অন্য ব্যবহারের জন্য, দেখুন আদমপুর।
আদমপুর বায়ু সেনা ঘাঁটি ਆਦਮਪੁਰ ਏਅਰ ਫੋਰਸ ਸਟੇਸ਼ਨ,ਜਲੰਧਰ | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | সামরিক/ পাবলিক | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবাহিনী | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | জলন্ধর | ||||||||||
অবস্থান | আদমপুর,জলন্ধর,পাঞ্জাব | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ৭৭৬ ফুট / ২৩৬ মিটার | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ৩১°২৫′৫৯″ উত্তর ০৭৫°৪৫′৩৮″ পূর্ব / ৩১.৪৩৩০৬° উত্তর ৭৫.৭৬০৫৬° পূর্ব | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
ভারতের জলন্ধরে আদমপুর বায়ু সেনা ঘাঁটির অবস্থান | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
|
আদমপুর বায়ু সেনা ঘাঁটি বা আদমপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন (ইংরেজি: Adampur Air Force Base) হল ভারতের উত্তরাঞ্চলে জলন্ধর জেলার আদমপুর শহরে অবস্থিত একটি বায়ু সেনা ঘাঁটি। এটি জলন্ধর-হোশিয়ারপুর প্রধান মহাসড়কের পাশে পাঞ্জাবের জলন্ধর শহরের ২৩ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক বিমানবন্দর। এটি ভারত-পাক সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত এবং ৪৭ নং স্কোয়াড্রন আইএএফ এবং ২২৩ নং স্কোয়াড্রন আইএএফ-এর ঘাঁটি।
জলন্ধরের আদমপুর খুব পুরানো বায়ু সেনা ঘাঁটি। এই বায়ু সেনা ঘাঁটি বা এয়ার ফোর্স বেস ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ৬ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫ সালে, পাকিস্তানি বিমানবাহিনী ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটি , হেলভারা বায়ুসেনা ঘাঁটি এবং আদমপুর বায়ুসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। হেলভারা ও আদমপুর আক্রমণ ব্যর্থ হয় এবং আদমপুর পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই আক্রমণকারীরা ফিরে যায়।
১৯৬৫ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর পিএএফ কর্তৃক তিনটি ভারতীয় বিমানঘাঁটিতে (হেলভারা, পাঠানকোট ও আদমপুর) ১৩৫ জন বিশেষ পরিষেবাগ্রুপ (এসএসজি) প্যারা কমান্ডোকে,[১][২] প্যারাস্যুট দ্বারা নামায়। এই সাহসী প্রচেষ্টা একটি "চরম দুর্দশা" বলে প্রমাণিত হয়েছে। কেবলমাত্র দশজন কমান্ডো পাকিস্তানে ফিরে যেতে সক্ষম হয়েছিল,[২] অবশিষ্টরা (একজন অপারেশন কমান্ডার মেজর খালিদ বাট সহ) যুদ্ধবন্দী হিসাবে ধরা পড়ে। আদমপুরে এই পাকিস্তানি সৈন্যরা আবাসিক বা বসতি এলাকাগুলোতে অবতরণ করেছিল, সেখানে তারা গ্রামবাসীরা কাছে ধরা পড়ে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত হয়। [২]
১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর "অপারেশন চেঙ্গিস খান" দিয়ে পশ্চিম ফ্রন্টে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয়। পাকিস্তানি সেনা পাঠানকোটের বায়ু সেনা ঘাঁটিতে আঘাত হানে এবং রানওয়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাঠানকোনকে ঘিরে নেয় জলন্ধরের আদমপুর এএফএস থেকে আসা সৈন্য, এবং প্রথম আঘাতের পর স্থল কর্মীরা রানওয়ে মেরামত করে দেয়। [৩]
১৯৯৯ সালের মার্চে কার্গিল যুদ্ধের সময় জলন্ধরের আদমপুর এএফএস থেকে মিরাজ যুদ্ধ বিমানের ৭ নং স্কোয়াড্রন টাইগারহিল, মুন্থো ধালো এবং টোলোলিং আক্রমণ করেছিল।
আদমপুর বায়ু সেনা ঘাঁটি পুরোনো বি/ইউবি বিমানবহর সম্পূর্নভাবে মেরামত করে এখন মিগ-২৯ইউপিজি বিমান পরিচালনা করে।
আদমপুর বায়ু সেনা ঘাঁটির রানওয়েটি ২,৭৫৫ মিটার বা ৯,০৩৯ ফুট দীর্ঘ। রানওয়েটি আস্ফাল্ট দ্বারা নির্মিত।
ভারতের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ₹১৮ কোটি খরচ করে জলন্ধরের কান্ডোলা এবং দামুন্ডা গ্রামে আদমপুর সামরিক বিমান ঘাঁটির কাছে আদমপুর বেসামরিক বিমানবন্দর নির্মাণ করেছে [৪] বাণিজ্যিক বেসামরিক বিমান চলাচল সহজতর করার জন্য। ভারতীয় বিমান বাহিনীর থেকে অনাপত্তি শংসাপত্র প্রাপ্তির পর এএআই কর্তৃক ৫০ একর জমির প্রস্তাবিত স্থানের পরীক্ষা করার পর কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালের জুলাই মাসে জলন্ধরের আদমপুরে বেসামরিক বিমানবন্দর স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিগত সম্ভাব্যতা প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছে। [৫][৬][৭][৮] বিমানবন্দর থেকে বাণিজ্যিক উড়ান ১ মে ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে। স্পাইসজেট ভারত সরকারের "উড়ান" প্রকল্পে আঞ্চলিক সংযোগ পরিষেবা বা রিজিওনাল কানেক্টিভিটি সার্ভিস (আরসিএস) এর অধীনে কাজ শুরু করেছে। [৯]
বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
স্পাইসজেট | দিল্লি[১০] |