আথাবাস্কা পর্বত | |
---|---|
সর্বোচ্চ বিন্দু | |
উচ্চতা | ৩,৪৯১ মিটার (১১,৪৫৩ ফুট) [১] |
সুপ্রত্যক্ষতা | ৬৭১ মিটার (২,২০১ ফুট) [২] |
স্থানাঙ্ক | ৫২°১০′৫০″ উত্তর ১১৭°১২′০৬″ পশ্চিম / ৫২.১৮০৫৬° উত্তর ১১৭.২০১৬৭° পশ্চিম [৩] |
ভূগোল | |
অবস্থান | আলবার্টা, কানাডা |
মূল পরিসীমা | কানাডিয় রকিজ |
টপো মানচিত্র | ৮৩ সি/০৩[৩] |
আরোহণ | |
প্রথম আরোহণ | ১৮ আগস্ট, ১৮৯৮ (জন নরম্যান কোলি ও হারম্যান উলি)[১] |
সহজ পথ | হামাগুড়ি দিয়ে আরোহণ/হিমবাহ/বরফ বেয়ে ওঠা |
আথাবাস্কা পর্বত কানাডার আলবার্টা প্রদেশের জেসপার জাতীয় উদ্যানের কলাম্বিয়া বরফক্ষেত্রে আথাবাস্কা ও সাসকাচ্যুয়ান হিমবাহের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত একটি হিমবাহ পর্বত। আথাবাস্কা নামটি উডস ক্রি ভাষা'র 'aðapaskāw'(উচ্চারণঃ আথাপাস্কো) হতে এসেছে, যার অর্থ- ''এক এরপর এক বৃক্ষ'', শব্দটি এই নদী দুই তীরের কিছুদূর পরপর বিচ্ছিন্ন ও অনিয়মিত উদ্ভিদের সারিকে নির্দেশ করে। যা মূলত আথাবাস্কা হ্রদের চারপাশের পরিবেশের বর্ণনা হতে উদ্ভূত। আথাবাস্কা পর্বত আরোহণযোগ্য, এটির উচ্চতা ৩,৪৯১ মিটার (১১,৪৫৩ ফুট)। ইংলিশ পর্বতবিদ জন নরম্যান কলি ও হারম্যান উলি ১৮৯৮ সালের ১৮ আগস্ট, এই পর্বতে প্রথম আরোহণ করেন এবং জন নরম্যান কলি আথাবাস্কা পর্বত নামকরণ করেন।[১]
আথাবাস্কা পর্বত কলাম্বিয়া বরফক্ষেত্রকে ঘিরে রাখা পর্বতগুলির একটি। আথাবাস্কা ও সাসকাচ্যুয়ান হিমবাহের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত পর্বতটির উচ্চতা ৩,৪৯১ মিটার (১১,৪৫৩ ফুট)। অ্যানড্রোমিডা এর নিকটতম পর্বত। পর্বতটি আলবার্টার মহাসড়ক ৯৩ হতে দেখা যায়। সাসকাচ্যুয়ান হিমবাহ এর মূল উপত্যাকা।[১]
পর্বতারোহীরা আথাবাস্কা পর্বত নিয়মিত আরোহণ করেন। সাধারণত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস আথাবাস্কা আরোহণের উপযুক্ত সময়। আথাবাস্কা পর্বতের চূড়ায় আরোহণের কয়েকটি পথ আছে। পথগুলির মধ্যে সিলভারহর্ন ও পর্বতের উত্তরমুখ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এই পথগুলি পর্বতারোহণ পথের ধরন অনুযায়ী দ্বিতীয় গ্রেডের পথ। এছাড়াও অন্যান্য গতায়নপথের মধ্যে পর্বতেরউত্তর হিমবাহ, উত্তর শৈলশিরা, এএ কোল, আওয়ারগ্লাস (৩০০মি) পথগুলিও আবহাওয়া ও অবস্থাভেদে পর্বতারোহীরা ব্যবহার করে থাকেন।[৪]
আথাবাস্কা পর্বতের অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর চূড়ার কাছেই অনেকটা 'শিং' আকৃতির খাড়া অংশ, 'সিলভারহর্ন' নামে পরিচিত।যদিও এই পথে আবহাওয়াগত সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এই খাড়া অংশের পাশদিয়ে পর্বতটির চূড়া আরোহণের পথটি সবচেয়ে সহজ হিসেবে বিবেচিত।[৪]