আতেঘে সেদিকি عاتقه صدیقی | |
---|---|
ইরানি আইনসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ নভেম্বর ১৯৮১ – ৩ মে ১৯৯২ | |
সংসদীয় এলাকা | তেহরান, রে, শেমিনারাত ও এসলামশহর |
সংখ্যাগরিষ্ঠ | ১৮,৪২,৭৪৬ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | কাজভিন, ইরান | ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩
জাতীয়তা | ইরানি |
রাজনৈতিক দল | ইসলামিক রিপাবলিক পার্টি ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন অব টিচার্স[১] |
দাম্পত্য সঙ্গী | মোহাম্মদ আলী-রাজাই (১৯৫৮-১৯৮১) |
সন্তান | ৩ |
ধর্ম | শিয়া ইসলাম |
আতেঘে সেদিকি (জন্ম : ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৩) হলেন একজন ইরানি রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মী। তিনি ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আলী-রাজাইর সহধর্মিণী ছিলেন।[২] তিনি ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত ইরানি আইনসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আতেঘি সাদেকি ১৯৪৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ইরানের কাজভিনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি মোহাম্মদ আলী-রাজাইর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তিনি পাহলভি শাসনামলের সময় তার স্বামীর সাথে একসাথে কাজ করেছেন। তিনি তার স্বামীকে রেফাহ স্কুল প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছেন। তিনি ও তার স্বামী ইসলামি বিপ্লবের পূর্ববর্তী ও ইসলামি বিপ্লব চলাকালে দেশটির রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আতেঘি সাদেকি ১৯৭৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রুহুল্লাহ্ খামেনেইর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময় অভ্যর্থনা কমিটির সদস্য ছিলেন।
তার স্বামী মোহাম্মদ আলী রাজাই রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে ১৯৮১ সালের ৩০ অক্টোবর বোমা হামলায় নিহত হন।[৩] এরপর আতেঘে সেদিকি তেহরান, রে, শেমিনারাত ও এসলামশহর সংসদীয় এলাকা থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি ১৮,৪২,৭৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এরপর তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৮৮ সালে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯২ সালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেয় দেশটির গার্ডিয়ান কাউন্সিল।
২০০৯ সালে ইরানি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি মির হোসেইন-মৌসাভিকে সমর্থন করেন ও নির্বাচন শেষ হবার পর রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।[৪]