![]() | |
যার অংশ | Event Horizon Telescope Llano de Chajnantor Observatory ![]() |
---|---|
অবস্থান | আন্তুফাগাস্তা অঞ্চল, চিলি |
স্থানাঙ্ক | ২৩°০১′০৯″ দক্ষিণ ৬৭°৪৫′১২″ পশ্চিম / ২৩.০১৯৩° দক্ষিণ ৬৭.৭৫৩২° পশ্চিম |
সংস্থা | National Institutes of Natural Sciences, Japan ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ইউরোপীয় দক্ষিণ মানমন্দির সংস্থা ![]() |
উচ্চতা | ৫,০৫৮.৭ মি (১৬,৫৯৭ ফু) |
দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ধরন | radio interferometer ![]() |
ওয়েবসাইট | www |
![]() | |
আতাকামা লার্জ মিলিমিটার অ্যারে (ইংরেজি: Atacama Large Millimeter Array) বা আলমা চিলির আতাকামা মরুভূমির কাইনান্তোর (ইংরেজি: Chajnantor) উপত্যকায় স্থাপিত একটি বেতার দুরবিন যা দিয়ে বিভিন্ন জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক বস্তু থেকে আসা মিলিমিটার ও সাবমিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিকিরণ শনাক্ত করা সম্ভব। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া এবং স্বাগতিক দেশ চিলির আন্তর্জাতিক অংশীদারত্বে স্থাপিত আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূ্র্ণ এক মহাকাশ বিদ্যা –প্রকল্প। চিলির আতাকামা মরুভূমির ৫ কিমি উচ্চতায় স্থাপিত কাইনান্তোর উপত্যকায় প্রতিষ্ঠিত এই বেতার দূরবীনে রয়েছে ৬৬ টি অতি সূক্ষ রিজোলিউশানের এন্টেনা যার সাহায্যে একসাথে ব্যতিচারমিতিক (ইন্টারফেরোমেট্রি) প্রক্রিয়ায় একটি বস্তু পর্যবেক্ষণ করা যাবে। অধিকাংশ দুরবিনের এন্টেনার ব্যাসই ১২ মিটার, তবে কিছু ৭ মিটার ব্যাসের এন্টেনাও রয়েছে।[১] পূর্বকালীন মহাকাশের বিভিন্ন নক্ষত্র-জন্মের বিস্তৃত বিবরণ সরবরাহ করবে এই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে। মহাজাগতিক নিয়মে মহাকাশের যে সকল নক্ষত্রেরা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্ম-বিস্তৃতির বিস্তারিত প্রতিমূর্তি তুলে ধরাই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারের মূল লক্ষ্য।
২০১১ সালের দ্বীতিয়ার্ধে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে তার বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ শুরু করে এবং ৩ রা মার্চ ,২০১১ প্রথমবারের মতো সংবাদ-মাধ্যমে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারের পর্যবেক্ষণের প্রতিচ্ছবি প্রকাশিত হয়। মার্চ,২০১৩ এই বেতার দুরবীন তার সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করে। [২]
যুক্তরাষ্ট্রের মিলিমিটার এ্যারে,ইয়ুরোপের লার্জ সাউদার্ন এ্যারে এবং জাপানের লার্জ মিলিমিটার এ্যারে ---- এই তিনটি প্রকল্পের ত্রিবেণী সঙ্গমেই তৈরী হয়েছে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে প্রখ্যাত প্রকল্প—আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে।[৩] তার নির্মাণ ও কার্যসম্পাদনের দায়িত্বে রয়েছে জয়েন্ট আ.ল.ম.এ অবসারভেটরী।সব মিলিয় দুরিবন অবসারভেটরী নির্মাণে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে।[৪] যেসব সংগঠ্ন আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছে, তারা হল—
৬৬ টি অতি সূক্ষ রিজোলিউশানের অ্যান্টেনা দিয়ে গঠিত হয়েছে আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে; এই অ্যান্টেনাগুলো ০.৩-৯.৬ মিলিমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যে কার্যকরী হয়।এই স্থাপনায় ব্যবহৃত বহুসংখ্যক দুরবীক্ষণ যন্ত্রের কারণেই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে সূক্ষ পর্যবেক্ষণে সক্ষম হয়েছে। নিম্নলিখলত উদ্দেশ্য নিয়েই আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারে গঠিত হয়-
২টা সৌরজগৎের সংঘর্ষ ও তাদের বিকৃত আকার-ধারণ-এর পর্যবেক্ষণই ছিল এই অনুসন্ধানের মূল লক্ষ্য। এই সৌরজগৎ অ্যান্টেনা সৌ্রজগত নামে পরিচিত। [৫]
এইচ.আই টৌরি নামক নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান প্রাকগ্রহ চাকতি (প্রোটোপ্ল্যানেটারী ডিস্ক)-এর প্রতিচ্ছবি আতাকামা লার্জ মিলিমিটার এ্যারের দূরবীক্ষণযন্ত্রে লেন্সবন্দী হয়।এই চাকতি ভবিষ্যতে নতুন গ্রহ সৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে। [৬]