১ হি |
ধর্ম | ইসলাম |
ইমাম আবু জাফর আহমদ বিন মুহাম্মদ আল তাহাবী বা শুধু আল-তাহাবী (الطحاوي)(৮৪৩ - ৫ নভেম্বর ৯৩৩) হানাফি মাজহাবের একজন সুন্নি আলেম ছিলেন।
তাহাবী ৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে/২২৯ হিজরিতে উত্তর মিশরের তাহা গ্রামে এক ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। [১] তিনি পড়াশোনা তার মামা ইসমাঈল ইবনে ইয়াহিয়া আল-মুজানির সাথে শুরু করেন, যিনি ছিলেন শাফিঈ মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় একজন আলেম।[২] ৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে/২৪৯হিজরীতে, তাহাবী ২০ বছর বয়সে শাফিই মাযহাব ত্যাগ করেন এবং ব্যক্তিগত কারণে হানাফি মাযহাব গ্রহণ করেন। তার হানাফী মাযহাবে স্থানান্তরের কারণ নিয়ে অনেক বর্ণনা রয়েছে, তবে অধিক সম্ভাব্য কারণ ছিল মনে হয়, তার কাছে আবু হানিফাকে শাফিঈর থেকে বেশি বুদ্ধিদীপ্ত লেগেছিল।
তাহাবী পরে মিশরে হানাফীদের প্রধান আহমেদ ইবনে আবী ইমরান মুসার অধীনে পড়াশোনা করেন, যিনি নিজে আবু হানিফার দুই প্রাথমিক শিক্ষার্থী আবু ইউসুফ এবং মুহাম্মদ আল-শায়বানির অধীনে পড়াশোনা করেছিলেন। তাহাবী পরবর্তী সময়ে ৮৮২ খ্রী/২৬৮ হিজরীতে হানাফি আইন বিষয়ে আরও পড়াশোনা করার জন্য সিরিয়ায় যান এবং দামেস্কের প্রধান হাকিম কাজী আবু হাজ্জিম আবদুল হামিদ বিন জাফরের শিষ্য হন। [৩]
তাহাবী হানাফী আইনশাস্ত্র ছাড়াও হাদীসের উপর এক অসাধারণ জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। ফলস্বরূপ তাঁর গবেষণা অনেক আলেমকে আকৃষ্ট করে যারা পরে তাঁর হাদীস সম্পর্কিত রচনা নিয়ে আরো গবেষণা করেন। এর মধ্যে খুরাসানের জহিরীদের প্রধান আল-দাউদি এবং হাদীস বর্ণানাকারীদের জীবনী সংক্রান্ত অভিধানের জন্য আল-তাবারানী সুপরিচিত ছিলেন। [৪]
হানাফী ফকীহরা তো বটেই, তাহাবির গ্রন্থ কিতাব মাআনী আল-আতহার এবং তাঁর আকীদা সম্পর্কিত বইয়ের জন্য বেশিরভাগ সুন্নি পন্ডিতের মধ্যে বিশিষ্ট স্থান অর্জন করেছে।
তাঁর সময়ের আলেমরা তাঁর প্রশংসা করতো এবং তাকে হাদীসের মুহাদ্দিস বলতেন। তিনি একজন নির্ভরযোগ্য এবং প্রতিষ্ঠিত বর্ণনাকারী ছিলেন। তাকে একজন বিশিষ্ট এবং দক্ষ লেখক হিসাবে দেখা হত। আর মিশরের হানাফীদের মধ্যে ফিকহের সর্বাধিক জ্ঞানী হিসাবে তিনি পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
তিনি অনেক রচনা রেখে গেছেন, প্রায় চল্লিশটি বইয়ের মত , যার কয়েকটি আজও পাওয়া যায়। তাঁর রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে:
তিনি ৫ই নভেম্বর ৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ/১৪ জুলকদ ৩২১ হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে কায়রা (মিশর) এর কারাফাহে সমাধিস্থ করা হয়।